Ajker Patrika

দরুদ ও সালাম পাঠ কেন গুরুত্বপূর্ণ

ইসলাম ডেস্ক
দরুদ ও সালাম পাঠ  কেন গুরুত্বপূর্ণ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির জন্য রহমত। তাঁর মাধ্যমেই আমরা কোরআন, হাদিস ও সঠিক পথের দিশা পেয়েছি। তাই তাঁর জন্য দোয়া করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ সালাত ও সালাম পেশ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

সালাত আরবি শব্দ। তা একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন রহমত, দোয়া, দরুদ, ইস্তিগফার, তাসবিহ। আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে রহমত, বান্দার পক্ষ থেকে দরুদ, ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে ইস্তিগফার, দোয়া ও সম্মান অর্থ বোঝায়। সালাম অর্থ নিরাপত্তা, শান্তি। এর উদ্দেশ্য দোষ-ত্রুটি ও বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকা।

মহানবী (সা.)-এর নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। মুখে উচ্চারণ করলে যেমন দরুদ ও সালাম ওয়াজিব, তেমনি কলমে লিখলেও ওয়াজিব। জীবনে একবার দরুদ পড়া ফরজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি অপমানিত হোক, যার সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হলে সে দরুদ পাঠ করে না।’ (মিশকাত: ৯২৭) 
দরুদ পাঠে রয়েছে অনেক ফজিলত। যেমন মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ শরিফ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ১০টি রহমত বর্ষণ করেন, ১০টি পাপ মোচন করেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।’ (নাসায়ি: ১ / ১৪৫) অন্য এক হাদিসে ৭০ সংখ্যাটির কথা এসেছে। হাদিস বিশারদদের মতে, এখানে ১০ বা ৭০ বলে অনেক বেশি বোঝানো উদ্দেশ্য।

দোয়া কবুল হওয়ার উত্তম পন্থা হলো প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করা, তারপর মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা। এরপর কাঙ্ক্ষিত বস্তু আল্লাহর কাছে চাওয়া। ওমর ফারুক (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ না করা হলে সেই দোয়া আসমান ও জমিনের মাঝখানে স্থগিত থাকে। সেই দোয়া আল্লাহর দরবারে পৌঁছায় না।’ (তিরমিজি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত