মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রতিটি নতুন বছর নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা ও নতুন কর্মপ্রেরণা নিয়ে আসে। ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যুক্ত হওয়া কেবল সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি যেন আত্মশুদ্ধি, জীবন সংশোধন ও নতুনভাবে পথ চলার আহ্বান। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত—নতুন বছরের সূচনা হোক ইমানের আলোয়, তাকওয়ার ছায়ায় এবং নেক আমলের প্রতিযোগিতায়।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘শপথ সময়ের, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে...।’ (সুরা আসর)। অতীতের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস কীভাবে কাটল, তা মূল্যায়নের উত্তম সময় হলো নতুন বছরের শুরু। যেসব ভুল ও গাফিলতি হয়েছে, তা সংশোধন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
ইমান হচ্ছে অন্তরের এমন এক আলো, যা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। ইমান শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, এটি কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। নতুন বছরে আমাদের উচিত নিজের ইমান আরও মজবুত করা—নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং হালাল-হারামের পার্থক্য বুঝে জীবন পরিচালনা করা।
ইমানি নুরে জীবন সাজালে প্রতিটি কাজেই লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। অফিস, পরিবার, সমাজ—সব ক্ষেত্রেই একজন মুমিন নিজেকে উত্তম চরিত্র, দয়া, সততা ও আন্তরিকতার মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে।
বর্তমান সমাজে অশান্তি, হতাশা, অবিচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে ইমানি চেতনার অভাব। যদি প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ জীবনকে ইমানের আলোয় সাজায়, তাহলে পরিবার হবে শান্তির আবাস, সমাজ হবে সহানুভূতির ক্ষেত্র, আর রাষ্ট্র হবে ইনসাফের আদর্শ উদাহরণ। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম—যে ধর্ম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
নববর্ষ মানেই খাতা নতুন করে সাজানোর সময়। এবার হোক প্রতিজ্ঞা—প্রতিদিন অন্তত একবার কোরআন তিলাওয়াত করব, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করব, মিথ্যা পরিহার করব, পিতামাতার খেদমত করব এবং মানুষকে ভালোবাসব। এসব আমলের মাধ্যমেই আমাদের জীবন হবে আলোকিত, আমাদের অন্তর হবে প্রশান্ত।
নতুন বছরকে আমরা আনন্দ আর উৎসবে স্বাগত জানাই ঠিকই, কিন্তু আমাদের উচিত এই আনন্দের মুহূর্তকে আত্মবিশ্লেষণের সময় হিসেবে কাজে লাগানো। আল্লাহর কাছে দোয়া করি—এই নতুন বছর যেন আমাদের জন্য হেদায়াত, মাগফিরাত ও বরকতের বছর হয়। চলুন, নতুন বছর শুরু করি ইমানি সংকল্পে, তাকওয়ার প্রেরণায় এবং নেক আমলের সোপানে। নতুন বছরে জীবন সাজুক ইমানি নুরে—এই হোক আমাদের সবার প্রত্যাশা ও প্রার্থনা।
প্রতিটি নতুন বছর নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা ও নতুন কর্মপ্রেরণা নিয়ে আসে। ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যুক্ত হওয়া কেবল সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি যেন আত্মশুদ্ধি, জীবন সংশোধন ও নতুনভাবে পথ চলার আহ্বান। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত—নতুন বছরের সূচনা হোক ইমানের আলোয়, তাকওয়ার ছায়ায় এবং নেক আমলের প্রতিযোগিতায়।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘শপথ সময়ের, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে...।’ (সুরা আসর)। অতীতের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস কীভাবে কাটল, তা মূল্যায়নের উত্তম সময় হলো নতুন বছরের শুরু। যেসব ভুল ও গাফিলতি হয়েছে, তা সংশোধন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
ইমান হচ্ছে অন্তরের এমন এক আলো, যা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। ইমান শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, এটি কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। নতুন বছরে আমাদের উচিত নিজের ইমান আরও মজবুত করা—নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং হালাল-হারামের পার্থক্য বুঝে জীবন পরিচালনা করা।
ইমানি নুরে জীবন সাজালে প্রতিটি কাজেই লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। অফিস, পরিবার, সমাজ—সব ক্ষেত্রেই একজন মুমিন নিজেকে উত্তম চরিত্র, দয়া, সততা ও আন্তরিকতার মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে।
বর্তমান সমাজে অশান্তি, হতাশা, অবিচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে ইমানি চেতনার অভাব। যদি প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ জীবনকে ইমানের আলোয় সাজায়, তাহলে পরিবার হবে শান্তির আবাস, সমাজ হবে সহানুভূতির ক্ষেত্র, আর রাষ্ট্র হবে ইনসাফের আদর্শ উদাহরণ। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম—যে ধর্ম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
নববর্ষ মানেই খাতা নতুন করে সাজানোর সময়। এবার হোক প্রতিজ্ঞা—প্রতিদিন অন্তত একবার কোরআন তিলাওয়াত করব, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করব, মিথ্যা পরিহার করব, পিতামাতার খেদমত করব এবং মানুষকে ভালোবাসব। এসব আমলের মাধ্যমেই আমাদের জীবন হবে আলোকিত, আমাদের অন্তর হবে প্রশান্ত।
নতুন বছরকে আমরা আনন্দ আর উৎসবে স্বাগত জানাই ঠিকই, কিন্তু আমাদের উচিত এই আনন্দের মুহূর্তকে আত্মবিশ্লেষণের সময় হিসেবে কাজে লাগানো। আল্লাহর কাছে দোয়া করি—এই নতুন বছর যেন আমাদের জন্য হেদায়াত, মাগফিরাত ও বরকতের বছর হয়। চলুন, নতুন বছর শুরু করি ইমানি সংকল্পে, তাকওয়ার প্রেরণায় এবং নেক আমলের সোপানে। নতুন বছরে জীবন সাজুক ইমানি নুরে—এই হোক আমাদের সবার প্রত্যাশা ও প্রার্থনা।
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব...
২০ ঘণ্টা আগেআমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী...
২ দিন আগেমসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
৩ দিন আগেকাবাঘরের ৪০ বছর পর নির্মিত হয় মসজিদুল আকসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব নবীর যুগেই এই মসজিদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটে। ইসলামেও মসজিদুল আকসাকে রাখা হয় অনন্য উচ্চতায়। একসময় মুসলমানদের কিবলাও ছিল এই মসজিদ। ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় খলিফা হজরত
৩ দিন আগে