ইসলাম ডেস্ক
মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম
মুসলিম মিল্লাতের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জল নিদর্শন হজ। এটি শুধু ইবাদতই নয়, মুসলিম জাহানের ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন আরো অটুট ও সুদৃঢ় করার অসামান্য উদাহরণ।
এ ইবাদতে উম্মতকে যেমন একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রয়েছে, তেমনি যথাযথ ইবাদত বন্দেগি পালন করে মহান স্রষ্টার অপার করুণার বারিধারায় সিক্ত হয়ে পাপ-পঙ্কিলতা পরিত্যাগ করে উন্নত মনুষ্যত্ব হৃদয়ে ধারণ করারও সুযোগ রয়েছে। একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা যেতে পারে রবের অসীম করুণার তৃপ্তিময় সান্নিধ্যে। আর প্রভুকে পাওয়ার উৎকৃষ্ট সময়—হজের বরকতপূর্ণ দিনগুলো।
সর্বোপরি বিশ্বজনীন এই ইবাদতের ভিত্তিতে মানবতা পৌঁছতে সক্ষম হয় আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতায়। যার ফলে ইনসানিয়ত পার্থিব এ নশ্বর নিখিল ভূবনেও প্রাপ্ত হয় এক অসীম স্রষ্টার অপার্থিব সান্নিধ্যের সন্ধান। ফলশ্রুতিতে পরমাত্মার পরম করুণায় ধন্য হয় মানবাত্মার সবজীবন। যেখানে থাকে না পাপাচারের কৃঞ্চ-কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন মেঘপুঞ্জের ঘনঘটা; এ যেন শুধু আল্লাহর সান্নিধ্যে তাঁর আনুগত্যশীল বান্দার দারুণ এক মিলনমেলা।
তাই তো মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের স্বীয় সান্নিধ্যের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, যারা এই ঘর পর্যন্ত পোঁছার সামর্থ্য রাখে—তারা এর হজ পালন করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা আসবে পায়ে হেঁটে, আর সব (পথক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বত সংকুল পথ বেয়ে।’ (সুরা হজ: ২৭)
এটি আল্লাহর কুদরতের মহিমা যে, মক্কার পাহাড়-চূড়া হতে উচ্চারিত নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সেই অনুচ্চ আহবান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে; প্রত্যেক হজ ও ওমরাহ সম্পাদনকারী হজ ও ওমরাহর সময় সেই আহবানে ‘লাব্বাইক’ বলে সাড়া দিয়ে থাকেন।
হজের পরিপূর্ণ বরকত পেতে হলে অবশই হজ হতে হবে শুধুই আল্লাহ রব্বুল আলামিনকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে। লোক-দেখানো বা ‘হাজি’ উপাধি অর্জনের নিমিত্তে নয়। তাহলেই কেবল হজের উদ্দেশ্য সাধিত হবে আর আল্লাহর করুণা ও কল্যাণ শিশিরে সিক্ত হবে আমাদের উভজীবন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরাহকে পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)
ধৈর্য-সহিঞ্চুতা অর্জন, পাপাচার পরিত্যাগ আামাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসবের বাস্তব প্রশিক্ষণ রয়েছে হজব্রত পালনের মধ্যে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মাসে, অতপর এ মাসগুলোতে যে কেউ হজ করার মনস্থ করবে, তার জন্য হজের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। তোমরা যেকোনো সৎকর্মই করো, আল্লাহ তা জানেন। তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করবে আর তাকওয়াই হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে জ্ঞানী সমাজ, আমাকেই ভয় করতে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ ব্রত পালনকারীর জন্যে আছে যথাযোগ্য মর্যাদা, অসামান্য পুরস্কার ও অসংখ্য পুণ্য। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং হজের মাঝে কোনো বাজে কথা বলা ও পাপকর্ম সম্পাদন থেকে বিরত থাকবে, তাহলে সে সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে (হজ থেকে বাড়ি) ফিরবে যেদিন সে তার ময়ের কোলে ভূমিষ্ট হয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আনুগত্যশীল বান্দা হয়ে হজব্রত পালন করার এবং তাঁর নৈকট্য অর্জনের সৌভাগ্য দান করুন।
লেখক: খালিদ হাসান বিন শহীদ
গণমাধ্যমকর্মী ও আলেম
মানুষ শুধু শারীরিক কাঠামো নয়; বরং আত্মা ও নৈতিকতা দ্বারা পরিপূর্ণ একটি সত্তা। আত্মার পরিচর্যা ও পরিশুদ্ধিই মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহৎ, আত্মাকে করে আলোকিত। আত্মশুদ্ধি এমন এক গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছায়, মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করে, পার্থিব ও পারলৌকিক সফলতার পথ খুলে দেয়।
১৮ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
২ দিন আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
২ দিন আগেইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
২ দিন আগে