মাওলানা ইসমাইল নাজিম
রমজান রহমতের মাস। আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দেন। তাই আমাদেরও উচিত, আল্লাহর অসহায় বান্দাদের প্রতি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া; তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করা। এ কাজে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। কারণ আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পদ দিয়েছেন, মানুষের দুঃখ উপশমের জন্য। হাদিসে এসেছে, যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না। তাই অন্যান্য ইবাদতের মতো দান-সদকা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেরা সময় পবিত্র রমজান।
কারণ রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়। একটি নফল আমল ফরজের সমতুল্য বিবেচিত হয়। সে হিসাবে রমজান মাসে প্রতিটি দান-সদকাতেই ৭০ গুণ নেকি পাওয়া যাবে এবং তা ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে। তাই আসুন, জাকাত, ফিতরা, সাধারণ দান-সদকার মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। সারা দিন উপোস থাকার মধ্য দিয়ে তাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার মানবেতর জীবনযাপনকে অনুভব করি। তাদের কাছে যাই, মানবিকতার কোমল পরশে এক মুঠো সুখ এনে দিই।
জাকাত দিয়ে স্বাবলম্বী করে দিই
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ইসলামে জাকাত ফরজ। এটি দিতেই হবে। অন্যথায় বড় গুনাহের ভাগীদার হতে হবে। আর জাকাত বছরের যেকোনো সময় আদায়যোগ্য হলেও রমজানে আদায় করাই উত্তম। কারণ প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়। দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়। তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়। এসব কারণে রমজানই জাকাত আদায়ের সেরা সময়। আর জাকাত দেওয়ার উত্তম পদ্ধতি হলো, (সম্ভব হলে) একজন দরিদ্র মানুষকে স্থায়ী কোনো রোজগার বা আয়ের উৎস বের করে দেওয়া, যাতে সে স্বাবলম্বী হয়ে জীবনযাপন করতে পারে।
সেহরি-ইফতারির জোগান
রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনা খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগপর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (মিশকাত)
এসব হাদিস তো সাধারণ যেকোনো রোজাদারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, সাধারণ সামর্থ্যবান রোজাদারকে খাওয়ালেই এত এত সওয়াব। সুতরাং একবার ভাবুন, সেই রোজাদার যদি গরিব, অসহায় ও অভাবী হয়; ছিন্নমূল ভাসমান মানুষ হয়; তবে সওয়াবের মাত্রা কত বেশি হবে। আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ পথঘাটে অভুক্ত দিন যাপন করে। এই রমজানে তাদের মুখে একটু স্বাদের সেহরি ও ইফতারি তুলে দিলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি খুশি হবেন।
ফিতরায় রোজার পঙ্কিলতামুক্তি
মাসব্যাপী রোজা পালনের পর ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আর্থিক ইবাদত ফিতরা ওয়াজিব হয়। রোজা দৈহিক ইবাদত হলেও তার পূর্ণতা সাধিত হয় সদকাতুল ফিতর আদায়ের মাধ্যমে। আল্লাহর প্রতি অন্তরের ভয় থেকে দিনব্যাপী পানাহার ও স্ত্রী-মিলন থেকে বিরত থাকা রোজার মূল কাজ হলেও রোজাকে পূর্ণরূপে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে হলে বহুবিধ শিষ্টাচার পালন করতে হয়। অশ্লীল ও অযথা কথা বলা থেকে বিরত থাকা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বহু অযাচিত কর্মকাণ্ড রোজা অবস্থায় ঘটে যায়। সেসব থেকে পবিত্রতা পেতে সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করা হয়েছে।
অন্য দিকে রোজা পালন শেষ হলেই আসে ঈদের আনন্দ। ঈদে মুসলিম সমাজের ঘরে ঘরে বয়ে যায় খুশির জোয়ার। কিন্তু মুসলিম সমাজের অভাবী, অসচ্ছল শ্রেণির ঘরে এই আনন্দের আলো নিষ্প্রভ হয়ে থাকে। হাসতে চাইলেও কান্নাই তাদের অনিবার্য নিয়তি হয়ে যায়। সেসব দরিদ্র পরিবারের মুখে ঈদের দিনে হাসি ফোটাতে, ঈদের জামাতের আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।
সদকাতুল ফিতরের হিসাব দুই ধরনের হতে পারে। কিশমিশের হিসাব করলে অধিক দানের পথ খোলে। সামর্থ্যবানদের তাই করা উচিত, যাতে সমাজের গরিব মানুষেরা বেশি বরাদ্দ পায়। আর তুলনামূলক কম সামর্থ্যবানেরা গম বা আটার হিসাব করতে পারে। মানুষের কল্যাণের মানসিকতা এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার প্রেরণাই এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অনুঘটক।
অন্যান্য দান
জাকাত-ফিতরা ছাড়াও দুহাত খুলে দান করার সেরা সময় রমজান। কারণ এ সময় যেকোনো ভালো কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বেশি। মহানবী (সা.) এ সময় সবচেয়ে বেশি দান করতেন। তাই আসুন, দানের প্রদর্শনী নয়, সত্যিকার অর্থে দান করে মানুষের পাশে দাঁড়াই। একজন অসহায় মানুষকে অল্প দান না করে তাকে স্বাবলম্বী করে দিই। যাতে পরে তার কারও কাছে হাত পাততে না হয়। এর বাইরে গিয়ে গরিবকে গরিব করে রাখার জন্য অল্পস্বল্প দান করে দানবীর সাজার প্রয়োজন নেই। এতে সমাজে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
রমজান রহমতের মাস। আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দেন। তাই আমাদেরও উচিত, আল্লাহর অসহায় বান্দাদের প্রতি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া; তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করা। এ কাজে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। কারণ আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পদ দিয়েছেন, মানুষের দুঃখ উপশমের জন্য। হাদিসে এসেছে, যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না। তাই অন্যান্য ইবাদতের মতো দান-সদকা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেরা সময় পবিত্র রমজান।
কারণ রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়। একটি নফল আমল ফরজের সমতুল্য বিবেচিত হয়। সে হিসাবে রমজান মাসে প্রতিটি দান-সদকাতেই ৭০ গুণ নেকি পাওয়া যাবে এবং তা ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে। তাই আসুন, জাকাত, ফিতরা, সাধারণ দান-সদকার মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। সারা দিন উপোস থাকার মধ্য দিয়ে তাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার মানবেতর জীবনযাপনকে অনুভব করি। তাদের কাছে যাই, মানবিকতার কোমল পরশে এক মুঠো সুখ এনে দিই।
জাকাত দিয়ে স্বাবলম্বী করে দিই
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ইসলামে জাকাত ফরজ। এটি দিতেই হবে। অন্যথায় বড় গুনাহের ভাগীদার হতে হবে। আর জাকাত বছরের যেকোনো সময় আদায়যোগ্য হলেও রমজানে আদায় করাই উত্তম। কারণ প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়। দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়। তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়। এসব কারণে রমজানই জাকাত আদায়ের সেরা সময়। আর জাকাত দেওয়ার উত্তম পদ্ধতি হলো, (সম্ভব হলে) একজন দরিদ্র মানুষকে স্থায়ী কোনো রোজগার বা আয়ের উৎস বের করে দেওয়া, যাতে সে স্বাবলম্বী হয়ে জীবনযাপন করতে পারে।
সেহরি-ইফতারির জোগান
রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনা খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগপর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (মিশকাত)
এসব হাদিস তো সাধারণ যেকোনো রোজাদারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, সাধারণ সামর্থ্যবান রোজাদারকে খাওয়ালেই এত এত সওয়াব। সুতরাং একবার ভাবুন, সেই রোজাদার যদি গরিব, অসহায় ও অভাবী হয়; ছিন্নমূল ভাসমান মানুষ হয়; তবে সওয়াবের মাত্রা কত বেশি হবে। আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ পথঘাটে অভুক্ত দিন যাপন করে। এই রমজানে তাদের মুখে একটু স্বাদের সেহরি ও ইফতারি তুলে দিলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি খুশি হবেন।
ফিতরায় রোজার পঙ্কিলতামুক্তি
মাসব্যাপী রোজা পালনের পর ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আর্থিক ইবাদত ফিতরা ওয়াজিব হয়। রোজা দৈহিক ইবাদত হলেও তার পূর্ণতা সাধিত হয় সদকাতুল ফিতর আদায়ের মাধ্যমে। আল্লাহর প্রতি অন্তরের ভয় থেকে দিনব্যাপী পানাহার ও স্ত্রী-মিলন থেকে বিরত থাকা রোজার মূল কাজ হলেও রোজাকে পূর্ণরূপে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে হলে বহুবিধ শিষ্টাচার পালন করতে হয়। অশ্লীল ও অযথা কথা বলা থেকে বিরত থাকা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বহু অযাচিত কর্মকাণ্ড রোজা অবস্থায় ঘটে যায়। সেসব থেকে পবিত্রতা পেতে সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করা হয়েছে।
অন্য দিকে রোজা পালন শেষ হলেই আসে ঈদের আনন্দ। ঈদে মুসলিম সমাজের ঘরে ঘরে বয়ে যায় খুশির জোয়ার। কিন্তু মুসলিম সমাজের অভাবী, অসচ্ছল শ্রেণির ঘরে এই আনন্দের আলো নিষ্প্রভ হয়ে থাকে। হাসতে চাইলেও কান্নাই তাদের অনিবার্য নিয়তি হয়ে যায়। সেসব দরিদ্র পরিবারের মুখে ঈদের দিনে হাসি ফোটাতে, ঈদের জামাতের আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।
সদকাতুল ফিতরের হিসাব দুই ধরনের হতে পারে। কিশমিশের হিসাব করলে অধিক দানের পথ খোলে। সামর্থ্যবানদের তাই করা উচিত, যাতে সমাজের গরিব মানুষেরা বেশি বরাদ্দ পায়। আর তুলনামূলক কম সামর্থ্যবানেরা গম বা আটার হিসাব করতে পারে। মানুষের কল্যাণের মানসিকতা এবং আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার প্রেরণাই এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অনুঘটক।
অন্যান্য দান
জাকাত-ফিতরা ছাড়াও দুহাত খুলে দান করার সেরা সময় রমজান। কারণ এ সময় যেকোনো ভালো কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বেশি। মহানবী (সা.) এ সময় সবচেয়ে বেশি দান করতেন। তাই আসুন, দানের প্রদর্শনী নয়, সত্যিকার অর্থে দান করে মানুষের পাশে দাঁড়াই। একজন অসহায় মানুষকে অল্প দান না করে তাকে স্বাবলম্বী করে দিই। যাতে পরে তার কারও কাছে হাত পাততে না হয়। এর বাইরে গিয়ে গরিবকে গরিব করে রাখার জন্য অল্পস্বল্প দান করে দানবীর সাজার প্রয়োজন নেই। এতে সমাজে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
ইসলামের ইতিহাসে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়ে নারী আর্থসামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হয়েছেন। হাজার বছরের মুসলিম শাসনের ইতিহাসে নারীরা পর্দা-শালীনতা বজায় রেখে জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা ও অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন এবং পুরুষদের মতোই যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) একবার বনি ইসরাইলের এক বৃদ্ধার ঘটনা শুনিয়েছিলেন। ওই নারীর সঙ্গে নবী মুসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ হয়। তিনি মুসা (আ.)-এর একটি উপকার করেন। সেই উপকারের বিনিময়ে তিনি পার্থিব সম্পদ ও সুখকে প্রাধান্য দেননি। কোনো ধনসম্পদ ও স্বর্ণ-রুপা চাননি; বরং তিনি জান্নাতের উচ্চতম মর্যাদা লাভকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নিচে
১৪ ঘণ্টা আগেইমাম আবু হানিফা (রহ.) ইসলামি আইনশাস্ত্র (ফিকহ)-এর ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। যাঁর হাত ধরে গড়ে উঠেছে একটি অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক জগত, যেটি পুরো বিশ্বে হানাফি মাজহাব নামে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বলতে গেলে অর্ধেক মুসলিম উম্মাহ হানাফি মাজহাব অনুসরণ করে তাদের ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তঃসত্তা নারী যদি রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যহীনতা কিংবা অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতির আশংকা করেন, তবে সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ধার্মিক ডাক্তারের পরামর্শে রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো কাজা করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে