মুফতি আইয়ুব নাদীম
বিনয় মানবজীবনের অনন্য সৌন্দর্য। বিনয় প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের অপরিহার্য গুণ। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। তাই বাস্তব জীবনে দেখা যায়, বিনয়ের মাধ্যমে সহজে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়।
পবিত্র কোরআনে বিনয়ীদের আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে, ‘(হে মুমিনগণ) তোমাদের বন্ধু তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও মুমিনগণ, যারা আল্লাহর সামনে বিনীত হয়ে সালাত আদায় করে ও জাকাত দেয়।’ (সুরা মায়িদা: ৫৫) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদাসিক্ত করেন। তখন সে নিজের চোখে তুচ্ছ হলেও মানুষের চোখে অনেক বড় বিবেচিত হয়।’ (বায়হাকি: ৭৭৯০)
এই অপরিহার্য গুণ যখন মুমিন অর্জন করে, তখন তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনয় প্রকাশ পায়। তার কথাবার্তা, ওঠাবসা, হাঁটাচলায় মার্জিত ভাব আসে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘রহমানের বান্দা তারা, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞলোক যখন তাদের লক্ষ্য করে (অজ্ঞতাসুলভ) কথা বলে, তখন তারা শান্তিপূর্ণ কথা বলে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩) অর্থাৎ তারা অজ্ঞদের কটু কথা ও গালাগালের জবাব মন্দ কথা দিয়ে দেয় না; বরং ভদ্র ও বিনয়োচিত ভাষায় দিয়ে থাকে।
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদমসন্তানের মাথার পেছনে একজন বিশেষ ফেরেশতা থাকেন। তাঁর হাতে থাকে একটি “হাকামাহ” নামের বিশেষ বস্তু। যখনই বান্দা বিনয় অবলম্বন করে, তখন ওই ফেরেশতাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, হাকামাহ উঠাও। অর্থাৎ তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আর যখনই বান্দা অহংকার করে, তখন বলা হয় হাকামাহ ছেড়ে দাও। অর্থাৎ তাকে অপমানিত করো।’ (সিলসিলাহ সহিহা: ৫৩৫)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
বিনয় মানবজীবনের অনন্য সৌন্দর্য। বিনয় প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের অপরিহার্য গুণ। বিনয়ী মানুষকে সবাই ভালোবাসে। তাই বাস্তব জীবনে দেখা যায়, বিনয়ের মাধ্যমে সহজে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়।
পবিত্র কোরআনে বিনয়ীদের আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে, ‘(হে মুমিনগণ) তোমাদের বন্ধু তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও মুমিনগণ, যারা আল্লাহর সামনে বিনীত হয়ে সালাত আদায় করে ও জাকাত দেয়।’ (সুরা মায়িদা: ৫৫) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদাসিক্ত করেন। তখন সে নিজের চোখে তুচ্ছ হলেও মানুষের চোখে অনেক বড় বিবেচিত হয়।’ (বায়হাকি: ৭৭৯০)
এই অপরিহার্য গুণ যখন মুমিন অর্জন করে, তখন তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনয় প্রকাশ পায়। তার কথাবার্তা, ওঠাবসা, হাঁটাচলায় মার্জিত ভাব আসে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘রহমানের বান্দা তারা, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞলোক যখন তাদের লক্ষ্য করে (অজ্ঞতাসুলভ) কথা বলে, তখন তারা শান্তিপূর্ণ কথা বলে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩) অর্থাৎ তারা অজ্ঞদের কটু কথা ও গালাগালের জবাব মন্দ কথা দিয়ে দেয় না; বরং ভদ্র ও বিনয়োচিত ভাষায় দিয়ে থাকে।
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদমসন্তানের মাথার পেছনে একজন বিশেষ ফেরেশতা থাকেন। তাঁর হাতে থাকে একটি “হাকামাহ” নামের বিশেষ বস্তু। যখনই বান্দা বিনয় অবলম্বন করে, তখন ওই ফেরেশতাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, হাকামাহ উঠাও। অর্থাৎ তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। আর যখনই বান্দা অহংকার করে, তখন বলা হয় হাকামাহ ছেড়ে দাও। অর্থাৎ তাকে অপমানিত করো।’ (সিলসিলাহ সহিহা: ৫৩৫)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১৪ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
১ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
৩ দিন আগে