ইসলাম ডেস্ক

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
মুসা (আ.)-এর সময়ে আসা এসব আজাব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘এরপর আমরা তাদের ওপরে পাঠিয়ে দিলাম তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ইত্যাদি বহুবিধ নিদর্শন, একের পরে এক। তারপরও তারা অহংকার করতে থাকল। মূলত তারা ছিল পাপী সম্প্রদায়।’ (আরাফ: ৭ / ১৩৩)। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এগুলোর প্রতিটি আজাবই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থেকে রহিত হয়ে যায় এবং কিছুদিন বিরতির পর অন্য আজাবগুলো আসে।’
মূলত বনি ইসরাইল ছিল এক অবাধ্য জাতি। পবিত্র কোরআনে তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আর যখন তাদের ওপর কোনো আজাব পতিত হতো, তখন তারা বলত—হে মুসা, তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রভুর কাছে দোয়া করো, যা (কবুলের) ওয়াদা তিনি তোমাকে দিয়েছেন।...এরপর যখন আমরা তাদের ওপর থেকে আজাব উঠিয়ে নিতাম নির্দিষ্ট একটা সময়ে, যে পর্যন্ত তাদের পৌঁছানো উদ্দেশ্য হতো, তখন তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করত।’ (আরাফ: ১৩৪-৩৫)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘যখন তাদের শুভদিন ফিরে আসত, তখন তারা বলত, এটাই আমাদের জন্য উপযুক্ত। পক্ষান্তরে অকল্যাণ উপস্থিত হলে তারা মুসা ও তার সাথিদের অলক্ষুনে অভিহিত করত। জেনে রাখো, তাদের অলক্ষুনে চরিত্র আল্লাহ জানেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা জানে না।’ (আরাফ: ১৩১)।

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
মুসা (আ.)-এর সময়ে আসা এসব আজাব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘এরপর আমরা তাদের ওপরে পাঠিয়ে দিলাম তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ইত্যাদি বহুবিধ নিদর্শন, একের পরে এক। তারপরও তারা অহংকার করতে থাকল। মূলত তারা ছিল পাপী সম্প্রদায়।’ (আরাফ: ৭ / ১৩৩)। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এগুলোর প্রতিটি আজাবই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থেকে রহিত হয়ে যায় এবং কিছুদিন বিরতির পর অন্য আজাবগুলো আসে।’
মূলত বনি ইসরাইল ছিল এক অবাধ্য জাতি। পবিত্র কোরআনে তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আর যখন তাদের ওপর কোনো আজাব পতিত হতো, তখন তারা বলত—হে মুসা, তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রভুর কাছে দোয়া করো, যা (কবুলের) ওয়াদা তিনি তোমাকে দিয়েছেন।...এরপর যখন আমরা তাদের ওপর থেকে আজাব উঠিয়ে নিতাম নির্দিষ্ট একটা সময়ে, যে পর্যন্ত তাদের পৌঁছানো উদ্দেশ্য হতো, তখন তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করত।’ (আরাফ: ১৩৪-৩৫)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘যখন তাদের শুভদিন ফিরে আসত, তখন তারা বলত, এটাই আমাদের জন্য উপযুক্ত। পক্ষান্তরে অকল্যাণ উপস্থিত হলে তারা মুসা ও তার সাথিদের অলক্ষুনে অভিহিত করত। জেনে রাখো, তাদের অলক্ষুনে চরিত্র আল্লাহ জানেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা জানে না।’ (আরাফ: ১৩১)।

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮)
নিজেকে, নিজের সন্তানসন্ততি ও ধনসম্পদকে সব সময় মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলার কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। বদনজর থেকে বাঁচতে হাদিস শরিফে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন কুল তথা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ার কথা বলা হয়েছে। (জামে তিরমিজি: ৩৫৭৫)
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এই দোয়া শিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়া হুওয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (আশ্রয় নিচ্ছি), যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৩৫)
প্রত্যেক মা-বাবা শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করেন। তাঁরা চান সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকুক। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য মাঝেমধ্যে এ দোয়া পড়ে গায়ে ফুঁ দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে হাসান-হুসাইন (রা.)-কে ফুঁ দিয়ে দিতেন, ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাহ, মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে শয়তানের সব আক্রমণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। বিষধর প্রাণীর ও বদনজরের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (সহিহ্ বুখারি: ৩১৯১)
এই আমলগুলো নিয়মিত করলে বদনজর থেকে সুরক্ষা মিলবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর।

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আত্মশুদ্ধি কি ও কেন গুরুত্বপূর্ণ
আত্মশুদ্ধি বা তাজকিয়া মানে হলো নিজের হৃদয়কে পাপ, অহংকার, রাগ ও মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা। একজন পরিশুদ্ধ অন্তরধারী মানুষ ধৈর্য, বিনয়, সততা ও আল্লাহভীতি অর্জন করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সে-ই সফল, যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে; আর সে-ই ব্যর্থ, যে একে কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯–১০)
আমরা এখানে দেখতে পাই যে, প্রকৃত সাফল্য শুধু বাহ্যিক জীবনে নয়, অন্তরের পরিশুদ্ধিতেও নিহিত।
কোরআনের নির্দেশনায় আত্মশুদ্ধি
১. তওবা ও ইস্তিগফার: আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ হলো নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো—যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা নুর: ৩১)
২. আল্লাহর স্মরণ ও জিকির: কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)। জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া আমাদের অন্তরকে শান্ত করে এবং মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।
৩. তাকওয়া ও সৎকর্ম: আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ খুলে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করে না।’ (সুরা তালাক: ২–৩)। আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহভীতি অপরিহার্য। এটি অহংকার, লোভ ও রাগ কমাতে সাহায্য করে।
মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির আদর্শ। তাঁর চরিত্রে আমরা পাই—দয়া, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সততা ও আত্মসংযম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) তোমাদের মাঝে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তোমাদের পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫১)। এ থেকে বোঝা যায়, নবী (সা.)-এর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ করা।
হাদিসে আত্মশুদ্ধি
১. নিয়ত ঠিক রাখা: ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১)। যেকোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।
২. রাগ সংযম ও ক্ষমাশীলতা: ‘শক্তিমান সে নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং শক্তিমান সে, যে রাগের সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে অন্তর শান্ত থাকে এবং অহংকার কমে।
৩. হৃদয়ের পবিত্রতা: ‘দেহে একটি অঙ্গ আছে, যদি তা ভালো থাকে, তবে গোটা দেহ ভালো থাকে; আর যদি তা নষ্ট হয়, তবে গোটা দেহ নষ্ট হয়। সেটি হলো হৃদয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫২)
৪. অহংকার ও হিংসা থেকে বিরত থাকা: ‘যার অন্তরে সরিষার দানার সমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১)। নবীজির শিক্ষা হলো অহংকার, হিংসা ও মন্দ মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
আত্মশুদ্ধির সাধারণ উপায়
নিয়মিত নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করা। দোয়া ও জিকিরে অভ্যস্ত থাকা। অন্যের প্রতি সহানুভূতি থাকা এবং সেবা করা। প্রতিদিন নিজেকে মূল্যায়ন করা। ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা।
পরিশেষে, আত্মশুদ্ধি অর্জনই মানুষের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। যদি হৃদয় খারাপ থাকে, কোনো জ্ঞান, ধন বা পদবি প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে না। নবীজি (সা.)-এর জীবন আমাদের দেখিয়েছে—হৃদয় পবিত্র থাকলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন কোনো ধন-সম্পদ বা সন্তান উপকারে আসবে না; কেবল সেই ব্যক্তি সফল হবে—যার হৃদয় বিশুদ্ধ।’ (সুরা শুআরা: ৮৮–৮৯)
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আত্মশুদ্ধি কি ও কেন গুরুত্বপূর্ণ
আত্মশুদ্ধি বা তাজকিয়া মানে হলো নিজের হৃদয়কে পাপ, অহংকার, রাগ ও মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখা। একজন পরিশুদ্ধ অন্তরধারী মানুষ ধৈর্য, বিনয়, সততা ও আল্লাহভীতি অর্জন করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সে-ই সফল, যে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে; আর সে-ই ব্যর্থ, যে একে কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯–১০)
আমরা এখানে দেখতে পাই যে, প্রকৃত সাফল্য শুধু বাহ্যিক জীবনে নয়, অন্তরের পরিশুদ্ধিতেও নিহিত।
কোরআনের নির্দেশনায় আত্মশুদ্ধি
১. তওবা ও ইস্তিগফার: আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ হলো নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা করো—যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা নুর: ৩১)
২. আল্লাহর স্মরণ ও জিকির: কোরআন বলছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর প্রশান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)। জিকির, কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া আমাদের অন্তরকে শান্ত করে এবং মন্দ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।
৩. তাকওয়া ও সৎকর্ম: আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য পথ খুলে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করে না।’ (সুরা তালাক: ২–৩)। আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহভীতি অপরিহার্য। এটি অহংকার, লোভ ও রাগ কমাতে সাহায্য করে।
মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধির আদর্শ। তাঁর চরিত্রে আমরা পাই—দয়া, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সততা ও আত্মসংযম।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি (আল্লাহ) তোমাদের মাঝে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করেন, তোমাদের পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫১)। এ থেকে বোঝা যায়, নবী (সা.)-এর আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ করা।
হাদিসে আত্মশুদ্ধি
১. নিয়ত ঠিক রাখা: ‘সব কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১)। যেকোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে অন্তর পরিশুদ্ধ হয়।
২. রাগ সংযম ও ক্ষমাশীলতা: ‘শক্তিমান সে নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয়; বরং শক্তিমান সে, যে রাগের সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৪)। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে অন্তর শান্ত থাকে এবং অহংকার কমে।
৩. হৃদয়ের পবিত্রতা: ‘দেহে একটি অঙ্গ আছে, যদি তা ভালো থাকে, তবে গোটা দেহ ভালো থাকে; আর যদি তা নষ্ট হয়, তবে গোটা দেহ নষ্ট হয়। সেটি হলো হৃদয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫২)
৪. অহংকার ও হিংসা থেকে বিরত থাকা: ‘যার অন্তরে সরিষার দানার সমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১)। নবীজির শিক্ষা হলো অহংকার, হিংসা ও মন্দ মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
আত্মশুদ্ধির সাধারণ উপায়
নিয়মিত নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করা। দোয়া ও জিকিরে অভ্যস্ত থাকা। অন্যের প্রতি সহানুভূতি থাকা এবং সেবা করা। প্রতিদিন নিজেকে মূল্যায়ন করা। ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা।
পরিশেষে, আত্মশুদ্ধি অর্জনই মানুষের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য। যদি হৃদয় খারাপ থাকে, কোনো জ্ঞান, ধন বা পদবি প্রকৃত কল্যাণ দিতে পারে না। নবীজি (সা.)-এর জীবন আমাদের দেখিয়েছে—হৃদয় পবিত্র থাকলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব। আল্লাহ বলেন, ‘সেদিন কোনো ধন-সম্পদ বা সন্তান উপকারে আসবে না; কেবল সেই ব্যক্তি সফল হবে—যার হৃদয় বিশুদ্ধ।’ (সুরা শুআরা: ৮৮–৮৯)
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭০৩)
ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের তিনটির সঙ্গেই শারীরিক সুস্থতা সম্পর্ক রাখে। নামাজ, রোজা, হজ যথাযথভাবে আদায় করতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। উদাসীনতা বা অবহেলা করে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করলে কিয়ামতের দিন এ জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে প্রথম যে প্রশ্ন করা হবে, তা হলো তার সুস্থতাবিষয়ক। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি)
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ইসলাম এ বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ মুসলিম: ২২৩)
নামাজ ইসলামের অন্যতম বিধান। নামাজের জন্য পবিত্রতা প্রথম এবং প্রধান শর্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য একজন মুসলমান সারা দিনে পাঁচবার অজু করে। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, আর অজু নামাজের চাবি।’ (সুনানে তিরমিজি: ৪)। এ ছাড়া খাওয়ার আগে-পরে, ঘুমের আগে-পরে, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং ঘরে ফেরার পরও অজু করার প্রতি উৎসাহিত করে ইসলাম। এই অজুর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জন হয়। নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
মহানবী (সা.) শারীরিক সুস্থতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু আসার আগে জীবনের, অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতার, ব্যস্ততা আসার আগে অবসরের, বার্ধক্য আসার আগে যৌবনের এবং দারিদ্র্য আসার আগে সচ্ছলতার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করো।’ (সহিহুল জামে: ১০৭৭)
সুবিন্যস্ত জীবনচর্চায় আমাদের দিন কাটুক সুস্থতায়।

স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭০৩)
ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের তিনটির সঙ্গেই শারীরিক সুস্থতা সম্পর্ক রাখে। নামাজ, রোজা, হজ যথাযথভাবে আদায় করতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। উদাসীনতা বা অবহেলা করে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করলে কিয়ামতের দিন এ জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে প্রথম যে প্রশ্ন করা হবে, তা হলো তার সুস্থতাবিষয়ক। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি)
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ইসলাম এ বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ মুসলিম: ২২৩)
নামাজ ইসলামের অন্যতম বিধান। নামাজের জন্য পবিত্রতা প্রথম এবং প্রধান শর্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য একজন মুসলমান সারা দিনে পাঁচবার অজু করে। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, আর অজু নামাজের চাবি।’ (সুনানে তিরমিজি: ৪)। এ ছাড়া খাওয়ার আগে-পরে, ঘুমের আগে-পরে, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং ঘরে ফেরার পরও অজু করার প্রতি উৎসাহিত করে ইসলাম। এই অজুর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জন হয়। নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
মহানবী (সা.) শারীরিক সুস্থতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু আসার আগে জীবনের, অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতার, ব্যস্ততা আসার আগে অবসরের, বার্ধক্য আসার আগে যৌবনের এবং দারিদ্র্য আসার আগে সচ্ছলতার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করো।’ (সহিহুল জামে: ১০৭৭)
সুবিন্যস্ত জীবনচর্চায় আমাদের দিন কাটুক সুস্থতায়।

বনি ইসরাইলের কাছে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তবে তারা তাঁদের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। বরং তাঁদের হত্যা, অবাধ্যতাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্নভাবে আজাব দেন। পবিত্র কোরআনের এক আয়াতে তাদের ৫টি আজাবের কথা এসেছে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বদনজর মানে কুদৃষ্টি। মানুষের কুদৃষ্টির প্রভাব সত্য; এর কারণে মানুষ নানারকম ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা (বদনজর থেকে বাঁচার জন্য) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও, কেননা বদনজর সত্য ও বাস্তব।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জীবনের মূল লক্ষ্য হলো আত্মশুদ্ধি, অর্থাৎ নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। বাহ্যিক জীবনে ধন, পদবি বা সামাজিক মর্যাদা যতই থাকুক, যদি হৃদয় খারাপ হয়—মানুষ কখনো প্রকৃত সাফল্য পেতে পারে না। কোরআন ও হাদিসে বারবার নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে