Ajker Patrika

নামাজ কখন গুনাহের অন্তরায় হয়

মাহমুদ হাসান ফাহিম
নামাজ কখন গুনাহের অন্তরায় হয়

নামাজ এমন ইবাদত, যার সুফল ও সুপ্রভাব নামাজির জীবনের সর্বত্র অনুভূত হয়। আর এটাই বাস্তবতা। যার নামাজ সুন্দর, তার সবকিছু সুন্দর। তার জন্য পাপের পথ সংকীর্ণ এবং পুণ্যের পথ সুগম হয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দকর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘ওই সব মুমিন সফল, যারা তাদের নামাজে (আল্লাহর ভয়ে) ভীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১ ও ২)

ভয় ও আশা, একাগ্রতা ও তন্ময়তাসহ যে নামাজ আদায় করা হয়, তা প্রকৃত নামাজ; যা মুসল্লির জীবনে প্রভাব সৃষ্টি করে। তাকে সুন্দর থেকে সুন্দরতম জীবন উপহার দেয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, আমাদের জীবনে নামাজের কোনো প্রভাব নেই বললেই চলে। বেনামাজি যেমন মন্দ ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অনেক মুসল্লিও এমন কাজে লিপ্ত হন। নামাজি ও বেনামাজির জীবনে তেমন পার্থক্য আমরা দেখি না।

এর কারণ হলো, আমাদের নামাজের বাহ্যিক আকার-আকৃতিটুকুই শুধু বাকি আছে। নামাজের হকিকত ও চিরন্তনতা একেবারে হারিয়ে গেছে। তো এমন নিষ্প্রাণ নামাজ কী প্রভাব ফেলতে পারে নামাজির জীবনে? এ জন্যই লোকদেখানো ও অলসতার নামাজ সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘অভিসম্পাত ওই মুসল্লিদের ওপর, যারা তাদের নামাজের প্রতি উদাসীন এবং যারা লোক দেখায়।’ (সুরা মাউন: ৮ ও ৯)

তাবরানির এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সময় গড়িয়ে যাওয়ার পর মন্দভাবে নামাজ পড়ে, তার নামাজ কালো অন্ধকার রূপ ধারণ করে রওনা হয়, আর বলে যায়—আল্লাহ তোমাকে বরবাদ করুক, যেমন তুমি আমাকে বরবাদ করেছ, আর ওই নামাজকে মুসল্লির মুখের ওপর নোংরা ন্যাকড়ার মতো ছুড়ে মারা হয়।’ (তাবরানি: ৩১৯০)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত