মুফতি আবু দারদা
মহানবী (সা.)-এর নারী সাহাবিরা আমল-আখলাক ও তাকওয়া-পরহেজগারিতে কোনো অংশেই পুরুষ সাহাবিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। পবিত্র মাস রমজানেও তার ব্যতিক্রম হতো না। মাসজুড়ে সিয়ামসাধনায় তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রোজা, নামাজ, তিলাওয়াত থেকে শুরু করে সব ইবাদতই তাঁরা পালন করতেন। যদিও হাদিসের কিতাবগুলোতে সেসব বিবরণ পূর্ণাঙ্গভাবে পাওয়া যায় না, তবে আংশিক যা বর্ণনা পাওয়া যায়, তা-ই তাঁদের উচ্চাঙ্গ পরহেজগারির প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট।
মহানবী (সা.)-এর সম্মানিত স্ত্রীগণ নারী সাহাবিদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের ইবাদতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁরা অন্য নারীদের মধ্যে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতেন। নামাজ ও রোজার প্রশিক্ষণ দিতেন। বিভিন্ন জরুরি মাসায়েল নিয়ে আলাপ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রমজানের শেষ দশকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নিতেন, রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং তাঁর পরিবারকে ডেকে দিতেন।’ (বুখারি: ২০২৪) আল্লামা আইনি (রহ.) লিখেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের রাতে তাঁর স্ত্রীদের নামাজ আদায় ও ইবাদতের জন্য ডেকে দিতেন। (উমদাতুল কারি: ১১/১৪০)
সে যুগে পুরুষের মতো নারীরাও রাত জেগে তারাবির নামাজসহ অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নারীদের মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেন, তখন এক নারী সাহাবি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মন চায়, আপনার পেছনে নামাজ আদায় করতে, আমাকে অনুমতি দিন।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাবে যা বললেন তার মর্ম হলো, ‘আমি তোমার আগ্রহের মূল্যায়ন করি, তা সত্ত্বেও মসজিদে নববিতে এসে ৫০ হাজার রাকাতের সওয়াব পাওয়া এবং আমার পেছনে নামাজ আদায় করা থেকে তোমার ঘরে একা নামাজ আদায় করাই উত্তম।’ তাই দেখা যায়, রাসুল (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর সাহাবিরা বিশেষ করে হজরত ওমর ও আয়েশা (রা.) নারীদের মসজিদে যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন। (বুখারি: ৮৬৯, মুসনাদে আহমাদ: ২৭০৯০)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) তাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি: ২০২৬) তবে নারীদের ইতিকাফ হবে ঘরের নির্ধারিত কক্ষে বা স্থানে। কারণ, হাদিসে এসেছে, মসজিদে গিয়ে শেষ ১০ দিন ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদার হুকুম পুরুষদের জন্য, নারীদের জন্য নয়। (উমদাতুল কারি: ১১/১৪৮) অবশ্য ঘরে নামাজ আদায় ও ইতিকাফে নারীদের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না; বরং হাদিসের ভাষ্যমতে, মসজিদে নামাজ আদায়ের সওয়াবই হবে।
এ ছাড়া কোরআন তিলাওয়াত নারী-পুরুষ সব সাহাবিরই সব সময়ের আমল ছিল। রমজান মাসে এর গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে যেত। হাদিসের ভাষ্য ও ইতিহাসের বর্ণনাগুলো থেকে অনুমিত হয়, নারী সাহাবিরাও রমজানের বেশির ভাগ সময় কোরআন তিলাওয়াতে কাটাতেন। এ ছাড়া হাদিসে মহানবী (সা.) এক নারীকে রমজানে ওমরাহ করার তাগিদ দিয়েছেন।
মহানবী (সা.)-এর নারী সাহাবিরা আমল-আখলাক ও তাকওয়া-পরহেজগারিতে কোনো অংশেই পুরুষ সাহাবিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। পবিত্র মাস রমজানেও তার ব্যতিক্রম হতো না। মাসজুড়ে সিয়ামসাধনায় তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রোজা, নামাজ, তিলাওয়াত থেকে শুরু করে সব ইবাদতই তাঁরা পালন করতেন। যদিও হাদিসের কিতাবগুলোতে সেসব বিবরণ পূর্ণাঙ্গভাবে পাওয়া যায় না, তবে আংশিক যা বর্ণনা পাওয়া যায়, তা-ই তাঁদের উচ্চাঙ্গ পরহেজগারির প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট।
মহানবী (সা.)-এর সম্মানিত স্ত্রীগণ নারী সাহাবিদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের ইবাদতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁরা অন্য নারীদের মধ্যে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতেন। নামাজ ও রোজার প্রশিক্ষণ দিতেন। বিভিন্ন জরুরি মাসায়েল নিয়ে আলাপ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রমজানের শেষ দশকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নিতেন, রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং তাঁর পরিবারকে ডেকে দিতেন।’ (বুখারি: ২০২৪) আল্লামা আইনি (রহ.) লিখেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের রাতে তাঁর স্ত্রীদের নামাজ আদায় ও ইবাদতের জন্য ডেকে দিতেন। (উমদাতুল কারি: ১১/১৪০)
সে যুগে পুরুষের মতো নারীরাও রাত জেগে তারাবির নামাজসহ অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নারীদের মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেন, তখন এক নারী সাহাবি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মন চায়, আপনার পেছনে নামাজ আদায় করতে, আমাকে অনুমতি দিন।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাবে যা বললেন তার মর্ম হলো, ‘আমি তোমার আগ্রহের মূল্যায়ন করি, তা সত্ত্বেও মসজিদে নববিতে এসে ৫০ হাজার রাকাতের সওয়াব পাওয়া এবং আমার পেছনে নামাজ আদায় করা থেকে তোমার ঘরে একা নামাজ আদায় করাই উত্তম।’ তাই দেখা যায়, রাসুল (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর সাহাবিরা বিশেষ করে হজরত ওমর ও আয়েশা (রা.) নারীদের মসজিদে যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন। (বুখারি: ৮৬৯, মুসনাদে আহমাদ: ২৭০৯০)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) তাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন। (বুখারি: ২০২৬) তবে নারীদের ইতিকাফ হবে ঘরের নির্ধারিত কক্ষে বা স্থানে। কারণ, হাদিসে এসেছে, মসজিদে গিয়ে শেষ ১০ দিন ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদার হুকুম পুরুষদের জন্য, নারীদের জন্য নয়। (উমদাতুল কারি: ১১/১৪৮) অবশ্য ঘরে নামাজ আদায় ও ইতিকাফে নারীদের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না; বরং হাদিসের ভাষ্যমতে, মসজিদে নামাজ আদায়ের সওয়াবই হবে।
এ ছাড়া কোরআন তিলাওয়াত নারী-পুরুষ সব সাহাবিরই সব সময়ের আমল ছিল। রমজান মাসে এর গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে যেত। হাদিসের ভাষ্য ও ইতিহাসের বর্ণনাগুলো থেকে অনুমিত হয়, নারী সাহাবিরাও রমজানের বেশির ভাগ সময় কোরআন তিলাওয়াতে কাটাতেন। এ ছাড়া হাদিসে মহানবী (সা.) এক নারীকে রমজানে ওমরাহ করার তাগিদ দিয়েছেন।
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনের চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়, যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
১৯ ঘণ্টা আগেইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ...
২১ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১ দিন আগে