আবদুল আযীয কাসেমি

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁকে শাইখুল ইসলাম (প্রবীণ ইসলামি পণ্ডিত) ও সাইয়েদুল হুফফাজ (হাদিসের হাফেজদের সর্দার) খেতাবে ভূষিত করেছেন। ইমাম সুফিয়ান সাওরি নিজেই বলেন, ‘আমি কোনো কিছু মুখস্ত করার পর ভুলে গিয়েছি এমন হয়নি।’
ঐতিহাসিকদের ঐকমত্যে, সুফিয়ান সাওরি ৯৭ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্প বয়সেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। বাবা সাইদ বিন মাসরুকও ছিলেন শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের একজন। সুফিয়ান সাওরি শৈশব থেকেই তুখোড় মেধাবী ছিলেন।
ইমাম সাওরির বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন আইয়ুব সাখতিয়ানি, ইবনু আবি যিব, রাবিয়াতুর রায়, মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির, আবু জুবায়ের আলমাক্কিসহ শতাধিক শিক্ষক। কারো কারো মতে তাঁর শিক্ষকের সংখ্যা ছয় শতাধিক।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
সুফিয়ান সাওরির সম্মানিত শিক্ষক আইয়ুব সাখতিয়ানি বলেন, ‘কুফার অধিবাসীদের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি সুফিয়ান সাওরি।’ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, ‘সুফিয়ান সাওরি যদি তাবেয়িনদের মধ্যে জন্মাতেন, সেখানেও তাঁর একটি বিশেষ অবস্থান থাকত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমাম আলকামা ও আসওয়াদ–এর মতো ব্যক্তি এখন জীবিত থাকতেন, তাঁরাও সুফিয়ানের প্রতি মুখাপেক্ষী হতেন।’ আলকামা ও আসওয়াদ—এ দুজন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর শিষ্য।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইয়াহিয়া বিন মাইন তাফসির, হাদিস ও দুনিয়াবিমুখতা বিবেচনায় সুফিয়ান সাওরিকে সর্বাগ্রে রাখতেন। মুসান্না বিন সাব্বাহর ভাষায়, ‘তিনি ছিলেন পুরো জাতির স্বীকৃত আলেম ও আবেদ।’
কর্মজীবন
সমকালীন অন্যান্য বড় আলেমের মতো সুফিয়ান সাওরিও কোরআন–হাদিসের পঠন-পাঠনকেই নিজের কর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। অসংখ্য ছাত্র তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁদের একটি দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বড় ইমামরাও।
ইসলামি আইনশাস্ত্রে ছিল সাওরির অগাধ পাণ্ডিত্য। এমনকি কেউ কেউ তাঁকে আবু হানিফার চেয়েও বড় পণ্ডিত মনে করতেন। হাদিসশাস্ত্রেও ছিল তাঁর অসাধারণ দখল। আলি ইবনুল মাদিনির ভাষায়, ‘তিনি খুব কমই পঠন-পাঠনে ভুল করতেন।’ ইবনুল মাদিনি তাঁর ভুলের শুধু একটি উদাহরণ পেশ করেছিলেন। এ ছাড়া কেরাতশাস্ত্রে ছিল তাঁর চমৎকার পাণ্ডিত্য। পুরো কোরআন মাজিদ চারবার শিক্ষকদের কাছে বুঝে বুঝে পড়েছেন তিনি।
দুনিয়াবিমুখতা
দুনিয়াবিমুখতা ও পার্থিব ভোগ-বিলাসের প্রতি নিরাসক্তি সুফিয়ান সাওরির জীবনের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি তাঁর সমকালীন প্রায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে দেখলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হতো। বিখ্যাত সুফি বিশর আল হাফি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুফিয়ান এ যুগের ইমাম।’
ইমাম কাবিসা বলেন, ‘যখনই আমি সুফিয়ান সাওরির সঙ্গে কোনো মজলিসে বসেছি, মৃত্যুকে স্মরণ করেছি। আমি তাঁর চেয়ে অধিক মৃত্যু স্মরণকারী কাউকে দেখিনি।’
ইউসুফ বিন আসবাত বলেন, ‘একবার এশার নামাজের পর সুফিয়ান সাওরি আমার কাছে অজুর বদনা চাইলেন। আমি সেটা এগিয়ে দিলাম। তিনি ডান হাতে বদনা ধরে বাম হাত গালের ওপর রেখে চিন্তায় ডুবে গেলেন। তাঁকে এ অবস্থায় রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, তিনি সে অবস্থায় রয়ে গেছেন। আমি বললাম, সুবহে সাদিক উদিত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি যখন আমার হাতে বদনা দিয়েছ, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পরকাল বিষয়ে ভাবছিলাম।’
দুনিয়াবিমুখতায় যদিও তিনি তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠতম মানুষ ছিলেন, তবুও তিনি সম্পদ উপার্জনকে খারাপ চোখে দেখতেন না। তিনি বলেন, ‘আগেকার সময়ে সম্পদ উপার্জনকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। বর্তমান সময়ে সেটা মুমিনের জন্য ঢালস্বরূপ।’
মোটকথা সুফিয়ান সাওরি জীবনে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুনিয়াবিমুখতা ও বাস্তববাদিতার মধ্যে সমন্বয় করেছিলেন। ফলে তিনি একজন আদর্শ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষের উদাহরণ হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। এসব সোনালি মানুষদের অনুকরণেই আমরা পেতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য। ১৬১ হিজরি সনে তিনি ইহজগৎ ত্যাগ করেন।

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁকে শাইখুল ইসলাম (প্রবীণ ইসলামি পণ্ডিত) ও সাইয়েদুল হুফফাজ (হাদিসের হাফেজদের সর্দার) খেতাবে ভূষিত করেছেন। ইমাম সুফিয়ান সাওরি নিজেই বলেন, ‘আমি কোনো কিছু মুখস্ত করার পর ভুলে গিয়েছি এমন হয়নি।’
ঐতিহাসিকদের ঐকমত্যে, সুফিয়ান সাওরি ৯৭ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্প বয়সেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। বাবা সাইদ বিন মাসরুকও ছিলেন শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের একজন। সুফিয়ান সাওরি শৈশব থেকেই তুখোড় মেধাবী ছিলেন।
ইমাম সাওরির বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন আইয়ুব সাখতিয়ানি, ইবনু আবি যিব, রাবিয়াতুর রায়, মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির, আবু জুবায়ের আলমাক্কিসহ শতাধিক শিক্ষক। কারো কারো মতে তাঁর শিক্ষকের সংখ্যা ছয় শতাধিক।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
সুফিয়ান সাওরির সম্মানিত শিক্ষক আইয়ুব সাখতিয়ানি বলেন, ‘কুফার অধিবাসীদের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি সুফিয়ান সাওরি।’ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, ‘সুফিয়ান সাওরি যদি তাবেয়িনদের মধ্যে জন্মাতেন, সেখানেও তাঁর একটি বিশেষ অবস্থান থাকত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমাম আলকামা ও আসওয়াদ–এর মতো ব্যক্তি এখন জীবিত থাকতেন, তাঁরাও সুফিয়ানের প্রতি মুখাপেক্ষী হতেন।’ আলকামা ও আসওয়াদ—এ দুজন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর শিষ্য।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইয়াহিয়া বিন মাইন তাফসির, হাদিস ও দুনিয়াবিমুখতা বিবেচনায় সুফিয়ান সাওরিকে সর্বাগ্রে রাখতেন। মুসান্না বিন সাব্বাহর ভাষায়, ‘তিনি ছিলেন পুরো জাতির স্বীকৃত আলেম ও আবেদ।’
কর্মজীবন
সমকালীন অন্যান্য বড় আলেমের মতো সুফিয়ান সাওরিও কোরআন–হাদিসের পঠন-পাঠনকেই নিজের কর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। অসংখ্য ছাত্র তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁদের একটি দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বড় ইমামরাও।
ইসলামি আইনশাস্ত্রে ছিল সাওরির অগাধ পাণ্ডিত্য। এমনকি কেউ কেউ তাঁকে আবু হানিফার চেয়েও বড় পণ্ডিত মনে করতেন। হাদিসশাস্ত্রেও ছিল তাঁর অসাধারণ দখল। আলি ইবনুল মাদিনির ভাষায়, ‘তিনি খুব কমই পঠন-পাঠনে ভুল করতেন।’ ইবনুল মাদিনি তাঁর ভুলের শুধু একটি উদাহরণ পেশ করেছিলেন। এ ছাড়া কেরাতশাস্ত্রে ছিল তাঁর চমৎকার পাণ্ডিত্য। পুরো কোরআন মাজিদ চারবার শিক্ষকদের কাছে বুঝে বুঝে পড়েছেন তিনি।
দুনিয়াবিমুখতা
দুনিয়াবিমুখতা ও পার্থিব ভোগ-বিলাসের প্রতি নিরাসক্তি সুফিয়ান সাওরির জীবনের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি তাঁর সমকালীন প্রায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে দেখলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হতো। বিখ্যাত সুফি বিশর আল হাফি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুফিয়ান এ যুগের ইমাম।’
ইমাম কাবিসা বলেন, ‘যখনই আমি সুফিয়ান সাওরির সঙ্গে কোনো মজলিসে বসেছি, মৃত্যুকে স্মরণ করেছি। আমি তাঁর চেয়ে অধিক মৃত্যু স্মরণকারী কাউকে দেখিনি।’
ইউসুফ বিন আসবাত বলেন, ‘একবার এশার নামাজের পর সুফিয়ান সাওরি আমার কাছে অজুর বদনা চাইলেন। আমি সেটা এগিয়ে দিলাম। তিনি ডান হাতে বদনা ধরে বাম হাত গালের ওপর রেখে চিন্তায় ডুবে গেলেন। তাঁকে এ অবস্থায় রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, তিনি সে অবস্থায় রয়ে গেছেন। আমি বললাম, সুবহে সাদিক উদিত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি যখন আমার হাতে বদনা দিয়েছ, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পরকাল বিষয়ে ভাবছিলাম।’
দুনিয়াবিমুখতায় যদিও তিনি তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠতম মানুষ ছিলেন, তবুও তিনি সম্পদ উপার্জনকে খারাপ চোখে দেখতেন না। তিনি বলেন, ‘আগেকার সময়ে সম্পদ উপার্জনকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। বর্তমান সময়ে সেটা মুমিনের জন্য ঢালস্বরূপ।’
মোটকথা সুফিয়ান সাওরি জীবনে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুনিয়াবিমুখতা ও বাস্তববাদিতার মধ্যে সমন্বয় করেছিলেন। ফলে তিনি একজন আদর্শ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষের উদাহরণ হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। এসব সোনালি মানুষদের অনুকরণেই আমরা পেতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য। ১৬১ হিজরি সনে তিনি ইহজগৎ ত্যাগ করেন।
আবদুল আযীয কাসেমি

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁকে শাইখুল ইসলাম (প্রবীণ ইসলামি পণ্ডিত) ও সাইয়েদুল হুফফাজ (হাদিসের হাফেজদের সর্দার) খেতাবে ভূষিত করেছেন। ইমাম সুফিয়ান সাওরি নিজেই বলেন, ‘আমি কোনো কিছু মুখস্ত করার পর ভুলে গিয়েছি এমন হয়নি।’
ঐতিহাসিকদের ঐকমত্যে, সুফিয়ান সাওরি ৯৭ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্প বয়সেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। বাবা সাইদ বিন মাসরুকও ছিলেন শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের একজন। সুফিয়ান সাওরি শৈশব থেকেই তুখোড় মেধাবী ছিলেন।
ইমাম সাওরির বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন আইয়ুব সাখতিয়ানি, ইবনু আবি যিব, রাবিয়াতুর রায়, মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির, আবু জুবায়ের আলমাক্কিসহ শতাধিক শিক্ষক। কারো কারো মতে তাঁর শিক্ষকের সংখ্যা ছয় শতাধিক।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
সুফিয়ান সাওরির সম্মানিত শিক্ষক আইয়ুব সাখতিয়ানি বলেন, ‘কুফার অধিবাসীদের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি সুফিয়ান সাওরি।’ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, ‘সুফিয়ান সাওরি যদি তাবেয়িনদের মধ্যে জন্মাতেন, সেখানেও তাঁর একটি বিশেষ অবস্থান থাকত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমাম আলকামা ও আসওয়াদ–এর মতো ব্যক্তি এখন জীবিত থাকতেন, তাঁরাও সুফিয়ানের প্রতি মুখাপেক্ষী হতেন।’ আলকামা ও আসওয়াদ—এ দুজন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর শিষ্য।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইয়াহিয়া বিন মাইন তাফসির, হাদিস ও দুনিয়াবিমুখতা বিবেচনায় সুফিয়ান সাওরিকে সর্বাগ্রে রাখতেন। মুসান্না বিন সাব্বাহর ভাষায়, ‘তিনি ছিলেন পুরো জাতির স্বীকৃত আলেম ও আবেদ।’
কর্মজীবন
সমকালীন অন্যান্য বড় আলেমের মতো সুফিয়ান সাওরিও কোরআন–হাদিসের পঠন-পাঠনকেই নিজের কর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। অসংখ্য ছাত্র তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁদের একটি দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বড় ইমামরাও।
ইসলামি আইনশাস্ত্রে ছিল সাওরির অগাধ পাণ্ডিত্য। এমনকি কেউ কেউ তাঁকে আবু হানিফার চেয়েও বড় পণ্ডিত মনে করতেন। হাদিসশাস্ত্রেও ছিল তাঁর অসাধারণ দখল। আলি ইবনুল মাদিনির ভাষায়, ‘তিনি খুব কমই পঠন-পাঠনে ভুল করতেন।’ ইবনুল মাদিনি তাঁর ভুলের শুধু একটি উদাহরণ পেশ করেছিলেন। এ ছাড়া কেরাতশাস্ত্রে ছিল তাঁর চমৎকার পাণ্ডিত্য। পুরো কোরআন মাজিদ চারবার শিক্ষকদের কাছে বুঝে বুঝে পড়েছেন তিনি।
দুনিয়াবিমুখতা
দুনিয়াবিমুখতা ও পার্থিব ভোগ-বিলাসের প্রতি নিরাসক্তি সুফিয়ান সাওরির জীবনের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি তাঁর সমকালীন প্রায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে দেখলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হতো। বিখ্যাত সুফি বিশর আল হাফি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুফিয়ান এ যুগের ইমাম।’
ইমাম কাবিসা বলেন, ‘যখনই আমি সুফিয়ান সাওরির সঙ্গে কোনো মজলিসে বসেছি, মৃত্যুকে স্মরণ করেছি। আমি তাঁর চেয়ে অধিক মৃত্যু স্মরণকারী কাউকে দেখিনি।’
ইউসুফ বিন আসবাত বলেন, ‘একবার এশার নামাজের পর সুফিয়ান সাওরি আমার কাছে অজুর বদনা চাইলেন। আমি সেটা এগিয়ে দিলাম। তিনি ডান হাতে বদনা ধরে বাম হাত গালের ওপর রেখে চিন্তায় ডুবে গেলেন। তাঁকে এ অবস্থায় রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, তিনি সে অবস্থায় রয়ে গেছেন। আমি বললাম, সুবহে সাদিক উদিত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি যখন আমার হাতে বদনা দিয়েছ, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পরকাল বিষয়ে ভাবছিলাম।’
দুনিয়াবিমুখতায় যদিও তিনি তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠতম মানুষ ছিলেন, তবুও তিনি সম্পদ উপার্জনকে খারাপ চোখে দেখতেন না। তিনি বলেন, ‘আগেকার সময়ে সম্পদ উপার্জনকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। বর্তমান সময়ে সেটা মুমিনের জন্য ঢালস্বরূপ।’
মোটকথা সুফিয়ান সাওরি জীবনে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুনিয়াবিমুখতা ও বাস্তববাদিতার মধ্যে সমন্বয় করেছিলেন। ফলে তিনি একজন আদর্শ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষের উদাহরণ হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। এসব সোনালি মানুষদের অনুকরণেই আমরা পেতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য। ১৬১ হিজরি সনে তিনি ইহজগৎ ত্যাগ করেন।

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁকে শাইখুল ইসলাম (প্রবীণ ইসলামি পণ্ডিত) ও সাইয়েদুল হুফফাজ (হাদিসের হাফেজদের সর্দার) খেতাবে ভূষিত করেছেন। ইমাম সুফিয়ান সাওরি নিজেই বলেন, ‘আমি কোনো কিছু মুখস্ত করার পর ভুলে গিয়েছি এমন হয়নি।’
ঐতিহাসিকদের ঐকমত্যে, সুফিয়ান সাওরি ৯৭ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্প বয়সেই তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। বাবা সাইদ বিন মাসরুকও ছিলেন শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের একজন। সুফিয়ান সাওরি শৈশব থেকেই তুখোড় মেধাবী ছিলেন।
ইমাম সাওরির বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন আইয়ুব সাখতিয়ানি, ইবনু আবি যিব, রাবিয়াতুর রায়, মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির, আবু জুবায়ের আলমাক্কিসহ শতাধিক শিক্ষক। কারো কারো মতে তাঁর শিক্ষকের সংখ্যা ছয় শতাধিক।
সমকালীনদের দৃষ্টিতে
সুফিয়ান সাওরির সম্মানিত শিক্ষক আইয়ুব সাখতিয়ানি বলেন, ‘কুফার অধিবাসীদের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি সুফিয়ান সাওরি।’ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, ‘সুফিয়ান সাওরি যদি তাবেয়িনদের মধ্যে জন্মাতেন, সেখানেও তাঁর একটি বিশেষ অবস্থান থাকত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমাম আলকামা ও আসওয়াদ–এর মতো ব্যক্তি এখন জীবিত থাকতেন, তাঁরাও সুফিয়ানের প্রতি মুখাপেক্ষী হতেন।’ আলকামা ও আসওয়াদ—এ দুজন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর শিষ্য।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইয়াহিয়া বিন মাইন তাফসির, হাদিস ও দুনিয়াবিমুখতা বিবেচনায় সুফিয়ান সাওরিকে সর্বাগ্রে রাখতেন। মুসান্না বিন সাব্বাহর ভাষায়, ‘তিনি ছিলেন পুরো জাতির স্বীকৃত আলেম ও আবেদ।’
কর্মজীবন
সমকালীন অন্যান্য বড় আলেমের মতো সুফিয়ান সাওরিও কোরআন–হাদিসের পঠন-পাঠনকেই নিজের কর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। অসংখ্য ছাত্র তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁদের একটি দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বড় ইমামরাও।
ইসলামি আইনশাস্ত্রে ছিল সাওরির অগাধ পাণ্ডিত্য। এমনকি কেউ কেউ তাঁকে আবু হানিফার চেয়েও বড় পণ্ডিত মনে করতেন। হাদিসশাস্ত্রেও ছিল তাঁর অসাধারণ দখল। আলি ইবনুল মাদিনির ভাষায়, ‘তিনি খুব কমই পঠন-পাঠনে ভুল করতেন।’ ইবনুল মাদিনি তাঁর ভুলের শুধু একটি উদাহরণ পেশ করেছিলেন। এ ছাড়া কেরাতশাস্ত্রে ছিল তাঁর চমৎকার পাণ্ডিত্য। পুরো কোরআন মাজিদ চারবার শিক্ষকদের কাছে বুঝে বুঝে পড়েছেন তিনি।
দুনিয়াবিমুখতা
দুনিয়াবিমুখতা ও পার্থিব ভোগ-বিলাসের প্রতি নিরাসক্তি সুফিয়ান সাওরির জীবনের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি তাঁর সমকালীন প্রায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে দেখলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হতো। বিখ্যাত সুফি বিশর আল হাফি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুফিয়ান এ যুগের ইমাম।’
ইমাম কাবিসা বলেন, ‘যখনই আমি সুফিয়ান সাওরির সঙ্গে কোনো মজলিসে বসেছি, মৃত্যুকে স্মরণ করেছি। আমি তাঁর চেয়ে অধিক মৃত্যু স্মরণকারী কাউকে দেখিনি।’
ইউসুফ বিন আসবাত বলেন, ‘একবার এশার নামাজের পর সুফিয়ান সাওরি আমার কাছে অজুর বদনা চাইলেন। আমি সেটা এগিয়ে দিলাম। তিনি ডান হাতে বদনা ধরে বাম হাত গালের ওপর রেখে চিন্তায় ডুবে গেলেন। তাঁকে এ অবস্থায় রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, তিনি সে অবস্থায় রয়ে গেছেন। আমি বললাম, সুবহে সাদিক উদিত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি যখন আমার হাতে বদনা দিয়েছ, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি পরকাল বিষয়ে ভাবছিলাম।’
দুনিয়াবিমুখতায় যদিও তিনি তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠতম মানুষ ছিলেন, তবুও তিনি সম্পদ উপার্জনকে খারাপ চোখে দেখতেন না। তিনি বলেন, ‘আগেকার সময়ে সম্পদ উপার্জনকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। বর্তমান সময়ে সেটা মুমিনের জন্য ঢালস্বরূপ।’
মোটকথা সুফিয়ান সাওরি জীবনে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দুনিয়াবিমুখতা ও বাস্তববাদিতার মধ্যে সমন্বয় করেছিলেন। ফলে তিনি একজন আদর্শ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষের উদাহরণ হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। এসব সোনালি মানুষদের অনুকরণেই আমরা পেতে পারি দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য। ১৬১ হিজরি সনে তিনি ইহজগৎ ত্যাগ করেন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
০৪ মার্চ ২০২৫
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
০৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
০৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
০৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
২০ ঘণ্টা আগে