Ajker Patrika

অসাধু ধনী ব্যক্তির ওপর কি কোরবানি ওয়াজিব

তানবিরুল হক আবিদ
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১৬: ৪৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর বার্তা এসেছে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব: ২/১৫৫)

কোরবানি যেকোনো মুসলমান নর-নারী করতে পারেন। আরবি শব্দ কোরবানির শাব্দিক অর্থ হলো—কাছে যাওয়া, নৈকট্য অর্জন করা, ত্যাগ স্বীকার করা, বিসর্জন দেওয়া।

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলমান যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তারা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নেসাব হলো—সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ।

এখন কোনো অসাধু ব্যক্তি যদি শোধ-ঘুষ বা অবৈধ টাকার মাধ্যমে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়—তাহলে কি তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে?

এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো—কেউ অবৈধভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করলে, সে তার মালিক হয় না। বরং এগুলো যাদের অধিকার—তারাই এই সম্পদের প্রকৃত মালিক। তাই কারও কাছে অবৈধভাবে অর্জিত যত টাকাই থাকুক—তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।

তবে এই অবৈধ সম্পদ ছাড়াও যদি তার কাছে যদি হালাল সম্পদ থাকে, আর তা যদি নেসাব পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়—তাহলে তার হালাল সম্পদ থেকে কোরবানি করা আবশ্যক।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

মাখোঁ কেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায়, রহস্য কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত