আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয়ের দিন। এই দিনে জন্ম হয়েছিল আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়ের সূর্য। বিজয়ের এই দিন আমাদের কাছে তাই এত গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে, প্রায় ২৫০ বছর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তি আমাদের শোষণ করেছে। এ দেশের সম্পদ পাচার করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। অপর দিকে এ দেশের লাখো মানুষ ক্ষুধা নিয়ে মরেছে। ব্রিটিশরা আমাদের মানসম্মান বুটের তলায় পিষ্ট করেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠ রুদ্ধ করেছে এবং আমাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষাকে কবর দিয়েছে।
এরপর ব্রিটিশরা চলে গেল। দেশও ভাগ হলো। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হিন্দুরা হিন্দুস্তান কায়েম করল। আর ইসলামের সুমহান আদর্শ ও সাম্যের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হলো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র। পাকিস্তানের ছিল দুটি অংশ—পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানি নেতারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব দিক থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। ঔদ্ধত্য তাদের এতটা অন্ধ করেছিল যে শত বছরের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করেনি।
ভাষার জন্য, অধিকারের জন্য বাংলার মানুষ আবারও রক্ত ঝরালো, জীবন দিল। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? অন্যায় যে করে আর যে সহে; উভয়ই তো সমান অপরাধী। তাই বাংলার দামাল ছেলেরা গর্জে ওঠে। শুরু হয় মাতৃভাষা রক্ষার লড়াই। আর এই লড়াইয়ের স্ফুলিঙ্গ থেকেই জ্বলে উঠল মুক্তিযুদ্ধের মশাল।
দীর্ঘ ৯ মাস অসংখ্য প্রাণ ও মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর পর বাংলার আকাশে উদিত হয় বিজয়ের সূর্য। প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে পড়ে সৃষ্টি সুখের উল্লাস। এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বিজয়ের দিনে মানুষ খুশি হবে, আনন্দ প্রকাশ করবে, এটি স্বাভাবিক।
মুসলমান হিসেবে আমাদের আদর্শ হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আমরা যা কিছু করব, নবীজির আদর্শেই করব। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসুলের মধ্যে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)
প্রতিটি ধর্মই স্বদেশপ্রেমে গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর পথে এক দিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারা দেওয়া এক মাস পর্যন্ত সিয়াম পালন ও এক মাস রাতে সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি কল্যাণকর। যদি এ অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মৃত্যুর পরও তা তার জন্য অব্যাহত থাকবে; তার রিজিক অব্যাহত থাকবে, কবর-হাশরের ফিতনা থেকে সে নিরাপদ থাকবে।’ (মুসলিম: ১৯১৩)
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিজয় দিবসে আমাদের করণীয় হলো, আট রাকাত নফল নামাজ আদায় করা। কেননা নবী করিম (সা.) বিজয়ের দিন শুকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। (জাদুল মা’আদ, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম জাওজি)
বিজয়ের দিনে বিজয়ীদের জন্য আরও কিছু করণীয় রয়েছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন আর তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)
পবিত্র কোরআন ও হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, বিজয় দিবসে আমাদের করণীয় হলো:
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয়ের দিন। এই দিনে জন্ম হয়েছিল আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়ের সূর্য। বিজয়ের এই দিন আমাদের কাছে তাই এত গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে, প্রায় ২৫০ বছর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তি আমাদের শোষণ করেছে। এ দেশের সম্পদ পাচার করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। অপর দিকে এ দেশের লাখো মানুষ ক্ষুধা নিয়ে মরেছে। ব্রিটিশরা আমাদের মানসম্মান বুটের তলায় পিষ্ট করেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠ রুদ্ধ করেছে এবং আমাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষাকে কবর দিয়েছে।
এরপর ব্রিটিশরা চলে গেল। দেশও ভাগ হলো। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হিন্দুরা হিন্দুস্তান কায়েম করল। আর ইসলামের সুমহান আদর্শ ও সাম্যের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হলো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র। পাকিস্তানের ছিল দুটি অংশ—পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানি নেতারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব দিক থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। ঔদ্ধত্য তাদের এতটা অন্ধ করেছিল যে শত বছরের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করেনি।
ভাষার জন্য, অধিকারের জন্য বাংলার মানুষ আবারও রক্ত ঝরালো, জীবন দিল। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? অন্যায় যে করে আর যে সহে; উভয়ই তো সমান অপরাধী। তাই বাংলার দামাল ছেলেরা গর্জে ওঠে। শুরু হয় মাতৃভাষা রক্ষার লড়াই। আর এই লড়াইয়ের স্ফুলিঙ্গ থেকেই জ্বলে উঠল মুক্তিযুদ্ধের মশাল।
দীর্ঘ ৯ মাস অসংখ্য প্রাণ ও মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর পর বাংলার আকাশে উদিত হয় বিজয়ের সূর্য। প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে পড়ে সৃষ্টি সুখের উল্লাস। এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বিজয়ের দিনে মানুষ খুশি হবে, আনন্দ প্রকাশ করবে, এটি স্বাভাবিক।
মুসলমান হিসেবে আমাদের আদর্শ হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আমরা যা কিছু করব, নবীজির আদর্শেই করব। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসুলের মধ্যে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)
প্রতিটি ধর্মই স্বদেশপ্রেমে গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর পথে এক দিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারা দেওয়া এক মাস পর্যন্ত সিয়াম পালন ও এক মাস রাতে সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি কল্যাণকর। যদি এ অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মৃত্যুর পরও তা তার জন্য অব্যাহত থাকবে; তার রিজিক অব্যাহত থাকবে, কবর-হাশরের ফিতনা থেকে সে নিরাপদ থাকবে।’ (মুসলিম: ১৯১৩)
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিজয় দিবসে আমাদের করণীয় হলো, আট রাকাত নফল নামাজ আদায় করা। কেননা নবী করিম (সা.) বিজয়ের দিন শুকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। (জাদুল মা’আদ, আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম জাওজি)
বিজয়ের দিনে বিজয়ীদের জন্য আরও কিছু করণীয় রয়েছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন আর তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী।’ (সুরা আন-নাসর: ১-৩)
পবিত্র কোরআন ও হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, বিজয় দিবসে আমাদের করণীয় হলো:
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
দৃষ্টিশক্তি হৃদয়ের অন্যতম প্রবেশপথ। এর অপব্যবহারের ফলে মানবহৃদয়ে নানা ধরনের কুবাসনা প্রবেশ করে এবং মানুষের মধ্যে পাপাচারের আগ্রহ জন্মায়। এ জন্য মুসলমানদের অবশ্যকর্তব্য হলো, এমন সব বস্তু থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা, যা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ও হারাম।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
১ দিন আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
১ দিন আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
১ দিন আগে