তানবিরুল হক আবিদ
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর বার্তা এসেছে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব: ২/১৫৫)
কোরবানি যেকোনো মুসলমান নর-নারী করতে পারেন। আরবি শব্দ কোরবানির শাব্দিক অর্থ হলো—কাছে যাওয়া, নৈকট্য অর্জন করা, ত্যাগ স্বীকার করা, বিসর্জন দেওয়া।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলমান যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তারা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নেসাব হলো—সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ।
এখন কোনো অসাধু ব্যক্তি যদি শোধ-ঘুষ বা অবৈধ টাকার মাধ্যমে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়—তাহলে কি তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে?
এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো—কেউ অবৈধভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করলে, সে তার মালিক হয় না। বরং এগুলো যাদের অধিকার—তারাই এই সম্পদের প্রকৃত মালিক। তাই কারও কাছে অবৈধভাবে অর্জিত যত টাকাই থাকুক—তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
তবে এই অবৈধ সম্পদ ছাড়াও যদি তার কাছে যদি হালাল সম্পদ থাকে, আর তা যদি নেসাব পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়—তাহলে তার হালাল সম্পদ থেকে কোরবানি করা আবশ্যক।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবানদের ওপর তা আদায় করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর বার্তা এসেছে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য আছে, কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব: ২/১৫৫)
কোরবানি যেকোনো মুসলমান নর-নারী করতে পারেন। আরবি শব্দ কোরবানির শাব্দিক অর্থ হলো—কাছে যাওয়া, নৈকট্য অর্জন করা, ত্যাগ স্বীকার করা, বিসর্জন দেওয়া।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলমান যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তারা কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নেসাব হলো—সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ।
এখন কোনো অসাধু ব্যক্তি যদি শোধ-ঘুষ বা অবৈধ টাকার মাধ্যমে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়—তাহলে কি তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে?
এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো—কেউ অবৈধভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করলে, সে তার মালিক হয় না। বরং এগুলো যাদের অধিকার—তারাই এই সম্পদের প্রকৃত মালিক। তাই কারও কাছে অবৈধভাবে অর্জিত যত টাকাই থাকুক—তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
তবে এই অবৈধ সম্পদ ছাড়াও যদি তার কাছে যদি হালাল সম্পদ থাকে, আর তা যদি নেসাব পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়—তাহলে তার হালাল সম্পদ থেকে কোরবানি করা আবশ্যক।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে