Ajker Patrika

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার উপায়

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিজের কর্মক্ষেত্র নিয়ে সব সময় হা হুতাশ করেন। দিন রাত যেখানে কাজ করছেন সে কোম্পানিকে নিয়ে গালমন্দ করেন। এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। অবশ্য কেন তিনি সফল হচ্ছেন না। বছরের পর বছর এক জায়গার পড়ে আছেন। সেটা নিয়ে মোটেও ভাবেন না। নিজের দুর্বল দিক সবল করতে তৎপর নয়। বরং কোম্পানির দুর্বলতা নিয়ে আলোচনায় মুখর থাকেন। সফলতা অর্জনের শর্টকাট পথ নেই। তবে কিছু নিয়ম তো আছেই, যা মানলে ক্যারিয়ারে উন্নতি সম্ভব।

এক. যতটুকু কাজ যখন ই করা হোক। সেটা গুছিয়ে করতে হবে। অগোছালো কাজ ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে। গোছানো মানুষেরা সহজে সফল হন। কাজই নয়, কর্মক্ষেত্রে কথাও গুছিয়ে বলতে হবে।

দুই. কমিউনিকেশন, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়ে দুর্বলতা থাকতেই পারে। তাই দুর্বল জায়গাটা কোথায়, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। অতঃপর নিতে হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ। লিডারশীপে ঘাটতি আছে। দু একটা প্রশিক্ষণ নিলেই হয়। নিজের খরচে নিলে অসুবিধার চেয়ে পরবর্তীতে সুবিধাই বেশি।

তিন. উপস্থাপনে দক্ষতা থাকা জরুরি। যুক্তি, তথ্য উপাত্ত দিয়েই রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। বসরা বটম লাইন দেখেন। তাই বটম লাইন আকর্ষণীয় করার বিকল্প নেই।

চার. ভারতের প্রখ্যাত লেখক শংকর বলেন, বস হলো আগুন। এর খুব কাছে যেতে নেই। আবার খুব দুরেও থাকতে নেই। মোদ্দাকথা বস আপনার কাছে কি চায়, কেমনভাবে চায়। অবশ্যই সেটা বুঝতে হবে। বস ইজ অলওয়েস রাইট কথাটা মাথায় রাখতে হবে।

পাচ. অফিসে পরচর্চা, গুজব ছড়ানো পরিহার করুন। সহকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। কারও কাজ ভালো লাগল না। বুঝিয়ে বলতে হবে। ঝগড়া, দলাদলি, আঞ্চলিকতা থেকে দুরে থাকতে হবে।

ছয়. সময় মত অফিসে আসা এবং যাওয়া। অফিশিয়াল পোশাক

পরিধান করা। সময়ানুবর্তিতা একটি বড় গুন। আপনার এটেনডেন্স বছর শেষে দেখা হয়। যা পদোন্নতিতে প্রভাব ফেলে।

সাত. কাজকে ভালোবাসা। কাজের মধ্যে আনন্দের সন্ধান করতে হবে। একঘেয়েমি যেন না আসে। তাই কাজে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে। সে জন্য অভিজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া খারাপ নয়।

আট. বস বা অন্য কেউ কাজ করতে দিল। যখন কাজ শুরু করবেন। তার আগে কাজটা কীভাবে করবেন। কোনভাবে করলে সহজ হবে। ডেটা সোর্সকে বা কারা। ‘র’ ডেটায় সমস্যা আছে কিনা। এসব নিয়ে অন্তত পাচ মিনিট চিন্তা করুন। অবশ্যই কাজটা যিনি দেবেন, তার থেকে বুঝে নেবেন ষোলআনা। কীভাবে তিনি চাচ্ছেন। সংশোধন হতে পারে। তবে কম হলেই ভালো।

নয়. মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে দুরে কোথাও ঘুরে আসতে হবে।

একটানা বসে কাজ শরীরের ক্ষতি করে। তাই কিছুক্ষন পর পর একটু হেটে আসা ভাল। চোখে মুখে পানি দিলে ভালো হয়। দুরে বিশ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। চোখ বন্ধ করে থাকুন কিছু সময়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুৎসা, বরখাস্ত নিরাপত্তাপ্রহরী

এত শিক্ষার্থীর জীবন হুমকিতে ফেললেন, সন্তানদের মুখ মনে পড়ল না—বাশারকে আদালত

অবৈধ অভিবাসী বিষয়ে কঠোর মালয়েশিয়া, ফেরত পাঠাচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত