আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় ইনহেলার, ইনজেকশন, ড্রপ ইত্যাদি নেওয়া যাবে কি? বিস্তারিত জানতে চাই। সায়েম হোসেন, ঢাকা
উত্তর: যুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা নিয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিজ্ঞ ফকিহরা। এখানে কিছু বিষয়ের সমাধান তুলে ধরা হলো—
ইনহেলার ব্যবহার
রোজা রাখা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যায়। তাই সেহরির শেষ সময় ও ইফতারের প্রথমে ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয়, তবে রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ভালো। বেশি অসুস্থ হওয়ায় যদি দিনের বেলায় ব্যবহার করা জরুরি হয়, তখন ব্যবহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে তিনটি করণীয় রয়েছে—এক. এই অজুহাতে দিনের বেলায় ইনহেলার ব্যবহার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুই. পরে রোগ ভালো হলে রোজাটির কাজা করে নিতে হবে। তিন. অপারগতা যদি আজীবন থাকে, তাহলে ফিদইয়া আদায় করতে হবে। (রদ্দুল মুখতার)
ইনজেকশন পুশ করা
ইনজেকশন, ইনসুলিন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না। তবে গ্লুকোজ ইনজেকশন, অর্থাৎ যেসব স্যালাইন ও ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয়, রোজা অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থ না হলে তা নেওয়া যাবে না। (আলাতে জাদিদা কি শরয়ি আহকাম)
চোখে ওষুধ ব্যবহার
চোখে ড্রপ, ওষুধ, সুরমা বা মলম ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। কারণ, চোখে ওষুধ দিলে রোজা না ভাঙার বিষয়টি হাদিস ও ফিকহ শাস্ত্রের মূলনীতি দ্বারা প্রমাণিত। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
রক্ত দেওয়া-নেওয়া
রোজা অবস্থায় রক্ত দেওয়া ও নেওয়া জায়েজ। এর কারণে রোজা ভাঙবে না। তাই ডায়ালাইসিসের কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে রক্ত দেওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে রোজা অবস্থায় রক্তদান মাকরুহ। (ফিকহুল নাওয়াজিল)
অক্সিজেন
রোজা অবস্থায় ওষুধ ব্যবহৃত অক্সিজেন নিলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
দাঁত তোলা
রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ। তবে প্রয়োজন না হলে এমনটি করা মাকরুহ। ওষুধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুতু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতওয়া)
পেস্ট ও টুথ পাউডার ব্যবহার
রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরুহ। তবে গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
মাথায় অপারেশন
রোজা রাখা অবস্থায় মাথায় অপারেশন করে ওষুধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহিয়া)
নাইট্রোগ্লিসারিন
অ্যারোসলজাতীয় ওষুধ হার্টের রোগীরা ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের মতে, ওষুধটি জিবের নিচে দু-তিন ফোঁটা দেওয়ার পর শিরার মাধ্যমে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। তাই এটি ব্যবহারের পর গলায় না গেলে বা এর স্বাদ না পৌঁছালে রোজা ভাঙবে না (ফিকহুল নাওয়াজিল)
উত্তর দিয়েছেন মুফতি ইশমাম আহমেদ ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় ইনহেলার, ইনজেকশন, ড্রপ ইত্যাদি নেওয়া যাবে কি? বিস্তারিত জানতে চাই। সায়েম হোসেন, ঢাকা
উত্তর: যুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা নিয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিজ্ঞ ফকিহরা। এখানে কিছু বিষয়ের সমাধান তুলে ধরা হলো—
ইনহেলার ব্যবহার
রোজা রাখা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যায়। তাই সেহরির শেষ সময় ও ইফতারের প্রথমে ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয়, তবে রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ভালো। বেশি অসুস্থ হওয়ায় যদি দিনের বেলায় ব্যবহার করা জরুরি হয়, তখন ব্যবহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে তিনটি করণীয় রয়েছে—এক. এই অজুহাতে দিনের বেলায় ইনহেলার ব্যবহার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুই. পরে রোগ ভালো হলে রোজাটির কাজা করে নিতে হবে। তিন. অপারগতা যদি আজীবন থাকে, তাহলে ফিদইয়া আদায় করতে হবে। (রদ্দুল মুখতার)
ইনজেকশন পুশ করা
ইনজেকশন, ইনসুলিন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না। তবে গ্লুকোজ ইনজেকশন, অর্থাৎ যেসব স্যালাইন ও ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয়, রোজা অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থ না হলে তা নেওয়া যাবে না। (আলাতে জাদিদা কি শরয়ি আহকাম)
চোখে ওষুধ ব্যবহার
চোখে ড্রপ, ওষুধ, সুরমা বা মলম ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। কারণ, চোখে ওষুধ দিলে রোজা না ভাঙার বিষয়টি হাদিস ও ফিকহ শাস্ত্রের মূলনীতি দ্বারা প্রমাণিত। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
রক্ত দেওয়া-নেওয়া
রোজা অবস্থায় রক্ত দেওয়া ও নেওয়া জায়েজ। এর কারণে রোজা ভাঙবে না। তাই ডায়ালাইসিসের কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে রক্ত দেওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে রোজা অবস্থায় রক্তদান মাকরুহ। (ফিকহুল নাওয়াজিল)
অক্সিজেন
রোজা অবস্থায় ওষুধ ব্যবহৃত অক্সিজেন নিলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
দাঁত তোলা
রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ। তবে প্রয়োজন না হলে এমনটি করা মাকরুহ। ওষুধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুতু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতওয়া)
পেস্ট ও টুথ পাউডার ব্যবহার
রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরুহ। তবে গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
মাথায় অপারেশন
রোজা রাখা অবস্থায় মাথায় অপারেশন করে ওষুধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহিয়া)
নাইট্রোগ্লিসারিন
অ্যারোসলজাতীয় ওষুধ হার্টের রোগীরা ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের মতে, ওষুধটি জিবের নিচে দু-তিন ফোঁটা দেওয়ার পর শিরার মাধ্যমে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। তাই এটি ব্যবহারের পর গলায় না গেলে বা এর স্বাদ না পৌঁছালে রোজা ভাঙবে না (ফিকহুল নাওয়াজিল)
উত্তর দিয়েছেন মুফতি ইশমাম আহমেদ ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের ইতিহাসে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়ে নারী আর্থসামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হয়েছেন। হাজার বছরের মুসলিম শাসনের ইতিহাসে নারীরা পর্দা-শালীনতা বজায় রেখে জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা ও অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন এবং পুরুষদের মতোই যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) একবার বনি ইসরাইলের এক বৃদ্ধার ঘটনা শুনিয়েছিলেন। ওই নারীর সঙ্গে নবী মুসা (আ.)-এর সাক্ষাৎ হয়। তিনি মুসা (আ.)-এর একটি উপকার করেন। সেই উপকারের বিনিময়ে তিনি পার্থিব সম্পদ ও সুখকে প্রাধান্য দেননি। কোনো ধনসম্পদ ও স্বর্ণ-রুপা চাননি; বরং তিনি জান্নাতের উচ্চতম মর্যাদা লাভকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নিচে
১৪ ঘণ্টা আগেইমাম আবু হানিফা (রহ.) ইসলামি আইনশাস্ত্র (ফিকহ)-এর ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। যাঁর হাত ধরে গড়ে উঠেছে একটি অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক জগত, যেটি পুরো বিশ্বে হানাফি মাজহাব নামে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বলতে গেলে অর্ধেক মুসলিম উম্মাহ হানাফি মাজহাব অনুসরণ করে তাদের ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তঃসত্তা নারী যদি রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যহীনতা কিংবা অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতির আশংকা করেন, তবে সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ধার্মিক ডাক্তারের পরামর্শে রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজাগুলো কাজা করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে