মুফতি আইয়ুব নাদীম
আল্লাহ তাআলা পৃথিবীকে বৈচিত্র্য বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর কাউকে ধনী বানিয়েছেন, কাউকে গরিব। তবে সব মানুষই সচ্ছল ও ধনী হতে চায়। কেউ দরিদ্র হতে আগ্রহী নয়। ইসলামও সবাইকে আয়-রোজগার করে সচ্ছল হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় কেউ গরিব থেকে গেলে বা বেশি সম্পদের মালিক না হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ ধনী হওয়ার চেয়ে গরিব হওয়া পরকালের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক ক্ষেত্রে সৌভাগ্যের। কারণ আল্লাহ তাআলা দরিদ্রদের জন্য এমন অনেক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন, যা ধনীদের জন্য করেননি। যথা—
এক. সফল মুমিন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে, মোটামুটি প্রয়োজনমতো রিজিক পায় এবং আল্লাহ যা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকে, সে সফল।’ (মুসলিম: ১০৫৪)
দুই. আল্লাহর অনুগ্রহ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুর্বল মানুষের দোয়ার কারণেই তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক দেওয়া হয়।’ (বুখারি: ৫২৩২)
তিন. দরিদ্রদের জন্য জান্নাত: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘আমি কি তোমাদের জান্নাতিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তারা হলো প্রত্যেক দুর্বল, অসহায় ও অবহেলিত ব্যক্তি। সে যদি আল্লাহর নামে কসম করে, তাহলে তা তিনি পূর্ণ করে দেন।’ (তিনি আরও বলেন) ‘আমি কি তোমাদের জাহান্নামিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তারা হলো রূঢ় স্বভাব, কঠিন হৃদয় ও দাম্ভিক ব্যক্তি।’ (বুখারি: ৫১০৬) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখলাম এর বেশির ভাগ বাসিন্দা গরিব-মিসকিন।’ (মুসলিম: ৫২৩৪)
চার. দরিদ্ররা আগে জান্নাতে যাবে: গরিব ও অসহায়দের জন্য সুখের বিষয় হলো, ধনীদের আগেই তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘দরিদ্র মুহাজিররা তাদের ধনীদের চেয়ে ৫০০ বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ২৩৫৩)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
আল্লাহ তাআলা পৃথিবীকে বৈচিত্র্য বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর কাউকে ধনী বানিয়েছেন, কাউকে গরিব। তবে সব মানুষই সচ্ছল ও ধনী হতে চায়। কেউ দরিদ্র হতে আগ্রহী নয়। ইসলামও সবাইকে আয়-রোজগার করে সচ্ছল হওয়ার প্রতি উৎসাহ দেয়। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় কেউ গরিব থেকে গেলে বা বেশি সম্পদের মালিক না হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ ধনী হওয়ার চেয়ে গরিব হওয়া পরকালের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক ক্ষেত্রে সৌভাগ্যের। কারণ আল্লাহ তাআলা দরিদ্রদের জন্য এমন অনেক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন, যা ধনীদের জন্য করেননি। যথা—
এক. সফল মুমিন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে, মোটামুটি প্রয়োজনমতো রিজিক পায় এবং আল্লাহ যা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকে, সে সফল।’ (মুসলিম: ১০৫৪)
দুই. আল্লাহর অনুগ্রহ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুর্বল মানুষের দোয়ার কারণেই তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক দেওয়া হয়।’ (বুখারি: ৫২৩২)
তিন. দরিদ্রদের জন্য জান্নাত: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘আমি কি তোমাদের জান্নাতিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তারা হলো প্রত্যেক দুর্বল, অসহায় ও অবহেলিত ব্যক্তি। সে যদি আল্লাহর নামে কসম করে, তাহলে তা তিনি পূর্ণ করে দেন।’ (তিনি আরও বলেন) ‘আমি কি তোমাদের জাহান্নামিদের সম্পর্কে অবহিত করব না? তারা হলো রূঢ় স্বভাব, কঠিন হৃদয় ও দাম্ভিক ব্যক্তি।’ (বুখারি: ৫১০৬) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখলাম এর বেশির ভাগ বাসিন্দা গরিব-মিসকিন।’ (মুসলিম: ৫২৩৪)
চার. দরিদ্ররা আগে জান্নাতে যাবে: গরিব ও অসহায়দের জন্য সুখের বিষয় হলো, ধনীদের আগেই তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন, ‘দরিদ্র মুহাজিররা তাদের ধনীদের চেয়ে ৫০০ বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ২৩৫৩)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১২ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
১ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
৩ দিন আগে