
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন একজন। তাঁকে কাবার তত্ত্বাবধায়ক বা চাবিরক্ষক বলা হয়। তবে এই চাবিরক্ষক সবাই হতে পারেন না। এই দায়িত্ব শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) একটি নির্দিষ্ট বংশের হাতে দিয়ে গেছেন। সেই বংশ থেকেই নির্বাচিত হন কাবা শরিফের তত্ত্বাবধায়ক।
কাবা শরিফ তত্ত্বাবধানের ইতিহাস
মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাবার তত্ত্বাবধান ও চাবিরক্ষকের দায়িত্ব ছিল ওসমান ইবনে তালহা ওপর। মক্কা বিজয়ের দিন নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে চাবি চাইলেন। ওসমান বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে চাবি চান। তখন ওসমানের মা চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তবে সাহাবি ওসমান (রা.) জোর করে চাবি নিয়ে আসেন। চাবি এনে তিনি রাসুল (সা.)–কে দেন। এরপর আল্লাহর রাসুল কাবার দরজা খুলে ওসমান ইবন তালহাকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
চিরদিনের জন্য চাবির দায়িত্ব অর্পণ
এরপর কাবা শরিফ থেকে বেরিয়ে এসে রাসুল (সা.) কাবা শরিফের চাবির দায়িত্ব চিরদিনের জন্য ওসমান ইবন তালহার গোত্রের ওপর অর্পণ করেন। যদিও এই চাবির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আলী ও আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে।
মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরিফের চাবি হজরত ওসমান ইবনে তালহার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
এরপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর ধরে আরবের বানু শাইবা সম্প্রদায় পবিত্র কাবা ঘরের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষিত থাকে। এই শাইবা গোত্র ওসমান ইবন তালহার চাচাতো ভাই শাইবা ইবন ওসমান ইবন আবু তালহার বংশধর।
ওসমান ইবনে তালহার ইসলাপূর্ব পরিচয়
ওসমান ইবন তালহার ইসলামপূর্ব জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুসয়াব ইবন উমাইর ইসলাম গ্রহণের পর মক্কার দারুল আরকামে গোপনে নামাজ আদায় করতেন। একদিন ওসমান ইবনে তালহা তা দেখে ফেলেন এবং তাঁর মা ও গোত্রের কানে পৌঁছে দেন। ফলে তাঁরা মুসয়াবকে বন্দী করে নির্যাতন করেন।
সিরাতু ইবন হিশামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, উম্মু সালামা ইসলাম গ্রহণের পর নিজ কন্যাকে নিয়ে স্বামী আবু সালামা (রা.)–এর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একাকী মদিনার পথে রওনা হলে ওসমান ইবন তালহা তাঁকে সাহায্য করেন এবং তাঁকে মদিনার উপকণ্ঠ কুবার বনী আমর ইবন আউফের পল্লিতে পৌঁছে দেন।
ইসলাম গ্রহণ
ইসলাম গ্রহণের সময় নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। আল ইসাবার বর্ণনামতে, ওসমান হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং খালিদ ও আমরের সঙ্গে মদিনায় যান। আবার হায়াতুস সাহাবার বর্ণনায় দেখা যায়, মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরির সফর মাসে খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ, আমর ইবনুল আস ও ওসমান ইবন তালহা একসঙ্গে মদিনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কবি আবদুল্লাহ ইবন যাবয়ারী তাঁদের স্বাগত জানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।
বংশপরিচয়
তাঁর পিতার নাম তালহা ইবন আবী তালহা এবং মাতার নাম উম্মু সাঈদ সালামা। মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আমর শাখার সন্তান। ওসমান ইবন তালহার পিতা তালহা ও তাঁর তিন ভাই মুসাফি, কিলাব ও হারেস এবং তাঁর পিতা তালহা ইবন আবী তালহা ও চাচা ওসমান ইবনে আবী তালহা উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। তাঁর পিতা আলীর হাতে নিহত হন।
ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন, কাবার চাবির দায়িত্বে ছিলেন ওসমান ইবন তালহা। তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার কাবার দরজা খুলতেন। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ভিন্ন একদিন দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি অত্যন্ত শক্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
২৪ জুন ২০২৪
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
২৪ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
২৪ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।
২৪ জুন ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১৩ ঘণ্টা আগে