ইসলাম ডেস্ক
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে অপারগ হলে শর্ত সাপেক্ষে রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। তবে সেই রোজা রমজান-পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছে করে কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়।
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি তিনটি। যথা—একজন দাস মুক্ত করা, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা বা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো। এই তিন পদ্ধতির যেকোনো একটি দিয়ে কাফফারা আদায় করা যাবে। কাফফারা মূলত ইচ্ছেকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করার শাস্তি। তাই কাফফারা আদায়ে অক্ষম বা অপারগ হলে কী করতে হবে, তাও মহানবী (সা.) বলে দিয়েছেন।
অক্ষম ও অপারগ ব্যক্তির জন্য কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে শিথিলতার সুযোগ রেখেছেন মহানবী (সা.)। কাফফারার তিন পদ্ধতির কোনো একটিও আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এতে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা করা যায়। তবে তাকে প্রকৃতই অপারগ হতে হবে।
মহানবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় এমন ঘটনা ঘটেছে। হাদিসে এসেছে, একবার রমজান মাসে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তুমি একজন দাস মুক্ত করে দাও।’
তিনি বললেন, ‘সেই সক্ষমতা আমার নেই।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তবে এর বদলে দুই মাস তথা ৬০ দিন রোজা রাখো।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই।’
তখন তিনি বললেন, ‘তবে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াবে।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন আর্থিক সক্ষমতাও আমার নেই।’
তখন তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বললেন। কিছুক্ষণ পর এক সাহাবি রাসুল (সা.)কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদিয়া দিলেন। মহানবী (সা.) লোকটিকে ডেকে বললেন, ‘এগুলো নিয়ে গিয়ে গরিবদের মধ্যে সদকা করে দাও।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই এলাকায় আমার চেয়ে গরিব আর কে আছে?’
এ কথা শুনে মহানবী (সা.) স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এরপর বললেন, ‘আচ্ছা তবে খেজুরগুলো তুমিই তোমার পরিবার নিয়ে খাও।’ (বুখারি: ১৩৩৭; মুসলিম: ১১১১)
অতএব আমাদের করণীয় হলো—প্রথমত, রোজার কাফফারা ওয়াজিব হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কাফফারা ওয়াজিব হলে তা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আদায় করতে হবে। তৃতীয়ত, তাও সম্ভব না হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাপ্তির দোয়া করতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-স্বাভাবিক মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। তবে বিশেষ কোনো কারণে রোজা রাখতে অপারগ হলে শর্ত সাপেক্ষে রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করার অনুমতি আছে। তবে সেই রোজা রমজান-পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছে করে কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়।
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি তিনটি। যথা—একজন দাস মুক্ত করা, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা বা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো। এই তিন পদ্ধতির যেকোনো একটি দিয়ে কাফফারা আদায় করা যাবে। কাফফারা মূলত ইচ্ছেকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করার শাস্তি। তাই কাফফারা আদায়ে অক্ষম বা অপারগ হলে কী করতে হবে, তাও মহানবী (সা.) বলে দিয়েছেন।
অক্ষম ও অপারগ ব্যক্তির জন্য কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে শিথিলতার সুযোগ রেখেছেন মহানবী (সা.)। কাফফারার তিন পদ্ধতির কোনো একটিও আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এতে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা করা যায়। তবে তাকে প্রকৃতই অপারগ হতে হবে।
মহানবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় এমন ঘটনা ঘটেছে। হাদিসে এসেছে, একবার রমজান মাসে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তুমি একজন দাস মুক্ত করে দাও।’
তিনি বললেন, ‘সেই সক্ষমতা আমার নেই।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তবে এর বদলে দুই মাস তথা ৬০ দিন রোজা রাখো।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই।’
তখন তিনি বললেন, ‘তবে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াবে।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তেমন আর্থিক সক্ষমতাও আমার নেই।’
তখন তিনি তাঁকে অপেক্ষা করতে বললেন। কিছুক্ষণ পর এক সাহাবি রাসুল (সা.)কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদিয়া দিলেন। মহানবী (সা.) লোকটিকে ডেকে বললেন, ‘এগুলো নিয়ে গিয়ে গরিবদের মধ্যে সদকা করে দাও।’
লোকটি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই এলাকায় আমার চেয়ে গরিব আর কে আছে?’
এ কথা শুনে মহানবী (সা.) স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এরপর বললেন, ‘আচ্ছা তবে খেজুরগুলো তুমিই তোমার পরিবার নিয়ে খাও।’ (বুখারি: ১৩৩৭; মুসলিম: ১১১১)
অতএব আমাদের করণীয় হলো—প্রথমত, রোজার কাফফারা ওয়াজিব হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, কাফফারা ওয়াজিব হলে তা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আদায় করতে হবে। তৃতীয়ত, তাও সম্ভব না হলে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রাপ্তির দোয়া করতে হবে।
বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগেআরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণীর প্রচার-প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা...
১ দিন আগে