ইসলাম ডেস্ক
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে হজ করার ইচ্ছা করে, সে যেন তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে; অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৩)
তবে কারও শারীরিক সক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে অথবা অসুস্থ হয়ে গেলে এবং সুস্থ হওয়ার সামান্যতম কোনো সম্ভাবনা না থাকলে, তার জন্য অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো অথবা নিজের জীবদ্দশায় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া উচিত। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় করণীয়।
কিন্তু কেউ যদি অন্যকে দিয়ে বদলি হজের অসিয়ত করানোর আগেই ইন্তেকাল করে, তাহলে তার ওয়ারিশদের কর্তব্য হলো মৃতের সম্পদ থেকে খরচ করে তার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো। আর মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তির সম্পদ না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক ওয়ারিশদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যয়ের মাধ্যমে এই বদলি হজ করানো উচিত।
এক মহিলা নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আমার মা মানত করেছিলেন তিনি হজ করবেন। কিন্তু তা পূর্ণ করার আগেই তিনি মারা গেছেন। (এখন আমার করণীয় কী?)’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ আদায় করে নাও। বলো তো, যদি তোমার মা কারও নিকট ঋণী হতেন, তুমি কি তাঁর ঋণ পরিশোধ করতে না?’ মহিলা বলল, ‘হ্যাঁ।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করো। কেননা তিনি প্রাপ্য পাওয়ার অধিক হকদার।’ (সহিহ্ বুখারি)
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে হজ করার ইচ্ছা করে, সে যেন তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে; অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৩)
তবে কারও শারীরিক সক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে অথবা অসুস্থ হয়ে গেলে এবং সুস্থ হওয়ার সামান্যতম কোনো সম্ভাবনা না থাকলে, তার জন্য অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো অথবা নিজের জীবদ্দশায় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া উচিত। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় করণীয়।
কিন্তু কেউ যদি অন্যকে দিয়ে বদলি হজের অসিয়ত করানোর আগেই ইন্তেকাল করে, তাহলে তার ওয়ারিশদের কর্তব্য হলো মৃতের সম্পদ থেকে খরচ করে তার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো। আর মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তির সম্পদ না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক ওয়ারিশদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যয়ের মাধ্যমে এই বদলি হজ করানো উচিত।
এক মহিলা নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আমার মা মানত করেছিলেন তিনি হজ করবেন। কিন্তু তা পূর্ণ করার আগেই তিনি মারা গেছেন। (এখন আমার করণীয় কী?)’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ আদায় করে নাও। বলো তো, যদি তোমার মা কারও নিকট ঋণী হতেন, তুমি কি তাঁর ঋণ পরিশোধ করতে না?’ মহিলা বলল, ‘হ্যাঁ।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করো। কেননা তিনি প্রাপ্য পাওয়ার অধিক হকদার।’ (সহিহ্ বুখারি)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে