নাঈমুল হাসান তানযীম
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত করলে ইমানি শক্তি বাড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের সামনে কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ইমান বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা আনফাল: ২)
দুই. আল্লাহর জিকির: আল্লাহর জিকির বা স্মরণ ইমান তাজা করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রেখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তিন. মৃত্যুর কথা স্মরণ: মৃত্যুর চিন্তাও ইমান বৃদ্ধি করে। মৃত্যু ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের আলোচনা যত বেশি করব আমরা, ততই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায়। বর্ণিত আছে, হজরত ওসমান (রা.) কবরস্থানে গিয়ে কাঁদতেন। ফলে তাঁর দাড়ি ভিজে যেত। তাঁকে বলা হলো, জান্নাত-জাহান্নামের কথা শুনে আপনি কাঁদেন না। অথচ কবরে এসে কাঁদেন? জবাবে তিনি বলেন, কবর হলো আখিরাতের প্রথম মনজিল। যদি কেউ এখানে মুক্তি পায়, তাহলে পরের মনজিলগুলো তার জন্য সহজ হয়ে যায়। আর এখানে মুক্তি না পেলে পরের মনজিলগুলো তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কবরের চেয়ে ভীতিকর দৃশ্য আমি আর দেখিনি। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত করলে ইমানি শক্তি বাড়ে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের সামনে কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ইমান বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা আনফাল: ২)
দুই. আল্লাহর জিকির: আল্লাহর জিকির বা স্মরণ ইমান তাজা করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রেখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তিন. মৃত্যুর কথা স্মরণ: মৃত্যুর চিন্তাও ইমান বৃদ্ধি করে। মৃত্যু ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের আলোচনা যত বেশি করব আমরা, ততই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায়। বর্ণিত আছে, হজরত ওসমান (রা.) কবরস্থানে গিয়ে কাঁদতেন। ফলে তাঁর দাড়ি ভিজে যেত। তাঁকে বলা হলো, জান্নাত-জাহান্নামের কথা শুনে আপনি কাঁদেন না। অথচ কবরে এসে কাঁদেন? জবাবে তিনি বলেন, কবর হলো আখিরাতের প্রথম মনজিল। যদি কেউ এখানে মুক্তি পায়, তাহলে পরের মনজিলগুলো তার জন্য সহজ হয়ে যায়। আর এখানে মুক্তি না পেলে পরের মনজিলগুলো তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কবরের চেয়ে ভীতিকর দৃশ্য আমি আর দেখিনি। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের সমাজে অনেকেই বছরের নানা সময়ে নফল রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী—বছরের বেশ কিছু দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা যায় না। যেমন, ঈদুল আজহা কিংবা ঈদুল ফিতর রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
৫ ঘণ্টা আগেসামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
৭ ঘণ্টা আগেনবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
১ দিন আগে