মুফতি খালিদ কাসেমি
মাতৃভাষা আল্লাহর বিশেষ দান; অফুরান এক নিয়ামত, যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ বিভিন্ন জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ছিলেন নিজ নিজ জাতির মাতৃভাষায় পারদর্শী। আর সেই ভাষায় আল্লাহ তাআলা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন।
পৃথিবীর সব ভাষাই আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি। ভাষার বৈচিত্র্য মহান আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রোম: ২২)
বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মহানবী (সা.)-এর আদর্শ। তিনি ছিলেন আরবের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধভাষী। সব সময় তিনি প্রমিত আরবিতে কথা বলতেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘আমি আরবের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধভাষী; কোরাইশ গোত্রে আমার জন্ম।...’ (আল-বদরুল মুনির) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আমাকে দান করা হয়েছে সর্বমর্মী বচন।’ (মুসলিম)
কেউ অশুদ্ধ শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করলে মহানবী (সা.) শুধরে দিতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার নবী (সা.) ঘরে অবস্থান করছিলেন, তখন বনু আমেরের এক লোক এসে তাঁর কাছে অনুমতি চেয়ে বললেন, ‘আমি কি আসব?’ নবী (সা.) তাঁর সেবককে বললেন, ‘তার কাছে গিয়ে অনুমতি চাওয়ার আদব শিখিয়ে দাও। তাকে বলতে বলো—আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?’ এ কথা শুনে লোকটি বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?’ নবী (সা.) তাঁকে অনুমতি দিলেন এবং তিনি ভেতরে প্রবেশ করলেন। (আবু দাউদ)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মাতৃভাষা আল্লাহর বিশেষ দান; অফুরান এক নিয়ামত, যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ বিভিন্ন জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ছিলেন নিজ নিজ জাতির মাতৃভাষায় পারদর্শী। আর সেই ভাষায় আল্লাহ তাআলা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন।
পৃথিবীর সব ভাষাই আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি। ভাষার বৈচিত্র্য মহান আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। এরশাদ হচ্ছে, ‘তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রোম: ২২)
বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মহানবী (সা.)-এর আদর্শ। তিনি ছিলেন আরবের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধভাষী। সব সময় তিনি প্রমিত আরবিতে কথা বলতেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘আমি আরবের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধভাষী; কোরাইশ গোত্রে আমার জন্ম।...’ (আল-বদরুল মুনির) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘আমাকে দান করা হয়েছে সর্বমর্মী বচন।’ (মুসলিম)
কেউ অশুদ্ধ শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করলে মহানবী (সা.) শুধরে দিতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার নবী (সা.) ঘরে অবস্থান করছিলেন, তখন বনু আমেরের এক লোক এসে তাঁর কাছে অনুমতি চেয়ে বললেন, ‘আমি কি আসব?’ নবী (সা.) তাঁর সেবককে বললেন, ‘তার কাছে গিয়ে অনুমতি চাওয়ার আদব শিখিয়ে দাও। তাকে বলতে বলো—আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?’ এ কথা শুনে লোকটি বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি?’ নবী (সা.) তাঁকে অনুমতি দিলেন এবং তিনি ভেতরে প্রবেশ করলেন। (আবু দাউদ)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১১ ঘণ্টা আগেআকাশে জিলহজের বাঁকা চাঁদ হাসি দেওয়ার দশম দিন উদ্যাপিত হয় ঈদুল আজহা। এটি মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। ঈদুল আজহা মনের সব কালিমা দূর করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে একতা, সমদর্শিতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের দিন। যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজের
১৪ ঘণ্টা আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই বরকত ও ফজিলতপূর্ণ দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে এ দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এই দিনের নামে একটি সুরাও স্থান পেয়েছে কোরআনুল কারিমে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
১ দিন আগে