আনিকা জীনাত
ছোট ছোট অনুভব, ছোট ছোট দুঃখ–কষ্টেরা গভীর রাতে উঁকি দেয় হৃদয়ের গভীর কোনো খাদ থেকে। নিয়ন আলোয় ভিজতে থাকা স্বপ্নেরা কোথায় যেন পালিয়ে যায়। পড়ে থাকা শূন্যতা গভীর অনুভবে টোকা মেরে বলে, তুমি ব্যর্থ। চারপাশে তখন নেমে আশে একরাশ আঁধার। প্রচুর মানুষ থাকলেও নিজেকে মনে হয় একা। এক নিঃষীম একাকিত্ব ঘিরে ধরে নিজের অস্তিত্ব। তৈরি হয় পরিচয়ের সংকট। এ অবস্থা ক্রমাগত চলতে থাকলে মনের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়। কখনো কখনো এ অবস্থা থাকে দীর্ঘদিন, কখনো অল্প সময়। ধীরে ধীরে মনের অস্থিরতা কমে, চিন্তাও অন্যদিকে প্রবাহিত হয়। তাই সময়টাকে পার হতে দেওয়াই ভালো। এই মানসিক অবস্থা শুধু আপনার একার নয়। অবচেতন মনে পরিস্থিতিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রবণতা তৈরি হয় অনেকের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়ও আছে।
যা করবেন
অতীত নিয়ে ভাববেন না: জীবনে যা–ই ঘটুক না কেন, তার ভিত্তিতে নিজেকে বিচার করবেন না। অতীত দুঃখের কোনো ঘটনা আপনাকে ব্যাখ্যা করে না। এই মুহূর্তে নিজের সম্পর্কে যা ভাবছেন, আপনি আসলে তাই।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান: নিজের কাছে নিজেকে কাচের ভাঙা টুকরোর মতো মনে হতে পারে। এটা আসলে সত্যি নয়। আপনি কোনো কাচের ভাঙা টুকরো নন, বরং অনেক টুকরোর সংমিশ্রণ। কথাটা মনে রাখলে নিজের পরিচয় নিয়ে ধারণা বিস্তৃত হবে।
অযাচিত উপদেশ এড়ান: আপনার জীবনের কঠিন গল্পগুলো মানুষ শুধু শুনতে পারে, আপনার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। তাই তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না। তারা যা বলছে বলতে দিন। গুরুত্ব দেবেন না। এতে মনের ওপর চাপ তৈরি হবে না
নিজের মূল্যায়ন করুন: আপনি কতটা মূল্যবান তা অন্যদের কথা অনুযায়ী মাপবেন না, বরং নিজের মূল্য নিজে বুঝে নিন। অন্যেরা কেন আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা নিয়ে অভিযোগ করার মানে নেই। নিজর মূল্য নিজে বুঝুন।
নিজেকে ভালোবাসুন: হতাশ লাগলে নিজের প্রতি যত্নবান হোন। এতে অনেক কিছু বদলাবে। নিজেকে ভালোবাসলেই শক্তি ফিরে পাবেন।
হতাশ হবেন না: কোনো লক্ষ্য অর্জনে সময় লাগলে হতাশ হবেন না। প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবারই নির্দিষ্ট সময় লাগে। চলতে শুরু করলে রাস্তা মিলবেই।
সত্য মেনে নিন: কেউ আপনার বিশ্বাস ভাঙলে বা কটু কথা বললে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। বুকের মধ্যে পাথর সমান বোঝা অনুভব করাও অস্বাভাবিক নয়। সব সময় সবকিছু ঠিক থাকে না। এই সত্যটা মেনে নেওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিতে হয়।
বিরতি নিন: কখনো কখনো বিরতি নিতে হয়। গভীর শ্বাস নিয়ে একা একা বিশ্রাম নিতে হয়। খারাপ লাগার অনুভূতি কমলে বুঝতে পারবেন কিছুটা শক্ত হয়েছেন কি না।
নিজেকে ধন্যবাদ দিন: একটি কাজ অনেক দিন ধরে করতে থাকলে মনে হতে পারে, একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। নিজের জীবন নিয়ে আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকলে এমনটা মনে হতেই পারে। তবে চলছেন মানেই ওপরের দিকে যাচ্ছেন। যা শিখছেন তা বৃথা যাচ্ছে না। এত দূর এসেছেন বলে নিজেকে ধন্যবাদ দিন। বেঁচে থাকলে সুদিন আসবেই।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান: পরিস্থিতি যা–ই হোক, নিজেকে গ্রহণ করতে শিখুন। একটু গভীরভাবে দেখতে শিখুন, ভাবতে শিখুন। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে।
এ ১০টি বিষয় মনে রাখার চেষ্টা করুন। নতুন এক ভোর আসবেই।
ছোট ছোট অনুভব, ছোট ছোট দুঃখ–কষ্টেরা গভীর রাতে উঁকি দেয় হৃদয়ের গভীর কোনো খাদ থেকে। নিয়ন আলোয় ভিজতে থাকা স্বপ্নেরা কোথায় যেন পালিয়ে যায়। পড়ে থাকা শূন্যতা গভীর অনুভবে টোকা মেরে বলে, তুমি ব্যর্থ। চারপাশে তখন নেমে আশে একরাশ আঁধার। প্রচুর মানুষ থাকলেও নিজেকে মনে হয় একা। এক নিঃষীম একাকিত্ব ঘিরে ধরে নিজের অস্তিত্ব। তৈরি হয় পরিচয়ের সংকট। এ অবস্থা ক্রমাগত চলতে থাকলে মনের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়। কখনো কখনো এ অবস্থা থাকে দীর্ঘদিন, কখনো অল্প সময়। ধীরে ধীরে মনের অস্থিরতা কমে, চিন্তাও অন্যদিকে প্রবাহিত হয়। তাই সময়টাকে পার হতে দেওয়াই ভালো। এই মানসিক অবস্থা শুধু আপনার একার নয়। অবচেতন মনে পরিস্থিতিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রবণতা তৈরি হয় অনেকের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়ও আছে।
যা করবেন
অতীত নিয়ে ভাববেন না: জীবনে যা–ই ঘটুক না কেন, তার ভিত্তিতে নিজেকে বিচার করবেন না। অতীত দুঃখের কোনো ঘটনা আপনাকে ব্যাখ্যা করে না। এই মুহূর্তে নিজের সম্পর্কে যা ভাবছেন, আপনি আসলে তাই।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান: নিজের কাছে নিজেকে কাচের ভাঙা টুকরোর মতো মনে হতে পারে। এটা আসলে সত্যি নয়। আপনি কোনো কাচের ভাঙা টুকরো নন, বরং অনেক টুকরোর সংমিশ্রণ। কথাটা মনে রাখলে নিজের পরিচয় নিয়ে ধারণা বিস্তৃত হবে।
অযাচিত উপদেশ এড়ান: আপনার জীবনের কঠিন গল্পগুলো মানুষ শুধু শুনতে পারে, আপনার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। তাই তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না। তারা যা বলছে বলতে দিন। গুরুত্ব দেবেন না। এতে মনের ওপর চাপ তৈরি হবে না
নিজের মূল্যায়ন করুন: আপনি কতটা মূল্যবান তা অন্যদের কথা অনুযায়ী মাপবেন না, বরং নিজের মূল্য নিজে বুঝে নিন। অন্যেরা কেন আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা নিয়ে অভিযোগ করার মানে নেই। নিজর মূল্য নিজে বুঝুন।
নিজেকে ভালোবাসুন: হতাশ লাগলে নিজের প্রতি যত্নবান হোন। এতে অনেক কিছু বদলাবে। নিজেকে ভালোবাসলেই শক্তি ফিরে পাবেন।
হতাশ হবেন না: কোনো লক্ষ্য অর্জনে সময় লাগলে হতাশ হবেন না। প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবারই নির্দিষ্ট সময় লাগে। চলতে শুরু করলে রাস্তা মিলবেই।
সত্য মেনে নিন: কেউ আপনার বিশ্বাস ভাঙলে বা কটু কথা বললে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। বুকের মধ্যে পাথর সমান বোঝা অনুভব করাও অস্বাভাবিক নয়। সব সময় সবকিছু ঠিক থাকে না। এই সত্যটা মেনে নেওয়ার জন্য নিজেকে সময় দিতে হয়।
বিরতি নিন: কখনো কখনো বিরতি নিতে হয়। গভীর শ্বাস নিয়ে একা একা বিশ্রাম নিতে হয়। খারাপ লাগার অনুভূতি কমলে বুঝতে পারবেন কিছুটা শক্ত হয়েছেন কি না।
নিজেকে ধন্যবাদ দিন: একটি কাজ অনেক দিন ধরে করতে থাকলে মনে হতে পারে, একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। নিজের জীবন নিয়ে আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকলে এমনটা মনে হতেই পারে। তবে চলছেন মানেই ওপরের দিকে যাচ্ছেন। যা শিখছেন তা বৃথা যাচ্ছে না। এত দূর এসেছেন বলে নিজেকে ধন্যবাদ দিন। বেঁচে থাকলে সুদিন আসবেই।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান: পরিস্থিতি যা–ই হোক, নিজেকে গ্রহণ করতে শিখুন। একটু গভীরভাবে দেখতে শিখুন, ভাবতে শিখুন। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে।
এ ১০টি বিষয় মনে রাখার চেষ্টা করুন। নতুন এক ভোর আসবেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে উড়োজাহাজে চড়তে হবে, এমন কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও ঘটতে দেখা যায় মাঝে মাঝে। তেমন ঘটনাই প্রমাণ করলেন ডেনমার্কের নাগরিক থর পেডারসেন। উড়োজাহাজে না চড়েই পৃথিবীর প্রতিটি দেশ দেখার বাসনা ছিল তাঁর। সে বাসনা পূরণ করতেই ২০১৩ সালে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন থর।
২ ঘণ্টা আগেহিমালয়ের ৬ হাজার ৪১৯ মিটার উঁচু চুলু ওয়েস্ট এবং ৬ হাজার ১৪৪ মিটার উঁচু থরং পর্বত। এ দুটি পর্বত অভিযানে যাচ্ছেন প্রকৌশলী, লেখক ও পর্বতারোহী কাওছার রূপক। এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে ইউনিটি...
২ ঘণ্টা আগেবীরদের কথা আমরা অনেক পড়েছি বইপত্রে। চলচ্চিত্রেও দেখেছি তাঁদের কর্মকাণ্ড। বাস্তবেও তেমন মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে যান। কখনো কখনো তা করতে গিয়ে মারা যান; আবার কখনো বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু সৈয়দ আদিল হুসাইন শাহ ফিরতে পারেননি। সন্ত্রাসীদের বুলেট তাঁর শরীর...
২ ঘণ্টা আগেভ্রমণে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। রাস্তার ফুচকা, স্ট্রিট ফুড কিংবা বিদেশের কোনো রেস্তোরাঁ—যেখানেই কিছু খান না কেন, অসাবধানতার কারণে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে