ইসলাম ডেস্ক

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম
ইসলাম ডেস্ক

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৩১ মিনিট আগে
বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’ (সুরা বাকারা: ২৬৯)
রাসুল (সা.) কৃপণতার নিন্দা করেছেন। কৃপণতাকে মারাত্মক রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং উম্মতকে কৃপণতা থেকে সতর্ক করেছেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে বনু সালামা, তোমাদের নেতা কে?’ আমরা বললাম, ‘জুদ ইবনে কায়েস। অবশ্য আমরা তাকে কৃপণ বলি।’ তিনি বলেন, ‘কৃপণতার চেয়ে মারাত্মক রোগ আর কী হতে পারে?’ (আদাবুল মুফরাদ: ২৯৬)
একদিন রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৯৮)
রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা এই অভ্যাস থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৪০)
একজন মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। যে ব্যক্তির চরিত্রে এই অভ্যাস থাকবে, সেই নিকৃষ্ট মানুষ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে, সে খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৫১১) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের মধ্যে দুটি স্বভাব একত্রে জমা থাকতে পারে না—কৃপণতা ও অসদাচরণ।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৭২)

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
২৭ মে ২০২৫
বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই বদনজরের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট্ট ঈর্ষা, অনিচ্ছাকৃত আগ্রহ বা প্রশংসার দৃষ্টি, সবই বদনজরের মাধ্যমে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ইসলামি শিক্ষা আমাদের সতর্ক করে, আল্লাহর সাহায্য ও দোয়ার মাধ্যমে আমরা এ প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
প্রাচীনকালে বদনজর লাগানোর জন্য সরাসরি দেখার প্রয়োজন হতো। কিন্তু আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে, বিশেষ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদির মাধ্যমে বদনজরের প্রভাব অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া একটি ‘প্রদর্শনীর মঞ্চ’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে মানুষ তাদের জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো; দামি খাবার, নতুন গাড়ি, বিলাসবহুল অবকাশ, সন্তানের সাফল্য, নতুন চাকরি ইত্যাদি প্রচারের মাধ্যমে শেয়ার করে।
যখন কেউ নিজের আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করে, তখন হাজারো ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার তা দেখেন। এর মধ্যে কারও দৃষ্টিতে হিংসা বা নানাভাবে ক্ষতিকর অভিপ্রায় যে আছে, তা বলাই বাহুল্য। অনেকে নিজের জীবনের অভাব বা দুঃখের সঙ্গে তুলনা করে হিংসা বা আফসোস অনুভব করতে পারেন। এই অদৃশ্য হিংসুকদের দৃষ্টি বদনজরের কারণ হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিখুঁত জীবনের ছবি তুলে ধরেন। এটি অন্যদের মধ্যে হতাশা এবং অবচেতনভাবে সে নিয়ামতগুলো হারিয়ে যাওয়ার কামনা সৃষ্টি করতে পারে, যা বদনজরের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিতদের কিছুদিন পর বিচ্ছেদ। সফল ব্যবসার ছবি পোস্ট করার পর হঠাৎ ব্যবসায় ক্ষতি বা শিশুর ভাইরাল ছবি দেখার পর তার অসুস্থতা। এ সবই বদনজরের সম্ভাব্য প্রভাবের উদাহরণ।
মুআজ বিন জাবাল (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রয়োজন পূরণে সফলতা লাভের জন্য তা গোপন রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর; কারণ প্রত্যেক নিয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিংসিত হয়।’ (হাদিস সম্ভার: ২১৯১)
সোশ্যাল মিডিয়া এই হাদিসের সম্পূর্ণ বিপরীত পথ অনুসরণ করে। এখানে গোপনীয়তার বদলে জীবনের প্রতিটি নিয়ামত প্রকাশ্যভাবে প্রদর্শন করা হয়, যা মানুষকে সহজেই হিংসুক ও বদনজরের লক্ষ্য বানিয়ে দেয়।
বদনজর এমন এক অদৃশ্য বাস্তবতা, যার প্রভাব শুধু শরীরেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি মানুষের মন, পরিবার, অর্থনীতি, এমনকি ইমান ও আখিরাত পর্যন্ত গভীরভাবে আঘাত হানতে পারে। আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, কাজকর্মে আগ্রহ হারাচ্ছে, ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে, পরিবারে অশান্তি বাড়ছে। অনেক সময় এসবের পেছনে বদনজরের প্রভাবই কাজ করে। রাসুল (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘বদনজর সত্য।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
বদনজর প্রতিরোধ ও প্রতিকার
প্রথমত: বদনজরের চিকিৎসা বা প্রতিকার হলো রুকইয়াহ শারইয়্যাহ, অর্থাৎ শরিয়তসম্মত ঝাড়ফুঁক। এর পদ্ধতি হলো সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে আক্রান্ত স্থানে ফুঁ দেওয়া বা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর নির্ধারিত দোয়াগুলো পড়া।
দ্বিতীয়ত: অজু বা গোসলের পানি দিয়েও প্রতিকার করা যায়। সাহল ইবনু হুনাইফ (রা.)-এর ঘটনায় প্রমাণিত যে, যার কারণে বদনজর লেগেছিল, তার অজুর পানি আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর ঢেলে দেওয়া হয়েছিল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আরোগ্য লাভ করেন।
তৃতীয়ত: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাওয়াক্কুল, অর্থাৎ দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যে, একমাত্র আল্লাহই আরোগ্য দানকারী ও রক্ষাকারী। কোনো প্রতিকার বা চিকিৎসা নিজে থেকে কার্যকর হয় না; বরং আল্লাহর অনুমতিতে তাতে প্রভাব সৃষ্টি হয়। তাই মুমিন কখনো কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না; বরং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই বদনজরের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট্ট ঈর্ষা, অনিচ্ছাকৃত আগ্রহ বা প্রশংসার দৃষ্টি, সবই বদনজরের মাধ্যমে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ইসলামি শিক্ষা আমাদের সতর্ক করে, আল্লাহর সাহায্য ও দোয়ার মাধ্যমে আমরা এ প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
প্রাচীনকালে বদনজর লাগানোর জন্য সরাসরি দেখার প্রয়োজন হতো। কিন্তু আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে, বিশেষ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদির মাধ্যমে বদনজরের প্রভাব অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া একটি ‘প্রদর্শনীর মঞ্চ’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে মানুষ তাদের জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো; দামি খাবার, নতুন গাড়ি, বিলাসবহুল অবকাশ, সন্তানের সাফল্য, নতুন চাকরি ইত্যাদি প্রচারের মাধ্যমে শেয়ার করে।
যখন কেউ নিজের আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করে, তখন হাজারো ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার তা দেখেন। এর মধ্যে কারও দৃষ্টিতে হিংসা বা নানাভাবে ক্ষতিকর অভিপ্রায় যে আছে, তা বলাই বাহুল্য। অনেকে নিজের জীবনের অভাব বা দুঃখের সঙ্গে তুলনা করে হিংসা বা আফসোস অনুভব করতে পারেন। এই অদৃশ্য হিংসুকদের দৃষ্টি বদনজরের কারণ হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিখুঁত জীবনের ছবি তুলে ধরেন। এটি অন্যদের মধ্যে হতাশা এবং অবচেতনভাবে সে নিয়ামতগুলো হারিয়ে যাওয়ার কামনা সৃষ্টি করতে পারে, যা বদনজরের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিতদের কিছুদিন পর বিচ্ছেদ। সফল ব্যবসার ছবি পোস্ট করার পর হঠাৎ ব্যবসায় ক্ষতি বা শিশুর ভাইরাল ছবি দেখার পর তার অসুস্থতা। এ সবই বদনজরের সম্ভাব্য প্রভাবের উদাহরণ।
মুআজ বিন জাবাল (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রয়োজন পূরণে সফলতা লাভের জন্য তা গোপন রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর; কারণ প্রত্যেক নিয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিংসিত হয়।’ (হাদিস সম্ভার: ২১৯১)
সোশ্যাল মিডিয়া এই হাদিসের সম্পূর্ণ বিপরীত পথ অনুসরণ করে। এখানে গোপনীয়তার বদলে জীবনের প্রতিটি নিয়ামত প্রকাশ্যভাবে প্রদর্শন করা হয়, যা মানুষকে সহজেই হিংসুক ও বদনজরের লক্ষ্য বানিয়ে দেয়।
বদনজর এমন এক অদৃশ্য বাস্তবতা, যার প্রভাব শুধু শরীরেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি মানুষের মন, পরিবার, অর্থনীতি, এমনকি ইমান ও আখিরাত পর্যন্ত গভীরভাবে আঘাত হানতে পারে। আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায়, কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, কাজকর্মে আগ্রহ হারাচ্ছে, ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে, পরিবারে অশান্তি বাড়ছে। অনেক সময় এসবের পেছনে বদনজরের প্রভাবই কাজ করে। রাসুল (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘বদনজর সত্য।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
বদনজর প্রতিরোধ ও প্রতিকার
প্রথমত: বদনজরের চিকিৎসা বা প্রতিকার হলো রুকইয়াহ শারইয়্যাহ, অর্থাৎ শরিয়তসম্মত ঝাড়ফুঁক। এর পদ্ধতি হলো সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে আক্রান্ত স্থানে ফুঁ দেওয়া বা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর নির্ধারিত দোয়াগুলো পড়া।
দ্বিতীয়ত: অজু বা গোসলের পানি দিয়েও প্রতিকার করা যায়। সাহল ইবনু হুনাইফ (রা.)-এর ঘটনায় প্রমাণিত যে, যার কারণে বদনজর লেগেছিল, তার অজুর পানি আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর ঢেলে দেওয়া হয়েছিল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আরোগ্য লাভ করেন।
তৃতীয়ত: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাওয়াক্কুল, অর্থাৎ দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যে, একমাত্র আল্লাহই আরোগ্য দানকারী ও রক্ষাকারী। কোনো প্রতিকার বা চিকিৎসা নিজে থেকে কার্যকর হয় না; বরং আল্লাহর অনুমতিতে তাতে প্রভাব সৃষ্টি হয়। তাই মুমিন কখনো কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না; বরং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে।
লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
২৭ মে ২০২৫
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৩১ মিনিট আগে
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
২৭ মে ২০২৫
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৩১ মিনিট আগে
বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
২৭ মে ২০২৫
কৃপণতা মানব চরিত্রের একটি মন্দ দিক। এটি কোনো মুমিনের স্বভাব হতে পারে না। এ স্বভাব শয়তানই পছন্দ করে এবং মানুষকে কৃপণ হতে উৎসাহিত করে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।’
৩১ মিনিট আগে
বদনজর হলো এমন এক অদৃশ্য প্রভাব, যা কোনো হিংসুক বা অতিমাত্রায় আগ্রহী ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে অন্যের প্রতি প্রেরিত হয় এবং তার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। আজকের সময়ে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের সুখ, সাফল্য ও সৌন্দর্য যেন সবার সামনে প্রদর্শনের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১ দিন আগে