Ajker Patrika

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী

৩য় শ্রেণির কর্মচারীর অঢেল সম্পদ

  • ১৭ বছরে বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি।
  • সহকর্মীদের ব্ল্যাকমেল ও স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ।
  • সব অভিযোগ অস্বীকার জাহাঙ্গীর আলমের।
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট 
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ১০: ৪৮
মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। এমনকি খোদ উপজেলা মেডিকেল কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতি, অসদাচরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। তিন বছর পরপর বদলির নিয়ম থাকলেও টানা ১৭ বছর তিনি একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর তাঁকে প্রশাসনিক কারণে জকিগঞ্জে বদলি করলেও ঠিক এক মাসের মাথায় অদৃশ্য কারণে একই কর্মকর্তার স্বাক্ষরে তা বাতিল করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরিতে যোগদানের আগে জাহাঙ্গীর মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় পা ভেঙে মারাত্মকভাবে জখম হন। ফলে তিনি সবার পরে সিভিল সার্জন অফিস ‘ম্যানেজ’ করে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেন। সবার পর চাকরিতে যোগদান করলেও সার্ভিস বইয়ে সবার আগে অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি লিপিবদ্ধ করেন জাহাঙ্গীর। নিজের খেয়ালখুশিমতো অফিসে আসা-যাওয়া করেন। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর (১০ মাস ২০ দিন) ও ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর (৭ মাস ৫ দিন) নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসা-যাওয়া না করার প্রমাণ মিলেছে। ছুটি ছাড়াই অফিস না করে সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন তিনি।

বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্য: জাহাঙ্গীর আলম দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। সিলেট জেলার পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপপরিচালক লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের বিশ্বস্ততা অর্জন করে সারা দেশে নিয়োগ-বাণিজ্যের পাশাপাশি এসএসিএমও, এফডব্লিউভি, এফডব্লিউএ, ইউএফপিএ, এমএলএসএস, নিরাপত্তাপ্রহরী, আয়াদের বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করে মোটা অঙ্কের অর্থ নেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এফডব্লিউএ নিয়োগ-২০২৩ সালে লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। তখন আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এ ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত ৮ আসামির বাইরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডা. জেসমিনকে আসামি করলেও অদৃশ্য কারণে তাঁর ‘ডানহাত’ জাহাঙ্গীর বেঁচে যান। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনজন এফডব্লিউএ লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি নেন। এতিম পোষ্য কোটায় চাকরির জন্য একজন আয়াও জাহাঙ্গীরকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দেন। শুধু তা-ই নয়; জাহাঙ্গীর নিজের স্ত্রী জোহরা বেগমকেও টাকার বিনিময়ে প্রথমে এফডব্লিউএ ও পরে এফডব্লিউভি পদে চাকরির ব্যবস্থা করেন। নিজেই বলে বেড়ান, ২০১২ সালে এফডব্লিউভি পদে চাকরির জন্য অধিদপ্তরে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নিতেন, কিন্তু তাঁর প্রেমিকা জোহরার চাকরির জন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে নিজে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ ছাড়া জোহরার এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণের টিএ (ভ্রমণ বিল) বিলের ১ লাখ ৪ হাজার টাকাও জাহাঙ্গীর দেন। আর ট্রেনিং শেষ করেই জোহরা জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করেন।

২০২১ সালের জুনে নিয়মিত অবসরে যাওয়া এক ফার্মাসিস্ট (সার্টিফিকেট জাল) নিরুপায় হয়ে জাহাঙ্গীরকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে পেনশনের টাকা তোলেন। ৫ লাখের মধ্যে ২ লাখ টাকা তৎকালীন উপপরিচালককে দেন বলে তাঁর নিজের স্বীকারোক্তি মিলেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে অবসরে যাওয়া এক এফডব্লিউএ (জন্মতারিখ ভুল) জাহাঙ্গীরকে ২ লাখ টাকা দিলে তিনি পেনশনের টাকা তুলে দেন।

সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ: জাহাঙ্গীর এফএইচপিও, এমসিএইচ-এফপিদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করে, স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডা. জেসমিন ও জাহাঙ্গীর মিলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বছরের সব বাজেট আত্মসাৎ করতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক এফএইচপিও বলেন, ‘কোনো সরকারি কাজ না করে বছরের সব বরাদ্দের টাকা জাহাঙ্গীর, ডিডি (ডা. জেসমিন) ম্যাডামের দোহাই দিয়ে ভুয়া বিলের মাধ্যমে উত্তোলন করতেন। তখন অনেকটা অবাক হয়েছি, অফিসের সামান্য একজন কেরানির কাছে সব উপজেলা জিম্মি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সোনার ডিমপাড়া হাঁস হচ্ছে জাহাঙ্গীরের মতো কেরানিরা। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।’

২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ফেঞ্চুগঞ্জ এফএইচপিও, এমসিএইচ-এফপি ডা. সুবর্ণা রায় তুলি জাহাঙ্গীরের আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপেশাদার আচরণ নিয়ে উপপরিচালক সিলেটের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তার আগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জাহাঙ্গীরের অপকর্মের জন্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। ডা. সুবর্ণা রায় তুলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকেও আর কিছু জানানো হয়নি। আমি এখন সিলেট সদরে কর্মরত।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন: জাহাঙ্গীর স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মীয়স্বজনদের নামে গোপনে সম্পত্তি ক্রয় করে রেখেছেন। সিলেট নগরের শাহজালাল (রহ.) উপশহরের এইচ-ব্লকের ৪ নম্বর রোডে (টুলটিকর মৌজার জেএল নম্বর-৯৯, খতিয়ান-১৭৮৯, দাগ নম্বর-৪) ৫ শতক জায়গা কিনে নিজের মায়ের নামে ছালেহা মঞ্জিল নির্মাণ করেন। এতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। এ ছাড়া উপশহরের ডি-ব্লকের হাজি আজমল আলীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে ২ শতক ৮০ পয়েন্ট জায়গা (দলিল নম্বর-২১১৯/২৪ ইং) কেনেন। দুটি জমি রেজিস্ট্রিতে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিতে কম মূল্য দেখিয়েছেন। জাহাঙ্গীর নিজেই বলে বেড়ান, তাঁর ছোট ভাই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিজ গ্রামে ফার্মেসি ব্যবসা দিয়ে সিলেট শহরে জায়গা ক্রয়ের পাশাপাশি নিজ গ্রামে (পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রাম) সম্প্রতি প্রায় ১৩ বিঘা জমি কিনেছেন।

নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে সিলেট উপশহরের বাসা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জে অফিসে আসা-যাওয়া করেন।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল: ফেঞ্চুগঞ্জ ১ নম্বর ইউনিয়নের ২/ক ইউনিটের শূন্য পদে ২০১৮ সালে কুলাউড়া উপজেলায় কর্মরত পরিবারকল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) মোছা. লায়লা বেগমকে বদলির জন্য ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু এফডব্লিউএর নিজের বাবা ও স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ছাড়া অন্য কোথাও বদলি হওয়ার বিধান নেই। জাহাঙ্গীর লায়লার স্বামীর ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে কাবিননামা, চেয়ারম্যান নাগরিকত্ব সনদ, জমির পরচা তৎকালীন এফএইচপিওর নাম ও সিল ব্যবহার করে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে সত্যায়িত করেন। একইভাবে শূন্য পদ-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র নিজেই দেন। এসব কাগজপত্র সংযুক্ত করে লায়লার বদলির আবেদন করেন। পরে সিলেট বিভাগীয় তৎকালীন পরিচালক ওই আবেদনের সত্যতা যাচাই করার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জ এফএইচপিও ও এটিএফপিওকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তাঁরা সরেজমিনে তদন্ত করে লায়লার আবেদন করা ঠিকানার কোনো সত্যতা পাননি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র জালিয়াতির সত্যতা পান। কিন্তু অদৃশ্য কারণে জাহাঙ্গীর ও লায়লার বিরুদ্ধে প্রতারণা-জালিয়াতির কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তখন ওই শূন্য পদে লায়লাকে আর বদলি করা হয়নি। তবে ২০২২ সালের অক্টোবরে জাহাঙ্গীর আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে লায়লাকে স্বামীর স্থায়ী সঠিক ঠিকানা ব্যবহার করে ২ নম্বর মাইজগাঁও ইউনিয়নের ৩/খ ইউনিটে বদলি করান।

১৪ জন সহকর্মীকে হয়রানি করতে জাহাঙ্গীর ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ ভুয়া শোকজ লেটার ইস্যু করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণ: কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে একাধিকবার তথ্য গোপন করে বিদেশ ভ্রমণ করেন জাহাঙ্গীর। সরকারি কর্মচারী হয়ে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ছাড়া পাসপোর্ট তৈরি করে তিনবার নবায়ন করেছেন।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএফপিএ মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপশহরে কেনা দুটি জায়গা পারিবারিক। দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব। অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। আর্থসামাজিক উন্নয়নভিত্তিক ব্যবসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ যত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, সব কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে করেছেন। এগুলো একটি পক্ষ আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করছে।’

‘১৭ বছর একই কর্মস্থলে থাকা ইউএফপিএ জাহাঙ্গীরকে বদলির এক মাসের মধ্যে বাতিল করতে হলো কেন?’ জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আমানউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে কারণ বলতে পারব না। ফাইল দেখে বলতে হবে। অনেকেই এখানে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে আছে। আমি আসার পর সেগুলো খতিয়ে দেখছি।’

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফী আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র ৪ দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, আহত ২

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। ‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।

‎প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।

‎জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’

কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’

খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।

অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।

আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।

ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত