মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাবে একটি বর্ষ শেষ হচ্ছে এবং আরেক বর্ষ শুরু হচ্ছে। গত বছর আমাদের জীবনে একবারই এসেছিল। আর এই যে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে, তা আর কখনো ফিরে আসবে না। ক্যালেন্ডারে সংখ্যার এই যে আসা-যাওয়া। প্রকৃতপক্ষে এটি আমাদের জীবনের বাস্তব চিত্র। ক্যালেন্ডার থেকে একটি সংখ্যার বিদায় আসলে কি সংখ্যার বিদায়? না, বরং আমাদের জীবনের একটি অংশের বিদায়। আর এ কারণে যেকোনো ক্যালেন্ডারে বর্ষ শুরু ও শেষ চিন্তাভাবনা ও হিসাবনিকাশের ব্যাপার।
কিসের হিসাবনিকাশ? বিনিয়োগ ও লাভক্ষতির হিসাবনিকাশ। মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পুঁজি ও তার বিনিয়োগের ক্ষেত্র হচ্ছে নিজের কর্ম। জীবনকাল ভালো কাজে ব্যয় হলে তা ফেরত আসবে মুনাফাসহ। আর মন্দ কাজে ব্যয় হলে, তা বয়ে আনবে লোকসান। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘যে কণা পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে কণা পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, তা-ও সে দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
বছরের শেষ দিন এ বার্তা দিচ্ছে যে তোমার জীবন থেকে একটি বছর ফুরিয়ে গেল। তাই ব্যয় হয়ে যাওয়া দিবস ও রাত যদি ভালো কাজে ব্যয় হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহর শুকরিয়া। আর মন্দ কাজে ব্যয় হলে ভবিষ্যতে নিজেকে সংশোধনের সংকল্প করতে হবে।
দিন, সপ্তাহ, মাস ও বছরের রূপে বস্তুত আমাদের আয়ু নিঃশেষ হয়ে চলেছে। কাজেই অবহেলা নয়, আমাদের নিয়োজিত হতে হবে সৎ কর্মে। ত্যাগ করতে হবে সব বালখিল্য। মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘বুদ্ধিমান তো সে, যে নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কর্ম করে। আর অক্ষম সে, যে প্রবৃত্তির অনুসারী হয় আর আল্লাহর প্রতি (অলীক) প্রত্যাশা পোষণ করে।’ (তিরমিজি)
প্রতিটি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আমাদের জীবনের ক্ষয় সম্পর্কে জানাচ্ছে। সুতরাং উন্মাদনা নয়, অনুশোচনা ও আত্মসমালোচনা হতে পারে বিগত বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উত্তম পন্থা। নতুন বছরকে নতুন চেতনায় অনুভব করতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: কলেজশিক্ষক ও গবেষক
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাবে একটি বর্ষ শেষ হচ্ছে এবং আরেক বর্ষ শুরু হচ্ছে। গত বছর আমাদের জীবনে একবারই এসেছিল। আর এই যে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে, তা আর কখনো ফিরে আসবে না। ক্যালেন্ডারে সংখ্যার এই যে আসা-যাওয়া। প্রকৃতপক্ষে এটি আমাদের জীবনের বাস্তব চিত্র। ক্যালেন্ডার থেকে একটি সংখ্যার বিদায় আসলে কি সংখ্যার বিদায়? না, বরং আমাদের জীবনের একটি অংশের বিদায়। আর এ কারণে যেকোনো ক্যালেন্ডারে বর্ষ শুরু ও শেষ চিন্তাভাবনা ও হিসাবনিকাশের ব্যাপার।
কিসের হিসাবনিকাশ? বিনিয়োগ ও লাভক্ষতির হিসাবনিকাশ। মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পুঁজি ও তার বিনিয়োগের ক্ষেত্র হচ্ছে নিজের কর্ম। জীবনকাল ভালো কাজে ব্যয় হলে তা ফেরত আসবে মুনাফাসহ। আর মন্দ কাজে ব্যয় হলে, তা বয়ে আনবে লোকসান। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘যে কণা পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে কণা পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, তা-ও সে দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
বছরের শেষ দিন এ বার্তা দিচ্ছে যে তোমার জীবন থেকে একটি বছর ফুরিয়ে গেল। তাই ব্যয় হয়ে যাওয়া দিবস ও রাত যদি ভালো কাজে ব্যয় হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহর শুকরিয়া। আর মন্দ কাজে ব্যয় হলে ভবিষ্যতে নিজেকে সংশোধনের সংকল্প করতে হবে।
দিন, সপ্তাহ, মাস ও বছরের রূপে বস্তুত আমাদের আয়ু নিঃশেষ হয়ে চলেছে। কাজেই অবহেলা নয়, আমাদের নিয়োজিত হতে হবে সৎ কর্মে। ত্যাগ করতে হবে সব বালখিল্য। মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘বুদ্ধিমান তো সে, যে নিজের হিসাব নেয় এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কর্ম করে। আর অক্ষম সে, যে প্রবৃত্তির অনুসারী হয় আর আল্লাহর প্রতি (অলীক) প্রত্যাশা পোষণ করে।’ (তিরমিজি)
প্রতিটি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আমাদের জীবনের ক্ষয় সম্পর্কে জানাচ্ছে। সুতরাং উন্মাদনা নয়, অনুশোচনা ও আত্মসমালোচনা হতে পারে বিগত বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উত্তম পন্থা। নতুন বছরকে নতুন চেতনায় অনুভব করতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: কলেজশিক্ষক ও গবেষক
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৩ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে