মাওলানা ইসমাইল নাজিম
বিয়ে নবীদের সুন্নত। বৈধ উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানুষের বংশপরম্পরা বজায় রাখতে বিয়ের বিকল্প নেই। প্রাপ্তবয়স্ক ও বিয়ের উপযুক্ত সন্তানদের বিয়ের ব্যবস্থা করা অভিভাবকদের কর্তব্য। আমাদের সমাজে বিয়ে করা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিয়ে সহজ হওয়ার জন্য হাদিসে কিছু আমল করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এখানে তা তুলে ধরা হলো:
এক. পবিত্র জীবনযাপনের জন্য বিয়ের ইচ্ছে পোষণ করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা তিন ধরনের মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।… তৃতীয়জন হলো বিয়েতে আগ্রহী ব্যক্তি—যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়।’ (তিরমিজি: ১৬৫৫)
দুই. বিয়ের আগে গুনাহ থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে এমন কোনো ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সঙ্গে (তোমাদের মেয়েদের) বিয়ে দাও।…’ (ইবনে মাজাহ: ১৯৬৭)
তিন. সমকক্ষ পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে উত্তম নারী গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিয়ে করো, আর বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।’ (ইবনে মাজাহ: ১৯৬৮)
চার. বিয়ে সহজ হওয়ার জন্য বেশি বেশি সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে দোয়া করা উচিত। বিশেষ করে কোরআনে বর্ণিত দোয়া—রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা’ পাঠ করা উচিত। দোয়ার অর্থ হলো—‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে এবং আমাদেরকে আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন।’ (সুরা ফুরকান: ৭৪)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ে নবীদের সুন্নত। বৈধ উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানুষের বংশপরম্পরা বজায় রাখতে বিয়ের বিকল্প নেই। প্রাপ্তবয়স্ক ও বিয়ের উপযুক্ত সন্তানদের বিয়ের ব্যবস্থা করা অভিভাবকদের কর্তব্য। আমাদের সমাজে বিয়ে করা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিয়ে সহজ হওয়ার জন্য হাদিসে কিছু আমল করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এখানে তা তুলে ধরা হলো:
এক. পবিত্র জীবনযাপনের জন্য বিয়ের ইচ্ছে পোষণ করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা তিন ধরনের মানুষকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।… তৃতীয়জন হলো বিয়েতে আগ্রহী ব্যক্তি—যে বিয়ের মাধ্যমে পবিত্র জীবনযাপন করতে চায়।’ (তিরমিজি: ১৬৫৫)
দুই. বিয়ের আগে গুনাহ থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে এমন কোনো ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সঙ্গে (তোমাদের মেয়েদের) বিয়ে দাও।…’ (ইবনে মাজাহ: ১৯৬৭)
তিন. সমকক্ষ পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে উত্তম নারী গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিয়ে করো, আর বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।’ (ইবনে মাজাহ: ১৯৬৮)
চার. বিয়ে সহজ হওয়ার জন্য বেশি বেশি সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে দোয়া করা উচিত। বিশেষ করে কোরআনে বর্ণিত দোয়া—রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা’ পাঠ করা উচিত। দোয়ার অর্থ হলো—‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে এবং আমাদেরকে আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন।’ (সুরা ফুরকান: ৭৪)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৩ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
১ দিন আগেঅজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত।
১ দিন আগে