কাউসার লাবীব
ফুল শোভা। ফুল সুভাস। ফুল প্রকৃতির এক অপূর্ব সৌন্দর্য। ফুল হৃদয়ের ভালোবাসা। কবির কবিতায়, লেখকের কলমে, শিল্পীর তুলিতে ফুল অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে আছে যুগের পর যুগ। আমরা প্রিয়জনকে উপমা দিই ফুলের সঙ্গে। পছন্দের মানুষের শরীরের ঘ্রাণ মনে করিয়ে দেয় ফুলের সুগন্ধের কথা। মদিনার বুলবুল আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এরও প্রিয় দুটি ফুল ছিল, যাদের সুবাসে তিনি মুগ্ধ হতেন, ব্যাকুল হতেন। নবীজির কুসুম বাগের সেই দুই ফুল—হাসান ও হুসাইন। মহানবীর সব ব্যস্ততা থেমে যেত তাদের দেখলে। তিনি যেন ফিরে যেতেন নিজের ফেলে আসা শৈশবে। তিনি তাদের জড়িয়ে ধরে বলতেন, ‘হাসান ও হুসাইন এই পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭০)
হাসান ও হুসাইন—রাসুলের হৃদয়ের ধন, নয়নের মণি, কলিজার টুকরা, ভালোবাসার গন্ধরাজ। তাদের শৈশব রঙিন হয়েছিল নবীর পরশে। নবীজির জীবন আন্দোলিত হয়েছিল তাদের আগমনে। তিনি তাদের মায়ার চাদরে আগলে রাখতেন, চুমু খেতেন, কাঁধে চড়াতেন, খেলা করতেন। তাদের শৈশবজুড়ে ছিল দয়ার নবীর অন্য রকম উপস্থিতি।
নবীজির সাহাবি উসামা ইবনে জায়েদ। কোনো এক রাতে বিশেষ এক কারণে তিনি মহানবী (সা.)-এর শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন। ছুটে গেলেন নবীজির কাছে। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ডাকতেই পিঠে কিছু একটা জড়িয়ে বেরিয়ে এলেন নবীজি। উসামা বললেন তাঁর প্রয়োজনের কথা। কাজ শেষ। এবার ফেরার পালা। কৌতূহল মেটানোর জন্য তিনি নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার শরীরের সঙ্গে জড়ানো এটি কী?’ উসামার কৌতূহল মেটাতে তিনি গায়ে জড়ানো কাপড় সরালেন। কাপড় সরাতেই মনে হলো যেন দুটি পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিচ্ছে। নবীজির কোলে চড়ে আছেন আদরের নাতি হাসান ও হুসাইন। প্রিয় নবী (সা.) জানালেন, তারা আমার আদরের নাতি। এরপর আসমানের দিকে তাকিয়ে মায়াভরা কণ্ঠে বললেন, ‘হে আল্লাহ, আমি তাদের দুজনকে ভালোবাসি। তুমিও তাদের ভালোবাসো। আর যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৬৯)
হজরত হুসাইন একদিন পথের ধারে খেলছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) সেই পথ ধরেই যাচ্ছিলেন কোথাও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সাহাবি। নবীজি আদরের নাতি হুসাইনকে দেখেই সঙ্গে থাকা সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন। বরকতময় দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন। প্রিয় নানাকে দেখে হুসাইন ছুটোছুটি করতে লাগল। মায়ার নবী তাকে হাসতে হাসতে ধরে ফেললেন। তার মুখে চুমু এঁকে দিলেন। বললেন, ‘হুসাইন আমার। আর আমি হুসাইনের। যে হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪)
তাদের দুজনেই নবুওয়াতের আলোয় বেড়ে ওঠা মানুষ, যাঁদের হৃদয়ে ছিল কোরআনের সৌন্দর্য এবং আচরণে ছিল রাসুলের ছায়া। তারা শুধু রক্তের বন্ধনে নবীর নাতি নন, বরং নৈতিকতা, ভালোবাসা ও আত্মোৎসর্গের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি। হজরত হাসান (রা.) ছিলেন বিনয় ও উদারতার এক জীবন্ত প্রতীক—তাঁর চরিত্রে ছিল ধৈর্যের দীপ্তি। মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য নিজের খেলাফত বিসর্জন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—ক্ষমা ও আত্মত্যাগ কতটা মহৎ। আর হজরত হুসাইন (রা.) ছিলেন অবিচল সাহসের পরাকাষ্ঠা। কারবালার ধূলিমাটিতে তিনি রক্ত দিয়ে লিখে গিয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্তিমান মহাকাব্য।
ফুল শোভা। ফুল সুভাস। ফুল প্রকৃতির এক অপূর্ব সৌন্দর্য। ফুল হৃদয়ের ভালোবাসা। কবির কবিতায়, লেখকের কলমে, শিল্পীর তুলিতে ফুল অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে আছে যুগের পর যুগ। আমরা প্রিয়জনকে উপমা দিই ফুলের সঙ্গে। পছন্দের মানুষের শরীরের ঘ্রাণ মনে করিয়ে দেয় ফুলের সুগন্ধের কথা। মদিনার বুলবুল আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এরও প্রিয় দুটি ফুল ছিল, যাদের সুবাসে তিনি মুগ্ধ হতেন, ব্যাকুল হতেন। নবীজির কুসুম বাগের সেই দুই ফুল—হাসান ও হুসাইন। মহানবীর সব ব্যস্ততা থেমে যেত তাদের দেখলে। তিনি যেন ফিরে যেতেন নিজের ফেলে আসা শৈশবে। তিনি তাদের জড়িয়ে ধরে বলতেন, ‘হাসান ও হুসাইন এই পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭০)
হাসান ও হুসাইন—রাসুলের হৃদয়ের ধন, নয়নের মণি, কলিজার টুকরা, ভালোবাসার গন্ধরাজ। তাদের শৈশব রঙিন হয়েছিল নবীর পরশে। নবীজির জীবন আন্দোলিত হয়েছিল তাদের আগমনে। তিনি তাদের মায়ার চাদরে আগলে রাখতেন, চুমু খেতেন, কাঁধে চড়াতেন, খেলা করতেন। তাদের শৈশবজুড়ে ছিল দয়ার নবীর অন্য রকম উপস্থিতি।
নবীজির সাহাবি উসামা ইবনে জায়েদ। কোনো এক রাতে বিশেষ এক কারণে তিনি মহানবী (সা.)-এর শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন। ছুটে গেলেন নবীজির কাছে। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ডাকতেই পিঠে কিছু একটা জড়িয়ে বেরিয়ে এলেন নবীজি। উসামা বললেন তাঁর প্রয়োজনের কথা। কাজ শেষ। এবার ফেরার পালা। কৌতূহল মেটানোর জন্য তিনি নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার শরীরের সঙ্গে জড়ানো এটি কী?’ উসামার কৌতূহল মেটাতে তিনি গায়ে জড়ানো কাপড় সরালেন। কাপড় সরাতেই মনে হলো যেন দুটি পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিচ্ছে। নবীজির কোলে চড়ে আছেন আদরের নাতি হাসান ও হুসাইন। প্রিয় নবী (সা.) জানালেন, তারা আমার আদরের নাতি। এরপর আসমানের দিকে তাকিয়ে মায়াভরা কণ্ঠে বললেন, ‘হে আল্লাহ, আমি তাদের দুজনকে ভালোবাসি। তুমিও তাদের ভালোবাসো। আর যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৬৯)
হজরত হুসাইন একদিন পথের ধারে খেলছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) সেই পথ ধরেই যাচ্ছিলেন কোথাও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সাহাবি। নবীজি আদরের নাতি হুসাইনকে দেখেই সঙ্গে থাকা সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন। বরকতময় দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন। প্রিয় নানাকে দেখে হুসাইন ছুটোছুটি করতে লাগল। মায়ার নবী তাকে হাসতে হাসতে ধরে ফেললেন। তার মুখে চুমু এঁকে দিলেন। বললেন, ‘হুসাইন আমার। আর আমি হুসাইনের। যে হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪)
তাদের দুজনেই নবুওয়াতের আলোয় বেড়ে ওঠা মানুষ, যাঁদের হৃদয়ে ছিল কোরআনের সৌন্দর্য এবং আচরণে ছিল রাসুলের ছায়া। তারা শুধু রক্তের বন্ধনে নবীর নাতি নন, বরং নৈতিকতা, ভালোবাসা ও আত্মোৎসর্গের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি। হজরত হাসান (রা.) ছিলেন বিনয় ও উদারতার এক জীবন্ত প্রতীক—তাঁর চরিত্রে ছিল ধৈর্যের দীপ্তি। মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য নিজের খেলাফত বিসর্জন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—ক্ষমা ও আত্মত্যাগ কতটা মহৎ। আর হজরত হুসাইন (রা.) ছিলেন অবিচল সাহসের পরাকাষ্ঠা। কারবালার ধূলিমাটিতে তিনি রক্ত দিয়ে লিখে গিয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্তিমান মহাকাব্য।
কন্যাসন্তান নিয়ে সমাজে যুগ যুগ ধরে নানা ভুল ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল এবং এখনো অনেকাংশে আছে। ইসলামপূর্ব যুগে কন্যাসন্তান অভিশাপ মনে করে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হতো, শান্তির ধর্ম ইসলাম এই কুসংস্কার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেয়। কোরআন ও হাদিস কন্যাসন্তানকে আল্লাহর রহমত, সৌভাগ্য ও জান্নাতের মাধ্যম...
২ ঘণ্টা আগেঢাকায় হজ ও ওমরাহ-সংক্রান্ত এজেন্সি ‘মাকারিম’-এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় সেবার মান অনেক বেড়েছে। বিমানবন্দরে নামার পরপরই নির্ধারিত গাড়ি হাজিকে হোটেলে পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু এতে করে যারা কম খরচে ছোট গ্রুপ করে ওমরাহ পালন করতে চাইতেন, তাঁদের জন্য সমস্যা হচ্ছে...
৩ ঘণ্টা আগেসন্তান প্রতিটি বাবা-মায়ের জীবনের পরম আশীর্বাদ। তবে শুধু সন্তান পেলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, বরং সন্তান যেন হয় আদর্শ, চরিত্রবান ও আল্লাহভীরু; সেটাই প্রকৃত সফলতা। সন্তান ধর্মপরায়ণ হলে পরিবারে আসে শান্তি আর সন্তান অবাধ্য হলে মাটি হয়ে যায় বাবা-মায়ের স্বপ্ন। তাই ইসলাম শুরু থেকেই আদর্শ সন্তান লাভের জন্য...
৭ ঘণ্টা আগেপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও কল্যাণের অন্যতম নিদর্শন হলো বৃষ্টি। এটি শুধু মাটিকে সিক্ত করে না, বরং মানবজীবনেও বহুমাত্রিক উপকার বয়ে আনে। গ্রামীণ জনজীবনে বৃষ্টির জল মানে—স্নিগ্ধতা, উর্বরতা এবং মাঝে মাঝে তা হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ গোসলের উৎস। অনেকেই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ধুয়ে নেন।
২০ ঘণ্টা আগে