আবরার নাঈম
শয়তান মানুষের চির শত্রু—এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তার কাজই হলো বনি আদমকে বিপথগামী করে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করা। তাই মোমিনের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকে শত্রুই ভাবতে হবে। এটাই মহান রবের নির্দেশ এবং সতর্কবার্তা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, আল্লাহর ওয়াদা সত্য। কাজেই পার্থিব জীবন কিছুতেই যেন তোমাদের প্রতারিত না করে; আর সেই প্রধান প্রতারক (শয়তান) যেন কিছুতেই তোমাদের আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত না করে। শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর। সে কেবল তার দলবলকে ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত অগ্নির সঙ্গী হয়। (সুরা ফাতির: ৫-৬)
আল্লাহ তাআলার এই সতর্কবার্তার পরও মানুষ ধোঁকায় পড়ে যায়, শয়তানের কৌশলের কাছে হেরে যায়। শয়তান বারবার মানুষের কাছে আসে। নানা কৌশলে মানুষকে বোঝাতে চায়—সে মানুষের শত্রু নয় বরং প্রকৃত বন্ধু বা হিতাকাঙ্ক্ষী।
প্রয়োজনে শপথ করতেও দ্বিধা করে না। নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ানোর বেলায় যেমন শপথ করে বলেছিল হজরত আদম ও হাওয়ার কাছে।
পবিত্র কোরআনে সে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে এভাবে—অতঃপর শয়তান তাদের কুমন্ত্রণা দিল তাদের লজ্জাস্থান প্রকাশ করার জন্য—যা তাদের পরস্পরের নিকট গোপন রাখা হয়েছিল; আর বলল, ‘তোমাদের রব এ গাছের কাছে যেতে যে নিষেধ করেছেন, তার একমাত্র কারণ— (এর কাছে গেলে) তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাবে কিংবা (জান্নাতে) স্থায়ী হয়ে যাবে।’
সে শপথ করে তাদের বলল, ‘আমি তোমাদের সত্যিকারের হিতাকাঙ্ক্ষী।’ এভাবে সে ধোঁকা দিয়ে তাদের অধঃপতন ঘটাল। যখন তারা গাছের ফলের স্বাদ নিল, তখন তাদের গোপনীয় স্থান পরস্পরের সামনে প্রকাশিত হয়ে গেল, তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে নিজেদের ঢাকতে লাগল।
তখন তাদের প্রতিপালক ডেকে বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এ গাছের কাছে যেতে নিষেধ করিনি, আর বলিনি—শয়তান তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য দুশমন?’ (সুরা আরাফ: ২০-২২)
শয়তান কখনো কখনো অভাব আর দারিদ্র্যর ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিপথগামী করে। মানুষকে বিপথগামী করার অসংখ্য কৌশলের এটিও একটি কৌশল। মানুষ দারিদ্র্য ভয় পায়। শয়তান সেই দারিদ্র্য মোচনে অসদুপায় অবলম্বনের পথ দেখায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে যদি পাপে লিপ্ত হতে হয় সেটাও করতে বলে নির্দ্বিধায়।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তোমাদের গরিব হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় এবং লজ্জাকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়। আল্লাহ নিজ পক্ষ থেকে তোমাদের সঙ্গে ক্ষমার ও অনুগ্রহের ওয়াদা করছেন। আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, মহাজ্ঞানী।’ (সুরা বাকারা: ২৬৮)
এমন অসংখ্য পথে শয়তান মানুষকে প্ররোচিত করে। শয়তানের যাবতীয় চক্রান্ত থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
শয়তান মানুষের চির শত্রু—এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তার কাজই হলো বনি আদমকে বিপথগামী করে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করা। তাই মোমিনের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকে শত্রুই ভাবতে হবে। এটাই মহান রবের নির্দেশ এবং সতর্কবার্তা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, আল্লাহর ওয়াদা সত্য। কাজেই পার্থিব জীবন কিছুতেই যেন তোমাদের প্রতারিত না করে; আর সেই প্রধান প্রতারক (শয়তান) যেন কিছুতেই তোমাদের আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত না করে। শয়তান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর। সে কেবল তার দলবলকে ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত অগ্নির সঙ্গী হয়। (সুরা ফাতির: ৫-৬)
আল্লাহ তাআলার এই সতর্কবার্তার পরও মানুষ ধোঁকায় পড়ে যায়, শয়তানের কৌশলের কাছে হেরে যায়। শয়তান বারবার মানুষের কাছে আসে। নানা কৌশলে মানুষকে বোঝাতে চায়—সে মানুষের শত্রু নয় বরং প্রকৃত বন্ধু বা হিতাকাঙ্ক্ষী।
প্রয়োজনে শপথ করতেও দ্বিধা করে না। নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ানোর বেলায় যেমন শপথ করে বলেছিল হজরত আদম ও হাওয়ার কাছে।
পবিত্র কোরআনে সে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে এভাবে—অতঃপর শয়তান তাদের কুমন্ত্রণা দিল তাদের লজ্জাস্থান প্রকাশ করার জন্য—যা তাদের পরস্পরের নিকট গোপন রাখা হয়েছিল; আর বলল, ‘তোমাদের রব এ গাছের কাছে যেতে যে নিষেধ করেছেন, তার একমাত্র কারণ— (এর কাছে গেলে) তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাবে কিংবা (জান্নাতে) স্থায়ী হয়ে যাবে।’
সে শপথ করে তাদের বলল, ‘আমি তোমাদের সত্যিকারের হিতাকাঙ্ক্ষী।’ এভাবে সে ধোঁকা দিয়ে তাদের অধঃপতন ঘটাল। যখন তারা গাছের ফলের স্বাদ নিল, তখন তাদের গোপনীয় স্থান পরস্পরের সামনে প্রকাশিত হয়ে গেল, তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে নিজেদের ঢাকতে লাগল।
তখন তাদের প্রতিপালক ডেকে বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এ গাছের কাছে যেতে নিষেধ করিনি, আর বলিনি—শয়তান তোমাদের উভয়ের প্রকাশ্য দুশমন?’ (সুরা আরাফ: ২০-২২)
শয়তান কখনো কখনো অভাব আর দারিদ্র্যর ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিপথগামী করে। মানুষকে বিপথগামী করার অসংখ্য কৌশলের এটিও একটি কৌশল। মানুষ দারিদ্র্য ভয় পায়। শয়তান সেই দারিদ্র্য মোচনে অসদুপায় অবলম্বনের পথ দেখায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে যদি পাপে লিপ্ত হতে হয় সেটাও করতে বলে নির্দ্বিধায়।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তোমাদের গরিব হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায় এবং লজ্জাকর বিষয়ের নির্দেশ দেয়। আল্লাহ নিজ পক্ষ থেকে তোমাদের সঙ্গে ক্ষমার ও অনুগ্রহের ওয়াদা করছেন। আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, মহাজ্ঞানী।’ (সুরা বাকারা: ২৬৮)
এমন অসংখ্য পথে শয়তান মানুষকে প্ররোচিত করে। শয়তানের যাবতীয় চক্রান্ত থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
মানুষ শুধু শারীরিক কাঠামো নয়; বরং আত্মা ও নৈতিকতা দ্বারা পরিপূর্ণ একটি সত্তা। আত্মার পরিচর্যা ও পরিশুদ্ধিই মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহৎ, আত্মাকে করে আলোকিত। আত্মশুদ্ধি এমন এক গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছায়, মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করে, পার্থিব ও পারলৌকিক সফলতার পথ খুলে দেয়।
১৮ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
২ দিন আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
২ দিন আগেইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
২ দিন আগে