ইসলাম ডেস্ক
জুলুম-অত্যাচার ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলাম সব সময় মজলুমের পক্ষে, মানবতার পক্ষে এবং জালিমের বিপক্ষে। মজলুমের পাশে দাঁড়ানো মানবিক ও ইমানি দায়িত্ব। জুলুমমুক্ত সমাজ গঠন ইসলামের চির প্রত্যাশিত। জুলুমমুক্ত সমাজ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করা উচিত। এটি ইমানেরও দাবি।
জালিম মানবতার শত্রু, আল্লাহর শত্রু। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়। যুগে যুগে জালিম সম্প্রদায় ধ্বংসের অতলে হারিয়ে গেছে। কখনো কখনো জালিমের শাস্তি একটু দেরিতে হয়। এর মধ্যেও আল্লাহর বিশেষ প্রজ্ঞা নিহিত আছে। আল্লাহ জালিমকে জুলুম থেকে ফিরে আসার সর্বাত্মক সুযোগ দেন। অতঃপর যখন ধরেন, আর ছাড়েন না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তিনি তাদের সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থির, ভীত বিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪২-৪৩)
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা মানুষকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাআলা তাদের শাস্তি প্রদান করবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৩)
আল্লাহ তাআলা মজলুমের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নারী-পুরুষ আর শিশুদের (রক্ষার) জন্য লড়াই করবে না, যারা দোয়া করছে—হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এ জালিম অধ্যুষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ থেকে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’ (সুরা নিসা: ৭৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা জালিম সম্প্রদায়ের মোকাবিলায় তোমাদের সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’ (সুরা আনফাল: ৬০)
মজলুমকে সাহায্য করা একান্ত কর্তব্য। নবীজি (সা.) বলেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে নিজে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে ছেড়ে দেবে না। (মুসনাদে আহমদ: ২০২৭৮)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, মানুষ যদি কোনো অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার হাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অতি শিগগিরই তাদের সবাইকে তাঁর ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৩৩৮)
আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানুষ জুলুমের শিকার হচ্ছেন। কেউ প্রিয় মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন, কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন জালিমের অত্যাচারে, কেউ হচ্ছেন পরিবার হারা। আমাদের উচিত, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মজলুমের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। তাদের পাশে দাঁড়ানো।
জুলুম-অত্যাচার ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলাম সব সময় মজলুমের পক্ষে, মানবতার পক্ষে এবং জালিমের বিপক্ষে। মজলুমের পাশে দাঁড়ানো মানবিক ও ইমানি দায়িত্ব। জুলুমমুক্ত সমাজ গঠন ইসলামের চির প্রত্যাশিত। জুলুমমুক্ত সমাজ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করা উচিত। এটি ইমানেরও দাবি।
জালিম মানবতার শত্রু, আল্লাহর শত্রু। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়। যুগে যুগে জালিম সম্প্রদায় ধ্বংসের অতলে হারিয়ে গেছে। কখনো কখনো জালিমের শাস্তি একটু দেরিতে হয়। এর মধ্যেও আল্লাহর বিশেষ প্রজ্ঞা নিহিত আছে। আল্লাহ জালিমকে জুলুম থেকে ফিরে আসার সর্বাত্মক সুযোগ দেন। অতঃপর যখন ধরেন, আর ছাড়েন না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তিনি তাদের সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থির, ভীত বিহ্বল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪২-৪৩)
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা মানুষকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাআলা তাদের শাস্তি প্রদান করবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৩)
আল্লাহ তাআলা মজলুমের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নারী-পুরুষ আর শিশুদের (রক্ষার) জন্য লড়াই করবে না, যারা দোয়া করছে—হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এ জালিম অধ্যুষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ থেকে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’ (সুরা নিসা: ৭৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা জালিম সম্প্রদায়ের মোকাবিলায় তোমাদের সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’ (সুরা আনফাল: ৬০)
মজলুমকে সাহায্য করা একান্ত কর্তব্য। নবীজি (সা.) বলেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে নিজে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে ছেড়ে দেবে না। (মুসনাদে আহমদ: ২০২৭৮)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, মানুষ যদি কোনো অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার হাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অতি শিগগিরই তাদের সবাইকে তাঁর ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৩৩৮)
আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানুষ জুলুমের শিকার হচ্ছেন। কেউ প্রিয় মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন, কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন জালিমের অত্যাচারে, কেউ হচ্ছেন পরিবার হারা। আমাদের উচিত, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মজলুমের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। তাদের পাশে দাঁড়ানো।
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
৬ ঘণ্টা আগেহাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
৯ ঘণ্টা আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
১১ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১ দিন আগে