Ajker Patrika

বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি

মো. মাহমুদুল ইসলাম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২: ২৩
বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ পদের মৌখিক পরীক্ষা ১৩ জুলাই শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল ইসলাম।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভাইভা শুরুর আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। পরে হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট-১-এর পরিচালক বরাবর আপনার নিজ হাতে লেখা একটি আবেদনপত্র জমা দিন। শিক্ষাগত সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, কাউন্সিলর কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী—উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরিরত প্রার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তিপত্রসহ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যাবতীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন। কোনো কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে, ভাইভার আগেই জোগাড় করে রাখুন। 

পোশাকপরিচ্ছদ
পরিপূর্ণরূপে মার্জিত ফরমাল পোশাক পরে ভাইভা বোর্ডে যোগ দিন। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সাদা, আকাশি বা যেকোনো ফরমাল শার্টের সঙ্গে মানানসই রঙের প্যান্ট, ব্লেজার ও টাই পড়ুন। কালো রঙের অক্সফোর্ড জুতার সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের বেল্ট ব্যবহার করলে ভালো হয়। পরীক্ষায় ক্লিন শেভড অবস্থায় যাবেন। তবে সুন্নতি দাড়ি রাখা প্রার্থীরা দাড়ি নিয়েই যেতে পারেন। নারী প্রার্থীরা মার্জিত শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজ পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিন।

নিজের সম্পর্কে
ভাইভা বোর্ডে একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একটি প্যানেল থাকবে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ভাইভার শুরুতে আপনার নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে। তাই আগে থেকেই নিজের সম্পর্কে বলার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো গুছিয়ে রাখুন। আপনাকে যদি বাংলায় প্রশ্ন করা হয়, সে ক্ষেত্রে বাংলায় উত্তর দিন। আর ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হলে ইংরেজিতেই উত্তর দিন। আপনার নাম, অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পঠিত বিষয়, জেলা এবং নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলুন। 

অনার্স-মাস্টার্সের পঠিত বিষয় ও চাকরির সম্পর্ক 
অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় ভাইভাতে অনেক গুরুত্ব রাখবে। আপনি যদি কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তবে ভাইভা বোর্ডে এ বিষয়ে গভীরভাবে যাচাই করা হতে পারে। আর আপনি যদি বিজ্ঞান বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী হন, এ ক্ষেত্রে বেশি জটিল প্রশ্ন না করে, আপনি কেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতে চান এবং আপনার বিষয়ের সঙ্গে ব্যাংকিংয়ের সম্পর্ক কী—এই দুটি সাধারণ প্রশ্ন করা হতে পারে। তাই এসব প্রশ্নের উত্তর আগেই গুছিয়ে ভাইভা বোর্ডে ঢুকবেন।

নিজের এলাকা, এলাকার বিখ্যাত ব্যক্তি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট 
নিজের এলাকা অর্থাৎ জেলা ও বিভাগের বিষয়ে বিশদভাবে সব জেনে নেবেন। আপনার এলাকার নামকরণ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখবেন। মুক্তিযুদ্ধে আপনার এলাকা কোনো সেক্টরের মধ্যে ছিল—এই প্রশ্নের উত্তরও জানতে হবে। পাশাপাশি এলাকার বিখ্যাত কোনো রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি থাকলে, তাঁদের অবদান ও সামগ্রিক দিক সম্পর্কেও ভালোভাবে জেনে যাবেন। এ ছাড়া আপনার পঠিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সার্থকতা নিয়েও জিজ্ঞেস করা হতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকই নয়, সব ভাইভা বোর্ডের পছন্দের বিষয়। তাই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাবতীয় ইতিহাস ক্রমানুসারে মনে রাখার চেষ্টা করবেন। সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম, মুজিবনগর সরকার এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও অবদান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জেনে নেবেন, যা আপনাকে ভাইভা বোর্ডে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে।

ব্যাংকিং বিষয়ক জ্ঞান
আপনি যে ব্যাকগ্রাউন্ডেরই হোন না কেন ব্যাংকিং বিষয়ে বেসিক কিছু প্রশ্ন এবং রিসেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ ভাইভা বোর্ডে করা হবেই। বর্তমানে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা, ডিজিটাল ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের নাম, বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ, বিদেশী ব্যাংক, কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া ব্যাংক মার্জারগুলো, কিছু ব্যাংকিং টার্ম যেমন-CRR, SLR, Repo rate, Reverse repo rate, policy rate (বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিদ্যমান), BEFTN, SWIFT, NPSB, RTGS, BACPS, BACH, NPL,  ATM, Classified Loan, বিভিন্ন ব্যাংক স্কিম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা স্কিম যেমন- ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভাগসমূহ ও তাদের কার্যক্রম-সচিবদের নাম, মানিটারি পলিসি, ফিসক্যাল পলিসি—এসব পলিসির উপাদান, কারা এসব বাস্তবায়ন করে, কীভাবে বাজেটের ঘাটতি পূরণ করা হয়, এসব বিষয়ে জানতে হবে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ, রকেট, নগদ—এগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাংশন, বিভিন্ন সরকারী ট্রেজারী বিল ও বন্ড, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানাবিধ পলিসি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সেন্ট্রাল ব্যাংকের পদক্ষেপ প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন আসাটা কমন।

সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান
ভাইভা বোর্ডে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ও বিদেশে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে। সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, এসব যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের অবস্থান, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রিজার্ভ সংকট, বাজেট ২০২৪-২৫, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, সর্বজনীন পেনশন স্কীম বিশেষ করে প্রত্যয় স্কীমের বিস্তারিত, ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট, ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণখেলাপী, অর্থপাচার,  বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টগুলো, আইএমএফের ঋণ ও আরোপিত শর্তাবলী, ঘুর্ণিঝড় রেমাল,  টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ সহ যাবতীয় রিসেন্ট টপিকগুলো ভালভাবে জেনে যাবেন। ভাইভার দিনের বাংলা সাল ও তারিখ জেনে যাবেন। ভাইভার দিনের পত্রিকার হেডলাইনগুলো চোখ বুলিয়ে নেবেন।

যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে

  • ভাইভা বোর্ডে অবশ্যই সালাম দিয়ে আদবের সাথে প্রবেশ ও প্রস্থান করবেন।
  • সবসময় একটি হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ধরে রাখবেন, এটি আপনার প্রতি একটি পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি করবে।
  • কখনো বোর্ড মেম্বারদের সাথে তর্কে জড়াবেন না এবং কোন ইস্যুতে বিতর্কিত কোন জবাব দিবেননা। কিছু না পারলে অথবা আপনি সহমত না হলে ’সরি স্যার’ বলে দিবেন অথবা ’আমাকে বিষয়টি আরো একটু জানতে হবে’ ’এই মুহুর্তে মনে করতে পারছিনা’—এমন বলবেন। বোর্ড মেম্বারদের সাথে তর্কে জড়ানো নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার মত একটা বিষয়।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তরের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ, প্রার্থী ৩২৮

চাকরি ডেস্ক 
ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তরের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ, প্রার্থী ৩২৮

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন জোনাল সেটেলমেন্ট ও উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৩২৮ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। গত ৬ নভেম্বর অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পদগুলো হলো: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর এসব পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌখিক পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনের ৮১২ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

এগুলো হলো: আবেদনের কপি, রঙিন প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ এবং মূল জাতীয় পরিচয়পত্রসহ আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা সব সনদপত্রের মূল কপি; সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের (রঙিন) ২ কপি ছবিসহ দাখিল করা সব সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ১ সেট জমা দিতে হবে; যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা প্রার্থীদের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অগ্রায়নপত্র এবং বিদ্যমান কোটার সমর্থনে দাখিল করা সনদপত্রের মূল কপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চসিকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৭

চাকরি ডেস্ক 
চসিকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৭

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একাধিক পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৬৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। চসিক কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পদগুলো হলো: স্বাস্থ্য সহকারী ও এস্টেট অফিসার। এর আগে গত ৬ নভেম্বর এসব পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়ের বিষয়ে প্রার্থীদেরকে জব পোর্টালের এসএমএস এবং করপোরেশনের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে মৌখিক পরীক্ষার সময়ে অবশ্যই প্রবেশপত্রসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের মূল সনদপত্রসহ আধা ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিসিএসের নমুনা ভাইভা: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন মো. আরিফ হোসাঈন। তিনি ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। তাঁর ভাইভার অভিজ্ঞতার আলোকে নমুনা ভাইভা তুলে ধরেছেন মোছা. জেলি খাতুন

মোছা. জেলি খাতুন
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৭
বিসিএসের নমুনা ভাইভা: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?

আরিফ হোসাঈন: After opening the door, I asked politely, ‘May I come in, sir?’

চেয়ারম্যান: Yes, come in. take your seat.

আরিফ হোসাঈন: I entered the viva room and gave salam to the board members individually, and then took my seat.

চেয়ারম্যান: You are Md. Arif Hossain. Your first choice is administration, and your second choice is customs and excise. Is it right?

আরিফ হোসাঈন: Yes, sir.

চেয়ারম্যান: What are you doing now as a profession?

আরিফ হোসাঈন: Currently, I’m working as a lecturer at Bir Shreshtha Nur Mohammad Public College, BGB Headquarters, Pilkhana, Dhaka. I teach geography up there.

চেয়ারম্যান: What is the difference between Political Geography and Cultural Geography?

আরিফ হোসাঈন: Cultural geography is a branch of human geography that discusses the pattern and process of human culture across space. On the other hand, Political geography investigates the influence of geographical locations on world politics across borders.

চেয়ারম্যান: What is geopolitics?

আরিফ হোসাঈন: Geopolitics is the investigation of the impacts of geographical locations and attributes of a political entity on its status in global politics and international relations.

চেয়ারম্যান: Do you think geography is a factor in foreign policy?

আরিফ হোসাঈন: Yes, sir. But, there are other factors like population size, territory size, military strength, and others too.

চেয়ারম্যান: What do you mean by ‘Culture’.

আরিফ হোসাঈন: Culture is the way of living.

চেয়ারম্যান: Our constitution is made of what things?

আরিফ হোসাঈন: Our national constitution has 153 articles and 7 schedules.

চেয়ারম্যান: Anything else? Preamble?

আরিফ হোসাঈন: Yes, sir. Our constitution has a preamble.

চেয়ারম্যান: What does it say?

আরিফ হোসাঈন: The Preamble of our constitution is actually a guiding principle. It states the historical background, relevance, and urgency of its formulation in 4 different parts of its body.

চেয়ারম্যান: Do you think social media is good for the present society?

আরিফ হোসাঈন: Yes, sir. I think so.

চেয়ারম্যান: How? Nowadays, we see a lot of disinformation on Facebook. How do you see that?

আরিফ হোসাঈন: Sir, social media platforms helps social integration across the globe. However, everything has its positive and negative sides. We need to accept the positive things at first. Flooding of Disinformation on social media is a kind of challenge we need to overcome.

চেয়ারম্যান: Students are now remaining engaged on social media platforms. How do you see that?

আরিফ হোসাঈন: Being a teacher, I’m anxious too about their future. But I think using social media platforms, students can learn a lot of things beyond their syllabus. It’s an opportunity for them to explore diverse knowledge bases.

এক্সটার্নাল-১: So, you are a student of geography. Tell us the types of economic activities.

আরিফ হোসাঈন: There are three types of economic activities-primary, secondary, and tertiary. Besides, there are quaternary economic activities too.

এক্সটার্নাল-১: How these three types are interrelated?

আরিফ হোসাঈন: Primary economic activities are those economic activities of humans that are directly related to natural resources. e.g., agriculture, fishing, mining, etc. Secondary economic activities are involved with the processing and transformation of natural resources obtained in primary economic activities. Tertiary economic activities are all kinds of service-related activities.

When a woodcutter collects wood from the forest, it is regarded as a primary economic activity. Now we are sitting in well-furnished wooden furniture. Furniture industries have converted this wood into finished furniture goods; thus, economic activities upto there are secondary. On the other hand, employees working in furniture shops like Otobi and others are engaged in tertiary economic activities. It’s kind of a chain.

এক্সটার্নাল-১: Can you tell us migration theory?

আরিফ হোসাঈন: Sorry sir, I can’t remember this right now. But I can say at least some factors. There are push and pull factors of migration.

এক্সটার্নাল-১: We see a lot of people coming to the urban areas from remote rural areas of Bangladesh. Who are they?

আরিফ হোসাঈন: Sir, actually they are climate migrants. Due to the impacts of climate change and other push factors, these people are often forced to migrate from rural areas.

এক্সটার্নাল-২: সিভিল সার্ভেন্ট কারা?

মো. আরিফ হোসাঈন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা জনগণকে সেবা দেয় এবং সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।

এক্সটার্নাল-২: বাংলাদেশের সংবিধানে সিভিল সার্ভেন্টদের দায়িত্ব সম্পর্কে কত নম্বর অনুচ্ছেদ বলা আছে?

আরিফ হোসাঈন: ২১(২) নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা আছে।

এক্সটার্নাল-২: সেখানে কী বলা আছে?

আরিফ হোসাঈন: সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্য কর্তব্য হইবে।

এক্সটার্নাল-২: খুব ভালো। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান সম্পর্কে বলুন।

আরিফ হোসাঈন: ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় করাচি থেকে একটি T-33 প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় বিমান দুর্ঘটনায় শহীদ হন।

এক্সটার্নাল-২: তাঁকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে।

আরিফ হোসাঈন: মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

এক্সটার্নাল-২: আপনার ভাইভা বেশ ভালো হয়েছে। আপনি তো বেশ স্মার্ট।

আরিফ হোসাঈন: ধন্যবাদ ম্যাডাম।

চেয়ারম্যান: আপনি এবার আসতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সঞ্চয়ের জাপানি পথ ‘কাকেবো’ পদ্ধতি

সাব্বির হোসেন
সঞ্চয়ের জাপানি পথ ‘কাকেবো’ পদ্ধতি

প্রতিটি মাসের শুরুতে আমরা যেন নতুন এক আশার বীজ বুনি। এই মাস থেকে নিয়ম করে টাকা জমাব; কিন্তু বেতন হাতে এলে দেখা যায়, সে প্রতিজ্ঞা রাখা যায় না। টাকার হিসাব মেলানোই কঠিন হয়ে পড়ে। বড় কোনো বিলাসিতা নয়, ছোট ছোট খরচই নিঃশেষ করে দেয় সঞ্চয়ের সম্ভাবনা। ছোট ছোট খরচই মাস শেষে বড় অঙ্কে দাঁড়ায়। ঠিক এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছিল জাপান শত বছর আগেই।

কাকেবো কী?

১৯০৪ সালে এক নারীর হাত ধরে জন্ম নেয় এক ব্যতিক্রমী আর্থিক দর্শন ‘কাকেবো’। শব্দটির অর্থ ‘পরিবারের হিসাবের খাতা’। আজও এটি জাপানিদের অর্থনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাকেবোর জনক জাপানের প্রথম নারী সাংবাদিক হানি মোতোকো। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘সঞ্চয় কোনো কষ্টের বিষয় নয়; বরং তা একধরনের আনন্দ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও জীবনের ভারসাম্যের প্রতীক।’ মূলত কাকেবোতে নিজের আয়, ব্যয়, সঞ্চয় ও ভাবনাগুলো লিখে রাখা হয়। এই লেখালেখির মধ্য দিয়ে মানুষ নিজের অর্থনৈতিক আচরণকে চেনার সুযোগ পায়।

কাকেবো দর্শনের মূলকথা

কাকেবোর সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, ‘সঞ্চয় খরচের পরের বিষয় নয়; বরং খরচেরই অংশ।’ আমরা সাধারণত খরচ শেষে যা অবশিষ্ট থাকে, সেটিই সঞ্চয় হিসেবে ধরি। কিন্তু কাকেবো বলে প্রথমে সঞ্চয়ের পরিমাণ ঠিক করুন, তারপর খরচের পরিকল্পনা করুন।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মাসিক আয় ২০,০০০ টাকা হয় এবং আপনি ২,০০০ টাকা সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, তাহলে বেতন হাতে পেয়েই সে টাকা আলাদা করে রাখুন। এখন আপনার হাতে থাকা ১৮,০০০ টাকাই আসল বাজেট।

এই মনস্তাত্ত্বিক ধাপটি ছোট মনে হলেও, এটি বদলে দিতে পারে আপনার অর্থ ব্যবস্থাপনার পুরো ধরন।

কাকেবো অনুসরণের পাঁচটি ধাপ

১. মাসিক আয় ও নির্দিষ্ট ব্যয় লিখে ফেলুন: বাড়িভাড়া, বাজার, বিল, স্কুল ফি, পরিবহন—এসব নির্দিষ্ট ব্যয় তালিকাভুক্ত করুন। এতে বোঝা যাবে, মাসের শুরুতে হাতে কত টাকা অবশিষ্ট থাকবে।

২. সঞ্চয়কে ধরুন ‘আবশ্যিক ব্যয়’ হিসেবে: অনেকে সঞ্চয়কে ঐচ্ছিক মনে করেন; কিন্তু কাকেবো শেখায় সঞ্চয়ও একধরনের প্রয়োজনীয় খরচ। খরচ শুরু করার আগে সঞ্চয়ের টাকা আলাদা করে রাখুন, যেন তা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না হয়।

৩. প্রতিদিনের খরচ লিখে রাখুন: এটি কাকেবোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মোবাইল অ্যাপে নয়, কাগজে লিখুন প্রতিদিনের ব্যয়। যেমন ২ আগস্ট: কফি ২০০, বাজার ১,৫০০, বিদ্যুৎ বিল ৮০০ টাকা। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, হাতে লিখলে মস্তিষ্কে বিষয়টি বেশি স্থায়ী হয়। তাই কাকেবোতে হাতে লেখার অভ্যাসই সবচেয়ে কার্যকর।

৪. খরচকে চার শ্রেণিতে ভাগ করুন: কাকেবোতে খরচ চার বিভাগে বিভক্ত—

■ আবশ্যিক খরচ: খাবার, ভাড়া, পরিবহন, বিল ইত্যাদি।

■ ইচ্ছাধীন খরচ: বাইরে খাওয়া, শখের কেনাকাটা, ভ্রমণ।

■ সাংস্কৃতিক খরচ: বই, সিনেমা, কোর্স।

■ অপ্রত্যাশিত বা জরুরি খরচ: চিকিৎসা, উপহার, উৎসব।

এই শ্রেণিবিন্যাসের ফলে বোঝা সহজ হয়, কোথায় টাকাটা বেশি যাচ্ছে, আর কোথায় কমানো সম্ভব।

৫. মাস শেষে হিসাব পর্যালোচনা করুন: মাস শেষে খাতা খুলে দেখুন, লক্ষ্য অনুযায়ী সঞ্চয় হয়েছে কি না।

ধরা যাক, আপনার আয় ২০,০০০ টাকা, সঞ্চয়ের লক্ষ্য ২,০০০; কিন্তু খরচ হয়েছে ২০,২০০ টাকা। অর্থাৎ আপনি ২,২০০ টাকার ঘাটতিতে আছেন। এখন ভাবুন, কোথায় কাটছাঁট করা যায়, কীভাবে পরের মাসে উন্নতি সম্ভব।

কেন এখনো জনপ্রিয় কাকেবো?

আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ ও ক্রেডিট কার্ডের যুগে বাস করছি। কিন্তু এত প্রযুক্তির মধ্যেও অনেকে সঞ্চয় করতে পারেন না। কারণ প্রযুক্তি হিসাব রাখে; কিন্তু সচেতনতা সৃষ্টি করে না। কাকেবো মানুষকে শেখায় নিজের অর্থনৈতিক আচরণ নিয়ে ভাবতে, লিখতে এবং সংশোধন করতে। এ কারণে শতাব্দী পেরিয়েও কাকেবো শুধু জনপ্রিয় নয়; বরং জাপানে এটি পারিবারিক শিক্ষার অংশ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ওয়ার্কলাইফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মঞ্জু, ‘প্রকৃত সত্য সামনে আসবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত