ইসলাম ডেস্ক
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশ পথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে।
১ দিন আগেফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব...
২ দিন আগেআমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী...
৩ দিন আগেমসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
৪ দিন আগে