
দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।

দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।

দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।

দুজনের আঁখিবারি, গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা, প্রাণেতে গেল রয়ে।
—দুজনে দেখা হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তা ভেবেই হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। যাঁকে ভালোবাসি, যিনি পাশ কেটে হেঁটে যাওয়ার সময় এক ঝটকা হাওয়া এসে গায়ে লাগে, হাওয়ায় মিশে থাকে তাঁর সুবাস। জনারণ্যেও যাঁর কণ্ঠ ঠিক এসে কানে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকেই আবার কাছে পেতে মন না চায়! সেখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান দিই যদি, তবে বলতে হবে, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও। হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তদ্দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোটাই গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় এটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য বিনিময়ও হয়। তবে তাঁর চোখমুখের ক্লান্তি ভাব আপনি বুঝে নেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার এ অনুধাবন টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁর চোখে চোখ রেখে এ ব্যাপারটাও আপনি ধরে ফেলেন। হঠাৎ চোখাচোখিতে হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। ভালোবাসার কথা আর না-ই বলি…।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে, কিছু কি বোঝানো গেল? তবে যাঁরা বোঝার তাঁরা তো বুঝবেনই। হৃদ্যতার এ পর্যায়টায় প্রেম নিরাপদ। ফোকাস থাকে ব্যক্তি মানুষটিতে। একে অপরকে কাস্টমাইজ করে নেওয়ায় নয়। পাওয়ার দুঃসাহস না করলে হারানোর প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই প্রেম নিবেদন হয়, আর তার কিছু সময় পর আমরা মানুষটাকে গড়ে নিতে চাই নিজের পছন্দের মাল-মসলায়। ঘাঁটাঘাঁটিতে লেগে পড়ি তাঁর অতীত ও ভবিষ্যতের স্তরগুলোয়। প্রেমকে তখন লালনপালনের পর্যায় থেকে নিয়ে যেতে হয় টিকে থাকার পর্যায়ে। তখন ধীরে ধীরে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভবের সময় আর আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। কী নির্মম! কেউ যেন মগজে একটা ইরেজার দিয়ে অনেকখানি মুছে দেয় একসময়কার আরাধ্য মানুষটির নাম, গন্ধ। দিন শেষে পাশাপাশি বালিশে ঘুমালেও ভেতরে-ভেতরে দুজনেই একাকিত্বে ভোগেন। কিন্তু কেন এমন হয়?
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘প্রেম এক কথায় মাধুর্যপূর্ণ সম্পর্ক। সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরুর দিকে রোমান্টিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে। তখন আমরা সম্পূর্ণ মানুষটিকে নিয়েই ভাবি। কিন্তু সম্পর্কে পরিণতি দেওয়ার সময় এলে তাতে ছেদ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে।’ কী সেই কারণ? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতম পর্যায়ে আমরা ভুলে যাই দুটো ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছুই মিলবে না দুজনের। এখানে একে অপরকে গ্রহণ করতে না পারলেই ঝামেলা হয়।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্ক দুজনের, ফলে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনেরই সমান থাকতে হবে। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
তৃতীয়ত, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন অন্যজনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অতিনির্ভরশীল হওয়া যাবে না। প্রতিটি আন্তসম্পর্কে একটি নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখতে হবে। এগুলো সম্পর্কের একটা স্তরে গিয়ে যখন দুজন মানুষ একই রেখায় ভাবতে শুরু করে, তখনকার জন্য।
চতুর্থ, প্রত্যেক মানুষের একটি নির্দিষ্ট লাইফ পজিশন থাকে। এটাকে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমটি হলো, আমিও ঠিক, তুমিও ঠিক। যেখান থেকে পরস্পরের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধায় পরস্পরকে ছাড় দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমি ঠিক কিন্তু তুমি ভুল। এ পর্যায়ে শুধু জীবনসঙ্গীর দোষ ধরবে, সমালোচনা করবে, অসম্মান করবে।
তৃতীয়ত, তুমি ঠিক, আমি ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল হবে, তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে।
চতুর্থত, আমি, তুমি দুজনই ভুল। এ পর্যায়ে এক পক্ষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এগুলো মূলত সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণ। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরও ব্যাপার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়াও উদ্দেশ্য়হীনভাবেও মানুষ প্রেমে পড়ে। এটা বেশ জটিল বিষয়। এ বেলায় নির্দিষ্ট কারও জন্য প্রেম বিষয়টি অনুভূত হয়। দেখা গেল, কোথাও একটি ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হলো। একে অপরকে ভালো লাগার ব্যাপারটি মুচকি হাসি দিয়েই ক্ষান্ত নন, ইউটোপিয়ায়ও পাক খাচ্ছেন। এমনকি কাছাকাছি বসে গল্পও করেন মাঝেমধ্যে। পরবর্তী সময়ে চোখের দেখায় বুকে হাতুড়ির ঢিপঢিপ শব্দ চলে। প্রথম ধাপে এটা চলে। সে ক্ষেত্রে ইউটোপিয়া পর্যন্ত এই ভালো লাগাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ বলা চলে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি।/ তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি।’ কিন্তু পরের ধাপে যদি তারা পা রাখে তাহলে কী হবে? ধরলাম ফোন ও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল তাঁদের। এর পর একে অন্যের সঙ্গে কোথাও দেখা করার এবং সময় কাটানোর ইচ্ছে জাগল। বলে রাখা ভালো, এই ভালো লাগা বা একে অপরের প্রতি আকাঙ্ক্ষা মনের সীমা অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত পৌঁছে যায় কখনো কখনো। তখন থেকেই ফলাফল শুরু হয়। এখানে যদি প্রতিশ্রুতিহীন সম্পর্কে জড়ানো দুজনের একজন দেখলেন বিপরীত দিকের মানুষটি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন, ঘনিষ্ঠ হন। তখন এক ধরনের দ্বন্দ্ব ও যুক্তিতর্ক চলে। দুজনের একজন যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে তাঁদের বিচ্ছেদ হতে পারে, সংসারে অশান্তি হতে পারে। ক্রমেই সেটা শারীরিক নির্যাতনের দিকে গড়াতে পারে।
উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশ হতে পারেন। ফলে সম্পর্ক নিয়ে এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভাবা দরকার, সম্পর্কটি নিয়ে কত দূর যাবেন, কোথায় গিয়ে থামতে হবে ও কোথা থেকে ফেরত আসতে হবে।

খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১ দিন আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশাবোধ করতে পারেন।
০৩ জুন ২০২২
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১ দিন আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।
সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।
সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।
সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।
ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।
ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।
সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।
ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।
সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।
ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।
সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।
ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।
সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।
ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।
সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।
ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।
সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।
ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।
সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।
ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।
সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।
ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।
সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।
সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।
ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।
সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।
ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।
সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।
ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।
সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।
সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।
ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।
সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।
সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশাবোধ করতে পারেন।
০৩ জুন ২০২২
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১ দিন আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার পুরোনো ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে—মানে, হয়তো আপনি আজও ওনার মেসেজের রিপ্লাই দেননি! মেডিটেশন করুন। না হলে এত উত্তেজনা সামাল দিতে পারবেন না। আর গাড়ি চালানোর সময় শুধু সামনের দিকে তাকান, পাশের বাড়ির জানালার দিকে নয়।
বৃষ
আপনার আজকের দিনটা খুব ‘ইতিবাচক’ হবে। আপনি মানুষের সঙ্গে খুব ‘সংযুক্ত’ বোধ করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সংযুক্তির অনুভূতিটা বজায় রাখার জন্য আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে—হয় বন্ধুদের খাওয়াবেন, না হয় অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন। পুরোনো পাওনা ফেরত আসতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার হাতে আসার আগেই অন্য কোনো খরচের খাত রেডি হয়ে আছে। আজ আপনার দুর্বলতা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটা যে দুর্বল, সেটা তো ভুলেও নয়!
মিথুন
আপনার যোগাযোগের দক্ষতা আজ তুঙ্গে! আপনি চাইলে আজ সাদা বস্তুকে কালো প্রমাণ করতে পারবেন। তবে সাবধান, এই বাড়তি বাগ্মিতার জন্য ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ, সবাই ধরে নিয়েছে, আপনি কথা বলতে শুরু করলেই আর থামবেন না, তাই সবাই চুপ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসছে, তবে আপনার পার্টনারের মাধ্যমে আসতে পারে। একটু কম কথা বলুন। বিশ্বের সমস্যা সমাধান না করে বরং নিজের ডায়েটে মনোযোগ দিন।
কর্কট
কর্মক্ষেত্রে আপনার পদোন্নতি বা আর্থিক লাভের সম্ভাবনা জোরালো! খুবই আনন্দের খবর! কিন্তু সেই আনন্দের মধ্যে মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ, বাড়ির কোনো আইনি সমস্যা আর সবচেয়ে বড় চাপ—আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করার সম্ভাবনা। আপনি ধনী হয়েও বন্দী! বিশ্বস্ত কাউকে মনের কথা খুলে বলুন। তবে খুব সাবধানে, সেই বিশ্বস্ত লোক যেন আবার আপনার প্রমোশনের কথাটা নিয়ে বসকে হিংসা না করে। ধৈর্য রাখুন। প্রমোশনের টাকা দিয়ে উকিল আর ডাক্তার সামলাতে হবে।
সিংহ
আপনার আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়েছে, আপনি নিজেকে আজ বনের রাজা মনে করছেন! নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাবধান, আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার সামান্য ঝুঁকিও রয়েছে। প্রেমে উষ্ণতা বাড়বে, যা আপনার বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। তবে পেটের সমস্যায় ভোগার শঙ্কা আছে। ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। পেটে মোচড় দিলে অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
কন্যা
দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই কাটবে। আপনি কী করবেন, কী পরবেন, কাকে ফোন করবেন—এই নিয়েই অর্ধেক দিন শেষ! কিন্তু কাজের জায়গায় আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের চেষ্টা সফল হবে। পুরোনো পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে, যা আপনার আজকের ‘ব্যয় বৃদ্ধির’ খাতায় যোগ করবে। আপনার সুমিষ্ট কৌশল বা মিষ্টি কথা দিয়ে জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আজ মিষ্টি কথা বলার আগে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা চট করে একবার মনে করে নিন। দেখবেন, মিষ্টি কথা অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তুলা
আজ আপনার সম্পর্কের উন্নতি হবে, সেটা জীবনসঙ্গী হোক বা আপনার বসের সঙ্গে। কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবেন, যা দিয়ে আপনি অনেক দিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ফেলবেন। আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন ধারণা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা উপকারী হবে। আপনি এতটাই ‘কুল’ থাকবেন যে শত্রুরাও আপনার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইবে। অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করুন। মানে, সুযোগ পেলে আজই নতুন ইনকামের পথটা পাকাপাকি করে ফেলুন!
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য শক্তি এবং উৎসাহে পরিপূর্ণ! আপনি চাইলে আজ একটা পাহাড়ও টপকাতে পারেন। কিন্তু আপনার পরিকল্পনায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। এই বাড়তি শক্তি আপনি হয়তো ব্যয় করবেন ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানোর কাজে, যা আপনার কাজের থেকে বেশি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মনে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে, কিন্তু আপনার দৃঢ়তা দেখলে সহকর্মীরা একটু ভয় পেতে পারে। আপনার এনার্জিটা কাজের দিকে রাখুন। পুরোনো ভুল-বোঝাবুঝি দূর করার জন্য এনার্জি খরচ করবেন না। কারণ, কিছু ভুল-বোঝাবুঝি থাকাই ভালো।
ধনু
ক্যারিয়ার ও পেশাদার জীবনে মনোযোগ দিন, যেকোনো নতুন শুরু সফল হতে পারে। ভ্রমণ ও শিক্ষাসংক্রান্ত কাজ লাভজনক হবে। আপনি হয়তো একটা জরুরি কাজে বাইরে যাবেন, আর সেই ভ্রমণ থেকেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু গ্রহরা আপনাকে স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে বলছে—হালকা ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েট! আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে—লাভজনক ভ্রমণে গিয়ে হোটেলের ফ্রি ব্রেকফাস্টের মিষ্টি অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়া। শুভকামনা!
মকর
আজ আর্থিক বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন। যদিও পুরোনো দায়িত্ব পালন করা উপকারী হবে, তবু চাকরি বা ব্যবসায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। শান্ত থাকুন। আপনার এত দিনের স্থিতিশীল জীবনে হঠাৎ একটা ‘ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি’ হতে চলেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি খুব কার্যকর হবেন। আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনায় ধৈর্য ধরুন। কারণ, তাদের কথা শুনলে আপনার খরচ আরও বাড়তে পারে। আপনার লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না। বিশেষ করে আপনার বাজেট থেকে তো একদমই না!
কুম্ভ
আজ আপনি সামাজিক ও পেশাদার বিষয়ে বেশ এগিয়ে যাবেন। বন্ধু এবং সহকর্মীরা আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকবেন এবং নতুন সুযোগের জন্য মন খোলা রাখবেন। আপনি আজ সবার নজরের কেন্দ্রে থাকবেন। তবে জ্যোতিষীরা আপনাকে ‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে বলছে। কারণ, পাবলিক প্লেসে আপনার অতি-উৎসাহ দেখলে অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আপনি আজ বুদ্ধি খাটিয়ে সব সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে আপনি নিজেই!
মীন
আজ আপনার দিনটি মসৃণ ও শান্ত হবে। আধ্যাত্মিক কাজে সময় ব্যয় করা উপকারী। আপনি হয়তো মেডিটেশন করছেন বা কোনো ধর্মীয় বই পড়ছেন, আর ঠিক সেই সময় আপনার স্থগিত কোনো কাজ বা আর্থিক দিক থেকে একটা গোপন গতি আসবে। পুরোনো কাজ শেষ করার জন্য এটা সেরা সময়। ক্যারিয়ার আর আর্থিক বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরুন—আপনার সাফল্যের খবরটা একটু পরে আসুক। আজ আপনি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করবেন, যার জন্য কেউ আপনাকে তাগাদা দেয়নি। এই রহস্যজনক কর্মদক্ষতা বজায় রাখুন।

উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশাবোধ করতে পারেন।
০৩ জুন ২০২২
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
২১ ঘণ্টা আগে
সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

সেদ্ধ ডিম ভুনা বা আলু দিয়ে ঝোল করে তো সব সময় রান্না করেন। এবার না-হয় একটু ভিন্নভাবে রাঁধলেন! আপনাদের জন্য আমড়া দিয়ে ডিমের টক ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আমড়া ২টি, কচুর মুখি ৩০০ গ্রাম, ডিম ৫টি, বেগুন ২টি, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি
আস্ত আমড়ার খোসা ছিলে কেটে নিন। কচুর মুখি ও বেগুন লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ, ধনেগুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কচুর মুখি কষিয়ে আবারও রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। পরে বেগুন দিয়ে কষিয়ে ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে আমড়া দিন। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি আর ধনেপাতাকুচি, জিরাগুঁড়া ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে রান্না করুন আরও ২-৩ মিনিট। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

উদ্দেশ্যহীনভাবে প্রেমে জড়ানোর ফলে সম্পর্কের সীমা না থাকার কারণে সেটি ভেঙে গেলে কেউ কেউ নিজেকে দোষী ভাবতে পারেন অথবা প্রচণ্ড হতাশাবোধ করতে পারেন।
০৩ জুন ২০২২
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজ গ্রহরা আপনার জীবনে এক ‘লার্নিং সেশন’-এর আয়োজন করেছে। নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধানে! আর্থিক লেনদেনে একটু সংযত হোন, না হলে ‘শিক্ষানবিশ ফি’ হিসেবে কিছু টাকা বেরিয়ে যেতে পারে। প্রেমের সম্পর্কে একটা ছোট ‘টক শো’ হতে পারে, যেখানে আপনার...
১ দিন আগে