মুফতি খালিদ কাসেমি
জাহেলি যুগে নারীরা ছিল লাঞ্ছিত, অপমানিত। সমাজে তাদের কোনো অধিকার স্বীকার করা হতো না। তাদের মনে করা হতো বোঝাস্বরূপ। মহানবী (সা.) নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। উম্মতকে তিনি নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নারীদের প্রতি কল্যাণের উপদেশ গ্রহণ করো।’ (মুসলিম)
নারীদের শিক্ষার প্রতি নবীজি (সা.) গুরুত্ব দিতেন। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে তাদের শিক্ষা দিতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, এক নারী নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনার হাদিস তো কেবল পুরুষেরা শুনতে পান। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক দিন নির্ধারণ করে দিন, যেদিন আমরা আপনার কাছে আসব। আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে আপনি আমাদের শিক্ষা দেবেন।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক স্থানে সমবেত হবে।’ তারপর তাঁরা সমবেত হলেন এবং নবী (সা.) তাঁদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে তাঁদের শিক্ষা দিলেন।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) কোনো নারীকে ভুল করতে দেখলে নম্র ভাষায় সংশোধন করে দিতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) এক নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যিনি কবরের পাশে কাঁদছিলেন। নবীজি (সা.) বললেন, ‘তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং সবর করো।’ ওই নারী বললেন, ‘আমার কাছ থেকে চলে যান। আপনার ওপর তো আমার মতো বিপদ আসেনি।’ তিনি নবীজি (সা.)-কে চিনতে পারেননি। পরে তাঁকে বলা হলো, তিনি তো নবীজি (সা.)। তখন তিনি নবীজির দরবারে হাজির হলেন। সেখানে কোনো পাহারাদার পেলেন না। তিনি আরজ করলেন, ‘আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘সবর তো বিপদের প্রথম অবস্থাতেই হয়।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জাহেলি যুগে নারীরা ছিল লাঞ্ছিত, অপমানিত। সমাজে তাদের কোনো অধিকার স্বীকার করা হতো না। তাদের মনে করা হতো বোঝাস্বরূপ। মহানবী (সা.) নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। উম্মতকে তিনি নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা নারীদের প্রতি কল্যাণের উপদেশ গ্রহণ করো।’ (মুসলিম)
নারীদের শিক্ষার প্রতি নবীজি (সা.) গুরুত্ব দিতেন। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে তাদের শিক্ষা দিতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, এক নারী নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনার হাদিস তো কেবল পুরুষেরা শুনতে পান। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক দিন নির্ধারণ করে দিন, যেদিন আমরা আপনার কাছে আসব। আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে আপনি আমাদের শিক্ষা দেবেন।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক স্থানে সমবেত হবে।’ তারপর তাঁরা সমবেত হলেন এবং নবী (সা.) তাঁদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে তাঁদের শিক্ষা দিলেন।’ (বুখারি)
মহানবী (সা.) কোনো নারীকে ভুল করতে দেখলে নম্র ভাষায় সংশোধন করে দিতেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) এক নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যিনি কবরের পাশে কাঁদছিলেন। নবীজি (সা.) বললেন, ‘তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং সবর করো।’ ওই নারী বললেন, ‘আমার কাছ থেকে চলে যান। আপনার ওপর তো আমার মতো বিপদ আসেনি।’ তিনি নবীজি (সা.)-কে চিনতে পারেননি। পরে তাঁকে বলা হলো, তিনি তো নবীজি (সা.)। তখন তিনি নবীজির দরবারে হাজির হলেন। সেখানে কোনো পাহারাদার পেলেন না। তিনি আরজ করলেন, ‘আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘সবর তো বিপদের প্রথম অবস্থাতেই হয়।’ (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
২০ মিনিট আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
২ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগে