মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কোরবানির নিয়ম ঠিক করে দিয়েছি, যাতে (সেই উম্মতের) লোকজন সেসব পশুর ওপর আল্লাহর নাম নেয়, যেগুলো তিনি তাদের দিয়েছেন। (বিভিন্ন নিয়মের উদ্দেশ্য একই) কাজেই তোমাদের ইলাহও সেই একজনই এবং তোমরা তাঁরই ফরমানের অনুগত হয়ে যাও। আর হে নবী, সুসংবাদ দাও বিনয়ের নীতি অবলম্বনকারীদের।’ (সুরা হজ: ৩৪)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আদম (আ.) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবী-রাসুলের শরিয়তে কোরবানির বিধান ছিল। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)। তবে পবিত্র কোরআনে শুধু দুটি কোরবানির ঘটনা সরাসরি আলোচিত হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবের রেফারেন্সে বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য তাফসিরের কিতাবে আরও দু-একটা কোরবানির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানি
আদম (আ.)-এর দুই সন্তান হাবিল ও কাবিল দুজনই এক মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছিলেন। এ সমস্যা নিরসনে তখনকার শরিয়তের বিধান অনুসারে দুজনকেই কোরবানি দিতে বলা হলো। হাবিল নিজের খামার থেকে একটি দুম্বা এবং কাবিল নিজের খেত থেকে কিছু সবজি কোরবানির জন্য পেশ করেন। দুজনের মধ্যে হাবিলের উদ্দেশ্য সৎ ছিল বিধায় আল্লাহ তাআলা তাঁর কোরবানি কবুল করেন। তখন কোরবানি কবুল হওয়ার আলামত ছিল, আসমান থেকে আগুন এসে কোরবানির জন্য পেশকৃত বস্তু জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিত। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন) কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তুমি তাদের যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করবই। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
নুহ (আ.)-এর কোরবানি
মুসলিম ঐতিহাসিক মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, মহাপ্লাবন শুরু হয়ে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের ২৬তম দিনে নুহ (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে জাহাজ থেকে নামার আদেশ পান। নেমেই প্রথমে তিনি জন্তু জবাইয়ের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করেন। এরপর সব ধরনের হালাল পশু ও পাখি থেকে বাছাই করে সেগুলোকে আল্লাহর নামে কোরবানির উদ্দেশ্যে জবাই করলেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২৭৫)
ইলিয়াস (আ.)-এর কোরবানি
বনি ইসরাইলের একটি অংশ মূর্তিপূজায় জড়িয়ে পড়েছিল। বাআল নামের একটি দেবতার পূজা করত তারা। রাজা আখিয়াব ও তাঁর স্ত্রী ইসাবেল এই শিরকি কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। বাআল দেবতার দূত পরিচয়ে সাড়ে চার শ ভণ্ড নবীও ছিল তাদের মাঝে। ইলিয়াস (আ.) তাদের আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হন। তিনি দাওয়াত দিতে শুরু করলে রাজা তাঁকে হত্যা করতে চাইলেন। তখন ইলিয়াস (আ.) দোয়া করলে তাদের ওপর চরম দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। এ সময় ইলিয়াস (আ.) রাজদরবারে গিয়ে বললেন, ‘এই দুর্ভিক্ষের একমাত্র কারণ হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত বাদ দিয়ে বাআল দেবতার ইবাদত করা। আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য, আর কেউ নয়। বিশ্বাস না হলে চলুন, আমি আল্লাহর নামে কোরবানি করে তাঁর কাছে দোয়া করি, আর আপনার বাআল দেবতার নবীরা তার নামে কোরবানি দিয়ে তার কাছে দোয়া করুক। তারপর যার কোরবানি কবুল হবে, সেই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।’ রাজা সম্মত হলেন। এরপর কারামেল পাহাড়ে বাআল দেবতার কথিত নবীরা নিজ নিজ কোরবানি পেশ করে তার কাছে দুর্ভিক্ষ তুলে নেওয়ার দোয়া করলেন। কোনো কাজ হলো না। এরপর ইলিয়াস (আ.) নিজের কোরবানির জন্তু পেশ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। তখনই আসমান থেকে আগুন এসে তাঁর কোরবানি ভস্ম করে দিল এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে এল। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
হজরত ইবরাহিম (আ.) ৮৭ বছর বয়সে প্রথম বাবা হন। নিজের প্রথম ও তখন পর্যন্ত একমাত্র সন্তান ইসমাইল (আ.) যখন পিতার সহযোগী হওয়ার বয়সে উপনীত হলেন, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এল কঠিন এক নির্দেশ—আদরের সন্তানকে কোরবানির উদ্দেশ্যে জবাই করতে হবে। ইবরাহিম (আ.) এই কঠিন নির্দেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। ছেলে ইসমাইলও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। কোরবানির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ছেলের গলায় ছুরি চালাতে যাবেন এমন সময় আল্লাহ জানালেন, এটা তাঁর পক্ষ থেকে পরীক্ষা ছিল আর ইবরাহিম তাতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন। এ সময় ফেরেশতার মাধ্যমে জান্নাত থেকে একটা দুম্বা পাঠানো হয়, যেটা ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে জবাই করা হয়। পবিত্র কোরআনে এই পুরো ঘটনা সুরা সাফফাতের ১০১ থেকে ১০৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
ইসলামে ইবরাহিম (আ.)-এর এই ত্যাগের ঘটনাকে চিরভাস্বর করে রাখতে প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে নির্ধারিত জন্তু জবাইয়ের মাধ্যমে কোরবানি করা হয়। (ইবনে মাজাহ)। শুধু ইসলামেই নয়, ইবরাহিম (আ.)-এর এ বিধান মুসা, ঈসা (আ.)-সহ তাঁর বংশের সব নবী-রাসুলের মাঝে প্রচলিত ছিল।
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কোরবানির নিয়ম ঠিক করে দিয়েছি, যাতে (সেই উম্মতের) লোকজন সেসব পশুর ওপর আল্লাহর নাম নেয়, যেগুলো তিনি তাদের দিয়েছেন। (বিভিন্ন নিয়মের উদ্দেশ্য একই) কাজেই তোমাদের ইলাহও সেই একজনই এবং তোমরা তাঁরই ফরমানের অনুগত হয়ে যাও। আর হে নবী, সুসংবাদ দাও বিনয়ের নীতি অবলম্বনকারীদের।’ (সুরা হজ: ৩৪)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আদম (আ.) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবী-রাসুলের শরিয়তে কোরবানির বিধান ছিল। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)। তবে পবিত্র কোরআনে শুধু দুটি কোরবানির ঘটনা সরাসরি আলোচিত হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবের রেফারেন্সে বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য তাফসিরের কিতাবে আরও দু-একটা কোরবানির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানি
আদম (আ.)-এর দুই সন্তান হাবিল ও কাবিল দুজনই এক মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছিলেন। এ সমস্যা নিরসনে তখনকার শরিয়তের বিধান অনুসারে দুজনকেই কোরবানি দিতে বলা হলো। হাবিল নিজের খামার থেকে একটি দুম্বা এবং কাবিল নিজের খেত থেকে কিছু সবজি কোরবানির জন্য পেশ করেন। দুজনের মধ্যে হাবিলের উদ্দেশ্য সৎ ছিল বিধায় আল্লাহ তাআলা তাঁর কোরবানি কবুল করেন। তখন কোরবানি কবুল হওয়ার আলামত ছিল, আসমান থেকে আগুন এসে কোরবানির জন্য পেশকৃত বস্তু জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিত। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন) কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তুমি তাদের যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করবই। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
নুহ (আ.)-এর কোরবানি
মুসলিম ঐতিহাসিক মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, মহাপ্লাবন শুরু হয়ে এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের ২৬তম দিনে নুহ (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে জাহাজ থেকে নামার আদেশ পান। নেমেই প্রথমে তিনি জন্তু জবাইয়ের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করেন। এরপর সব ধরনের হালাল পশু ও পাখি থেকে বাছাই করে সেগুলোকে আল্লাহর নামে কোরবানির উদ্দেশ্যে জবাই করলেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২৭৫)
ইলিয়াস (আ.)-এর কোরবানি
বনি ইসরাইলের একটি অংশ মূর্তিপূজায় জড়িয়ে পড়েছিল। বাআল নামের একটি দেবতার পূজা করত তারা। রাজা আখিয়াব ও তাঁর স্ত্রী ইসাবেল এই শিরকি কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। বাআল দেবতার দূত পরিচয়ে সাড়ে চার শ ভণ্ড নবীও ছিল তাদের মাঝে। ইলিয়াস (আ.) তাদের আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হন। তিনি দাওয়াত দিতে শুরু করলে রাজা তাঁকে হত্যা করতে চাইলেন। তখন ইলিয়াস (আ.) দোয়া করলে তাদের ওপর চরম দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। এ সময় ইলিয়াস (আ.) রাজদরবারে গিয়ে বললেন, ‘এই দুর্ভিক্ষের একমাত্র কারণ হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত বাদ দিয়ে বাআল দেবতার ইবাদত করা। আল্লাহই একমাত্র সত্য উপাস্য, আর কেউ নয়। বিশ্বাস না হলে চলুন, আমি আল্লাহর নামে কোরবানি করে তাঁর কাছে দোয়া করি, আর আপনার বাআল দেবতার নবীরা তার নামে কোরবানি দিয়ে তার কাছে দোয়া করুক। তারপর যার কোরবানি কবুল হবে, সেই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।’ রাজা সম্মত হলেন। এরপর কারামেল পাহাড়ে বাআল দেবতার কথিত নবীরা নিজ নিজ কোরবানি পেশ করে তার কাছে দুর্ভিক্ষ তুলে নেওয়ার দোয়া করলেন। কোনো কাজ হলো না। এরপর ইলিয়াস (আ.) নিজের কোরবানির জন্তু পেশ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। তখনই আসমান থেকে আগুন এসে তাঁর কোরবানি ভস্ম করে দিল এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে এল। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
হজরত ইবরাহিম (আ.) ৮৭ বছর বয়সে প্রথম বাবা হন। নিজের প্রথম ও তখন পর্যন্ত একমাত্র সন্তান ইসমাইল (আ.) যখন পিতার সহযোগী হওয়ার বয়সে উপনীত হলেন, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এল কঠিন এক নির্দেশ—আদরের সন্তানকে কোরবানির উদ্দেশ্যে জবাই করতে হবে। ইবরাহিম (আ.) এই কঠিন নির্দেশ পালন করতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন। ছেলে ইসমাইলও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। কোরবানির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ছেলের গলায় ছুরি চালাতে যাবেন এমন সময় আল্লাহ জানালেন, এটা তাঁর পক্ষ থেকে পরীক্ষা ছিল আর ইবরাহিম তাতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন। এ সময় ফেরেশতার মাধ্যমে জান্নাত থেকে একটা দুম্বা পাঠানো হয়, যেটা ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে জবাই করা হয়। পবিত্র কোরআনে এই পুরো ঘটনা সুরা সাফফাতের ১০১ থেকে ১০৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
ইসলামে ইবরাহিম (আ.)-এর এই ত্যাগের ঘটনাকে চিরভাস্বর করে রাখতে প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে নির্ধারিত জন্তু জবাইয়ের মাধ্যমে কোরবানি করা হয়। (ইবনে মাজাহ)। শুধু ইসলামেই নয়, ইবরাহিম (আ.)-এর এ বিধান মুসা, ঈসা (আ.)-সহ তাঁর বংশের সব নবী-রাসুলের মাঝে প্রচলিত ছিল।
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক
৩১ মে ২০২৪
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক
৩১ মে ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক
৩১ মে ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

কোরবানি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা পবিত্র ইবাদত। অতীতের সব নবী-রাসুলের শরিয়তেই কোরবানির বিধান ছিল। সময় ও পদ্ধতি ভিন্ন হলেও সব শরিয়তে কোরবানির মর্ম ছিল এক ও অভিন্ন। তা হলো, আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নামে, তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে একমাত্র তাঁর জন্য উৎসর্গ করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক
৩১ মে ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৫ ঘণ্টা আগে