সানজিদা জাহান শাম্মী
ইসলামে কোনো জীবকেই কষ্ট দেওয়ার অনুমতি নেই। বরং জীবের প্রতি দয়া করা মহৎ ও সওয়াবের কাজ। আমাদের উচিত, মহান আল্লাহর সব সৃষ্টিজীবের প্রতি সদয় হওয়া। এতে তিনি খুশি হন। অনেকে বুঝে না-বুঝে জীবের প্রতি সদয় হয় না; এমনকি বিভিন্ন প্রাণীকে অত্যাচার করে, শরীরে আঘাত করে, ঠিকমতো খেতে দেয় না। এসব কাজে আল্লাহ তাআলা নারাজ হন।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একটি বিড়ালের কারণে একজন নারীকে আজাব দেওয়া হয়েছিল। খেতে না দিয়ে সে একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। ফলে বিড়ালটি মারা যায়। এ জন্যই সে জাহান্নামে যায়। বিড়ালটি বাঁধার পর মহিলাটি তাকে খেতেও দেয়নি, পানও করায়নি। আর তাকে ছেড়েও দেয়নি। ছেড়ে দিলে বিড়ালটি জমিনের পোকামাকড় খেতে পারত।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এসেছে, সুহাইল ইবনে হানযালিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন একটি ক্ষুধার্ত উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার পিঠ পেটের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। এটি দেখে তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্হীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। উত্তম অবস্থায় এর ওপর আরোহণ করো এবং উত্তম অবস্থায় তাকে ছাড়ো।’ (আবু দাউদ)
গৃহপালিত পশুপাখির প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। তাদের নিয়মিত খাবারদাবারের বন্দোবস্ত করা উচিত। সাধ্যাতীত কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বৈধ নয়। অসুখবিসুখে তাদের বিশ্রাম দিতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এসব নির্বাক পশুদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠেই আরোহণ করো এবং তাদের ভালোভাবে খাওয়াও।’ (আবু দাউদ: ২৫৪৮)
এক হাদিসে ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি কোনো পশুর মুখমণ্ডলে দাগ দেওয়াকে অপছন্দ করতেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) পশুর মুখমণ্ডলে মারতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি)
শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ইসলামে কোনো জীবকেই কষ্ট দেওয়ার অনুমতি নেই। বরং জীবের প্রতি দয়া করা মহৎ ও সওয়াবের কাজ। আমাদের উচিত, মহান আল্লাহর সব সৃষ্টিজীবের প্রতি সদয় হওয়া। এতে তিনি খুশি হন। অনেকে বুঝে না-বুঝে জীবের প্রতি সদয় হয় না; এমনকি বিভিন্ন প্রাণীকে অত্যাচার করে, শরীরে আঘাত করে, ঠিকমতো খেতে দেয় না। এসব কাজে আল্লাহ তাআলা নারাজ হন।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একটি বিড়ালের কারণে একজন নারীকে আজাব দেওয়া হয়েছিল। খেতে না দিয়ে সে একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। ফলে বিড়ালটি মারা যায়। এ জন্যই সে জাহান্নামে যায়। বিড়ালটি বাঁধার পর মহিলাটি তাকে খেতেও দেয়নি, পানও করায়নি। আর তাকে ছেড়েও দেয়নি। ছেড়ে দিলে বিড়ালটি জমিনের পোকামাকড় খেতে পারত।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এসেছে, সুহাইল ইবনে হানযালিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন একটি ক্ষুধার্ত উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার পিঠ পেটের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। এটি দেখে তিনি বললেন, ‘তোমরা এসব বাক্হীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। উত্তম অবস্থায় এর ওপর আরোহণ করো এবং উত্তম অবস্থায় তাকে ছাড়ো।’ (আবু দাউদ)
গৃহপালিত পশুপাখির প্রতি আমাদের দায় রয়েছে। তাদের নিয়মিত খাবারদাবারের বন্দোবস্ত করা উচিত। সাধ্যাতীত কাজ তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বৈধ নয়। অসুখবিসুখে তাদের বিশ্রাম দিতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এসব নির্বাক পশুদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ-সবল পশুর পিঠেই আরোহণ করো এবং তাদের ভালোভাবে খাওয়াও।’ (আবু দাউদ: ২৫৪৮)
এক হাদিসে ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি কোনো পশুর মুখমণ্ডলে দাগ দেওয়াকে অপছন্দ করতেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) পশুর মুখমণ্ডলে মারতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি)
শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মানবতার এক মহান কাজ ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া । ইসলামে একে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ ( সা . ) - কে প্রশ্ন করলেন , ‘ ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ ? ” তিনি বললেন , ‘ ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো । ' ( সহিহ্ বুখারি : ১২ ,
৪ ঘণ্টা আগেরমজান মাস এবং ফরজ রোজা শেষ হলেও বছরজুড়ে বিভিন্ন রোজা রয়েছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেসব রোজার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১৮ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে বিপদ-আপদ অন্যতম এক মাধ্যম। দুঃখ-কষ্ট, রোগ-বালাই, অভাব-অনটন, বিরহ-টেনশন বা প্রিয়জনের বিয়োগ—এসবই হতে পারে একেকটি পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন, ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি...
১ দিন আগে