সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি এ মাসের শেষ বুধবার সুস্থ হয়ে গোসল করে কিছু খানা খেয়ে মসজিদে নববিতে হাজির হয়ে নামাজের ইমামতি করেছিলেন। এতে উপস্থিত সাহাবিগণ অত্যধিক আনন্দিত হয়েছিলেন।
আর খুশির কারণে অনেক অনেক দান-খয়রাত করেছিলেন। বর্ণিত আছে, আবু বকর খুশিতে ৭ হাজার দিনার এবং ওমর ইবনে খাত্তাব ৫ হাজার দিনার, ওসমান ১০ হাজার দিনার, আলী ৩ হাজার দিনার, আবদুর রহমান ইবনে আওফ ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করেছিলেন। এরপর থেকে মুসলমানরা সাহাবিদের নীতি অনুকরণ ও অনুসরণ করে আসছে। নবী করিম (সা.)-এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। এরপর তিনি জীবিতকালে আর গোসল করেননি। তাই সব মুসলমানের এই দিনে অজু-গোসল করে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত এবং নবী করিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করে সওয়াব রেছানি করা কর্তব্য।’ (মুফতি হাবিব ছামদানী, বারো চান্দের ফজিলত, পৃষ্ঠা: ১৫)
এ ছাড়া রাহাতুল কুলুব নামের আরেকটি কিতাবে বলা হয়েছে, ‘সফর মাসে ১ লাখ ২০ হাজার ‘বালা’ নাজিল হয় এবং সব দিনের চেয়ে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’য় (সফর মাসের শেষ বুধবারে) নাজিল হয় সবচেয়ে বেশি। সুতরাং ওই দিনে যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ওই বালা থেকে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখবেন...।’ (খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া, রাহাতুল কুলুব, পৃ. ১৩৯)
কিন্তু উল্লিখিত কিতাব দুটিতে বর্ণিত ও বহুল প্রচলিত সফর মাসের শেষ বুধবারের বিষয়টিকে ইসলামি পণ্ডিত ও গবেষকগণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কেননা, রাসুল (সা.) অসুস্থ হওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট ইখতিলাফ থাকায় নির্দিষ্ট কোনো দিনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতাজনিত বর্ণনাসংবলিত অসংখ্য হাদিস রয়েছে, তবে কোথাও দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। তা ছাড়া দ্বিতীয় হিজরির প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবনে ইসহাক বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে।’ (ইবনে হিশাম, সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ: ৪/ ২৮৯)।
এ ছাড়া, ইবনে হিশাম বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতার দিন ঠিক করেছেন ১৮ সফর থেকে একনাগাড়ে ১৩ দিন পর্যন্ত। (ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা: ৯৯৯) এই মতের মতোই হুবহু পাওয়া যায় ইসলামি বিশ্বকোষ, পৃষ্ঠা: ১৩তে।
শুধু তা-ই নয়, রাসুল (সা.) কোন দিন থেকে অসুস্থ হয়েছিলেন, সে বিষয়েও বিস্তর মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার। এমনকি কত দিনের অসুস্থতার পর তিনি ইন্তিকাল করেন, সে বিষয়েও রয়েছে মতভেদ। কেউ বলেছেন ১০ দিন, কেউ বলেছেন ১২ দিন, কেউ বলেছেন ১৩ দিন, কেউ বলেছেন ১৪ দিন। এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। (জারকানি/শারহুল মাওয়াহিব-১২/ ৮৩; কাসতালানি, আহমদ ইবনে মুহাম্মদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া: ৩/ ৩৭৩)
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, রাসুল (সা.)-এর ওপর জনৈক ইহুদির জাদুর প্রভাব ছিল হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে সপ্তম হিজরির মহররম মাসের প্রথম দিকে। এই জাদুর প্রভাব কোনো বর্ণনায় ছয় মাসের কথা এসেছে, আর কোনো বর্ণনায় এসেছে ৪০ দিনের কথা। সুতরাং সুস্থতার তারিখ কোনোভাবেই ১১ হিজরির সফর মাসের ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ বা ‘শেষ বুধবার’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত অনেক গবেষক আলেম। (ফাতহুল বারি: ৭/ ৭৪৮, কিতাবুল মাগাজি: ৪৪৪২, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৪/ ১৯৩, সিরাতুন নবী, শিবলী নোমানী: ২/ ১১৩)
এ ছাড়া এ তথ্যও সঠিক নয় যে, বুধবারের পর রাসুল (সা.) আর গোসল করেননি। কেননা, এরপর এক রাতে এশার সালাতের আগে গোসল করার কথা বিশুদ্ধ সনদে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। (মুসলিম: ৪১৮; বুখারি: ৬৮১)। আর এ কথাও ঠিক নয় যে, বুধবারের পর সুস্থতায় কোনোরূপ উন্নতি হয়নি। বরং এরপর আরেক দিন সুস্থবোধ করেছিলেন এবং জোহরের নামাজ আদায় করেছিলেন। (বুখারি: ৬৬৪, ৬৮০, ৬৮১; মুসলিম: ৪১৮) এমনকি সোমবার সকালেও সুস্থতা অনুভব করেছিলেন, যার কারণে আবু বাকর (রা.) অনুমতি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃ. ৭১১-৭১২, আর রাওজাতুল উলুফ: ৭/ ৫৪৭-৫৪৮)।
ইসলাম ধর্মীয় সব রীতিনীতি নির্ভরযোগ্য সনদে পাওয়া না গেলে সেটার অনুকরণ-অনুসরণ উম্মতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বরং ইবাদতের পদ্ধতি তৈরি করে সওয়াবের আশায় পালন করা হলে সেটা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হয়। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোনো আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি: ২৬৯৭; মুসলিম: ১৭১৮; মিশকাত: ১৪০)। সুতরাং আমাদের উচিত যেকোনো ইবাদত পালনের আগে সেটির গ্রহণযোগ্যতা, সত্যতা ও বাস্তবতা যাচাই করে নেওয়া।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি এ মাসের শেষ বুধবার সুস্থ হয়ে গোসল করে কিছু খানা খেয়ে মসজিদে নববিতে হাজির হয়ে নামাজের ইমামতি করেছিলেন। এতে উপস্থিত সাহাবিগণ অত্যধিক আনন্দিত হয়েছিলেন।
আর খুশির কারণে অনেক অনেক দান-খয়রাত করেছিলেন। বর্ণিত আছে, আবু বকর খুশিতে ৭ হাজার দিনার এবং ওমর ইবনে খাত্তাব ৫ হাজার দিনার, ওসমান ১০ হাজার দিনার, আলী ৩ হাজার দিনার, আবদুর রহমান ইবনে আওফ ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করেছিলেন। এরপর থেকে মুসলমানরা সাহাবিদের নীতি অনুকরণ ও অনুসরণ করে আসছে। নবী করিম (সা.)-এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। এরপর তিনি জীবিতকালে আর গোসল করেননি। তাই সব মুসলমানের এই দিনে অজু-গোসল করে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত এবং নবী করিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করে সওয়াব রেছানি করা কর্তব্য।’ (মুফতি হাবিব ছামদানী, বারো চান্দের ফজিলত, পৃষ্ঠা: ১৫)
এ ছাড়া রাহাতুল কুলুব নামের আরেকটি কিতাবে বলা হয়েছে, ‘সফর মাসে ১ লাখ ২০ হাজার ‘বালা’ নাজিল হয় এবং সব দিনের চেয়ে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’য় (সফর মাসের শেষ বুধবারে) নাজিল হয় সবচেয়ে বেশি। সুতরাং ওই দিনে যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ওই বালা থেকে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখবেন...।’ (খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া, রাহাতুল কুলুব, পৃ. ১৩৯)
কিন্তু উল্লিখিত কিতাব দুটিতে বর্ণিত ও বহুল প্রচলিত সফর মাসের শেষ বুধবারের বিষয়টিকে ইসলামি পণ্ডিত ও গবেষকগণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কেননা, রাসুল (সা.) অসুস্থ হওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট ইখতিলাফ থাকায় নির্দিষ্ট কোনো দিনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতাজনিত বর্ণনাসংবলিত অসংখ্য হাদিস রয়েছে, তবে কোথাও দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। তা ছাড়া দ্বিতীয় হিজরির প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবনে ইসহাক বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে।’ (ইবনে হিশাম, সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ: ৪/ ২৮৯)।
এ ছাড়া, ইবনে হিশাম বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতার দিন ঠিক করেছেন ১৮ সফর থেকে একনাগাড়ে ১৩ দিন পর্যন্ত। (ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা: ৯৯৯) এই মতের মতোই হুবহু পাওয়া যায় ইসলামি বিশ্বকোষ, পৃষ্ঠা: ১৩তে।
শুধু তা-ই নয়, রাসুল (সা.) কোন দিন থেকে অসুস্থ হয়েছিলেন, সে বিষয়েও বিস্তর মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার। এমনকি কত দিনের অসুস্থতার পর তিনি ইন্তিকাল করেন, সে বিষয়েও রয়েছে মতভেদ। কেউ বলেছেন ১০ দিন, কেউ বলেছেন ১২ দিন, কেউ বলেছেন ১৩ দিন, কেউ বলেছেন ১৪ দিন। এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। (জারকানি/শারহুল মাওয়াহিব-১২/ ৮৩; কাসতালানি, আহমদ ইবনে মুহাম্মদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া: ৩/ ৩৭৩)
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, রাসুল (সা.)-এর ওপর জনৈক ইহুদির জাদুর প্রভাব ছিল হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে সপ্তম হিজরির মহররম মাসের প্রথম দিকে। এই জাদুর প্রভাব কোনো বর্ণনায় ছয় মাসের কথা এসেছে, আর কোনো বর্ণনায় এসেছে ৪০ দিনের কথা। সুতরাং সুস্থতার তারিখ কোনোভাবেই ১১ হিজরির সফর মাসের ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ বা ‘শেষ বুধবার’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত অনেক গবেষক আলেম। (ফাতহুল বারি: ৭/ ৭৪৮, কিতাবুল মাগাজি: ৪৪৪২, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৪/ ১৯৩, সিরাতুন নবী, শিবলী নোমানী: ২/ ১১৩)
এ ছাড়া এ তথ্যও সঠিক নয় যে, বুধবারের পর রাসুল (সা.) আর গোসল করেননি। কেননা, এরপর এক রাতে এশার সালাতের আগে গোসল করার কথা বিশুদ্ধ সনদে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। (মুসলিম: ৪১৮; বুখারি: ৬৮১)। আর এ কথাও ঠিক নয় যে, বুধবারের পর সুস্থতায় কোনোরূপ উন্নতি হয়নি। বরং এরপর আরেক দিন সুস্থবোধ করেছিলেন এবং জোহরের নামাজ আদায় করেছিলেন। (বুখারি: ৬৬৪, ৬৮০, ৬৮১; মুসলিম: ৪১৮) এমনকি সোমবার সকালেও সুস্থতা অনুভব করেছিলেন, যার কারণে আবু বাকর (রা.) অনুমতি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃ. ৭১১-৭১২, আর রাওজাতুল উলুফ: ৭/ ৫৪৭-৫৪৮)।
ইসলাম ধর্মীয় সব রীতিনীতি নির্ভরযোগ্য সনদে পাওয়া না গেলে সেটার অনুকরণ-অনুসরণ উম্মতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বরং ইবাদতের পদ্ধতি তৈরি করে সওয়াবের আশায় পালন করা হলে সেটা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হয়। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোনো আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি: ২৬৯৭; মুসলিম: ১৭১৮; মিশকাত: ১৪০)। সুতরাং আমাদের উচিত যেকোনো ইবাদত পালনের আগে সেটির গ্রহণযোগ্যতা, সত্যতা ও বাস্তবতা যাচাই করে নেওয়া।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ মিনিট আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়
৩০ আগস্ট ২০২৪
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়
৩০ আগস্ট ২০২৪
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ মিনিট আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়
৩০ আগস্ট ২০২৪
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ মিনিট আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়
৩০ আগস্ট ২০২৪
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ মিনিট আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে