Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

চাকরির ইন্টারভিউয়ে যা বললে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ খেতে পারেন, জানালেন গুগলের সাবেক নিয়োগকর্তা

চাকরির ইন্টারভিউয়ে যা বললে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ খেতে পারেন, জানালেন গুগলের সাবেক নিয়োগকর্তা

চাকরির ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকারের সময় নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজেকে নানা কায়দায় উপস্থাপন করতে পারেন। সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ধরন নিশ্চিত করতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরি। ঠিক তেমনি এমন কিছু আচরণ রয়েছে যা ইন্টারভিউ বোর্ডের অসন্তোষের কারণ হতে পারে, আপনার সিভিতে পড়ে যেতে পারে লাল দাগ। 

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির ‘মেক ইট’–এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গুগল এবং ডোরড্যাশের সাবেক নিয়োগ কর্মকর্তা নোলান চার্চ এমন সব আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন। নোলান বর্তমানে ডেটা কোম্পানি ফেয়ারকম্পের সিইও। 

নোলান এসব অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণকে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা আজকালের জেনারেশন জেড প্রেম–ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে হরহামেশাই ব্যবহার করে থাকে। তো চলুন সতর্ক হওয়া যাক চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডের আচার–ব্যবহার সম্পর্কে: 

নোলান চার্চ সিএনবিসিকে বলেন, শুরুতে যখন একজন নিয়োগকর্তা জিজ্ঞেস করেন, নিজের কোন বিষয়গুলোতে আপনার উন্নতি করা উচিত বলে মনে করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে এমন বাক্য ব্যবহার করবেন না, যা শুনে মনে হয় আপনার শেখার কিছু নেই। এখানে ‘আমি খুব পরিশ্রম করি’ বা ‘আমি একজন পারফেকশনিস্ট’–এর মতো বাক্যগুলো রেড ফ্ল্যাগ। কেননা আত্মপ্রশংসা চরিত্রের ত্রুটি বলে মনে করা হয়। 

এ ছাড়া এ ধরনের উত্তরের অর্থ আপনি অন্য সবার মতোই, আপনার মধ্যে অনন্য কোনো গুণাবলি নেই বলেও মন্তব্য করেন নোলান। 

নোলান চার্চ আরও বলেন, ‘এমন উত্তরে নিয়োগকর্তারা ভাবতে পারেন যে, আপনি ব্যক্তি হিসেবে সৎ নন বা আপনি একজন কর্মী হিসেবে ভালো হবেন না। আমি আপনাকে নিখুঁত হওয়ার জন্য নিয়োগ করছি না। আমি আপনাকে আমাদের সঙ্গে নিজের বিকাশের জন্য নিয়োগ করছি।’ 

এমন ধরাবাঁধা উত্তর দেওয়ার চেয়ে নিজের কর্মজীবনের কোনো ভুলের অভিজ্ঞতা এবং সেখান থেকে শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে উপদেশ দেন নোলান। 

চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় সাবেক সহকর্মী অথবা কোম্পানি বা ম্যানেজার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যকেও ‘রেড ফ্ল্যাগ’ উল্লেখ করে নোলান চার্চ বলেছেন, ‘যখন আপনি কোনো বিষয়ে অন্য কাউকে দোষারোপ করেন তা খারাপ শোনায়। আপনি যাদের সঙ্গে কাজ করতে চান তাঁদের ভুলের দায় নিজের কাঁধে নিন। এতে প্রমাণিত হয় যে, আপনি চাকরিপ্রার্থী হিসেবে যথেষ্ট নম্র এবং ভুল থেকে শিখতে ইচ্ছুক।’ 

চার্চ বলেন, ‘আপনি এমন লোকদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করুন যারা আত্মসচেতন এবং নিজের ভুল স্বীকার করতে জানে। একই সঙ্গে মানসিক জগৎকেও উন্নত করতে চান।’ 

আর কোনো প্রশ্নের উত্তর ‘আমি জানি না’ বললে নিয়োগকারীরা সেটিকে বড় ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে নেন। এর অর্থ চাকরিপ্রার্থী সমাধান খুঁজতে আগ্রহী নয়, যা নেতিবাচক দিক। 

এমন ক্ষেত্রে একেবারে নতুনদের আরও ভেবেচিন্তে ও বিজ্ঞতার সঙ্গে উত্তর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নোলান। তিনি বলেছেন, আপনি ‘আমি জানি না’ বলার পরিবর্তে ‘অভিজ্ঞতার অভাব’ স্বীকার করতে পারেন। একই সঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধানে নিজের দক্ষতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন ‘আমি আগে এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি, কিন্তু এখানে আমি যেভাবে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে পারি...’ ইত্যাদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত