তাসলিমা জাহান
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস। এই মসজিদ ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ ছাড়া মসজিদটির স্থাপত্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এর প্রাচীন গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার এবং শিলাবদ্ধ দেয়ালগুলো আজও শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ঐক্যের এক অমূল্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের বিস্ময়কর কিছু তাৎপর্য তুলে ধরেছেন তাসলিমা জাহান—
ইসলামের প্রাথমিক সময়ের কিবলা
মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কায় কাবা সামনে রেখে বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পরও ১৬ মাস বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করেছেন। অতঃপর কিবলা কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৯৯১)
দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রাচীন মসজিদ। মসজিদুল হারামের পরেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আবু জর গিফারি (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়? নবীজি (সা.) বললেন, মসজিদুল হারাম। সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আবু জর (রা.) পুনরায় জানতে চাইলেন, উভয় মসজিদ নির্মাণের মাঝে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? মহানবী (সা.) বললেন, ৪০ বছর। (সহিহ্ বুখারি: ৩৩৬৬, সহিহ্ মুসলিম: ৫২০)
তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মদিনার মসজিদে নববি। এ দুই মসজিদের পরেই তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা হলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসা। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই তিন মসজিদের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মসজিদুল আকসাকে তৃতীয় অবস্থানে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘সফর করলে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা উচিত। মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদুল আকসা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৮৯)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, মসজিদুল হারামের নামাজ ১ লাখ নামাজের সমতুল্য। আমার মসজিদের (মসজিদে নববি) নামাজ ১ হাজার নামাজের সমতুল্য। আর বায়তুল মাকদিসের নামাজ ৫০০ নামাজের সমতুল্য। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৪৫)
এ ছাড়া নবীজি (সা.) মসজিদুল আকসার মর্যাদার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘যে বায়তুল মাকদিস থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করবে, তার গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০১)
নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান
মহান আল্লাহ মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশে যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন, অন্য কোনো অঞ্চলে এত নবী-রাসুল পাঠাননি। মসজিদুল আকসার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের কবর। তাঁদের পায়ের ধুলার বরকত মিশে আছে এই অঞ্চলে। এ ছাড়া মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বজগতে সফর শুরুর আগে প্রথমে এই মসজিদে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সুরা ইসরা: ১)।
এ সময় তিনি মসজিদুল আকসায় নামাজের ইমামতি করেছেন। সব নবী তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৯)
কিয়ামতের আলামত ও হাশরের ময়দান
কিয়ামতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের ভূমিতে। হক-বাতিলের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই হবে বায়তুল মাকদিস অঞ্চলে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই করবে আর মুসলিমরা তাদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদিরা যে পাথর বা গাছের পেছনেই আত্মগোপন করবে, সেই পাথর বা গাছই বলে উঠবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে ইহুদি আছে। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদগাছ কিছু বলবে না; কারণ এটা ইহুদিদের গাছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯২২)
কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব ঘটবে। তারা ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসার পাশের একটি পাহাড়ে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এরপর তারা (ইয়াজুজ-মাজুজ) অগ্রসর হতে থাকবে। তারা জাবালে খামার নামক এক পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছাবে। জাবালে খামার হলো বায়তুল মাকদিসের একটি পাহাড়। ...অতঃপর ঈসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) ঘাড়ে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন, যার শিকার হয়ে একসঙ্গে তারা সবাই মারা যাবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৩৭)
এ ছাড়া হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন এটাই হবে হাশরের ময়দান। মাইমুনা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। নবীজি (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন এটা হবে হাশরের ময়দান। এখান থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাবে। তোমরা এখানে আসো এবং নামাজ আদায় করো...। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৮৮)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস। এই মসজিদ ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ ছাড়া মসজিদটির স্থাপত্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এর প্রাচীন গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার এবং শিলাবদ্ধ দেয়ালগুলো আজও শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ঐক্যের এক অমূল্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের বিস্ময়কর কিছু তাৎপর্য তুলে ধরেছেন তাসলিমা জাহান—
ইসলামের প্রাথমিক সময়ের কিবলা
মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কায় কাবা সামনে রেখে বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পরও ১৬ মাস বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করেছেন। অতঃপর কিবলা কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৯৯১)
দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রাচীন মসজিদ। মসজিদুল হারামের পরেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আবু জর গিফারি (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়? নবীজি (সা.) বললেন, মসজিদুল হারাম। সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আবু জর (রা.) পুনরায় জানতে চাইলেন, উভয় মসজিদ নির্মাণের মাঝে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? মহানবী (সা.) বললেন, ৪০ বছর। (সহিহ্ বুখারি: ৩৩৬৬, সহিহ্ মুসলিম: ৫২০)
তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মদিনার মসজিদে নববি। এ দুই মসজিদের পরেই তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা হলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসা। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই তিন মসজিদের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মসজিদুল আকসাকে তৃতীয় অবস্থানে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘সফর করলে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা উচিত। মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদুল আকসা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৮৯)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, মসজিদুল হারামের নামাজ ১ লাখ নামাজের সমতুল্য। আমার মসজিদের (মসজিদে নববি) নামাজ ১ হাজার নামাজের সমতুল্য। আর বায়তুল মাকদিসের নামাজ ৫০০ নামাজের সমতুল্য। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৪৫)
এ ছাড়া নবীজি (সা.) মসজিদুল আকসার মর্যাদার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘যে বায়তুল মাকদিস থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করবে, তার গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০১)
নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান
মহান আল্লাহ মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশে যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন, অন্য কোনো অঞ্চলে এত নবী-রাসুল পাঠাননি। মসজিদুল আকসার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের কবর। তাঁদের পায়ের ধুলার বরকত মিশে আছে এই অঞ্চলে। এ ছাড়া মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বজগতে সফর শুরুর আগে প্রথমে এই মসজিদে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সুরা ইসরা: ১)।
এ সময় তিনি মসজিদুল আকসায় নামাজের ইমামতি করেছেন। সব নবী তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৯)
কিয়ামতের আলামত ও হাশরের ময়দান
কিয়ামতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের ভূমিতে। হক-বাতিলের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই হবে বায়তুল মাকদিস অঞ্চলে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই করবে আর মুসলিমরা তাদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদিরা যে পাথর বা গাছের পেছনেই আত্মগোপন করবে, সেই পাথর বা গাছই বলে উঠবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে ইহুদি আছে। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদগাছ কিছু বলবে না; কারণ এটা ইহুদিদের গাছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯২২)
কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব ঘটবে। তারা ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসার পাশের একটি পাহাড়ে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এরপর তারা (ইয়াজুজ-মাজুজ) অগ্রসর হতে থাকবে। তারা জাবালে খামার নামক এক পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছাবে। জাবালে খামার হলো বায়তুল মাকদিসের একটি পাহাড়। ...অতঃপর ঈসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) ঘাড়ে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন, যার শিকার হয়ে একসঙ্গে তারা সবাই মারা যাবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৩৭)
এ ছাড়া হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন এটাই হবে হাশরের ময়দান। মাইমুনা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। নবীজি (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন এটা হবে হাশরের ময়দান। এখান থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাবে। তোমরা এখানে আসো এবং নামাজ আদায় করো...। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৮৮)
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব...
২০ ঘণ্টা আগেআমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী...
২ দিন আগেপ্রতিটি নতুন বছর নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা ও নতুন কর্মপ্রেরণা নিয়ে আসে। ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যুক্ত হওয়া কেবল সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি যেন আত্মশুদ্ধি, জীবন সংশোধন ও নতুনভাবে পথ চলার আহ্বান। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত—নতুন বছরের সূচনা হোক ইমানের আলোয়, তাকওয়ার ছায়ায় এবং নেক
৩ দিন আগেকাবাঘরের ৪০ বছর পর নির্মিত হয় মসজিদুল আকসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব নবীর যুগেই এই মসজিদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটে। ইসলামেও মসজিদুল আকসাকে রাখা হয় অনন্য উচ্চতায়। একসময় মুসলমানদের কিবলাও ছিল এই মসজিদ। ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় খলিফা হজরত
৩ দিন আগে