আবদুল আযীয কাসেমি

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।
আবদুল আযীয কাসেমি

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।

জাকাত ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের ভিত্তি যে পাঁচ মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার মধ্যে জাকাত অন্যতম। জাকাতের ফরজ হওয়ার বিষয়টি আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে বিভিন্ন আঙ্গিকে বারবার উদ্ধৃত করেছেন। সালাতের মতো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা পাশাপাশি জাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনে কারিমের ২৭টি স্থানে। এ ছাড়া জাকাতের কথা আলাদা করে বলা হয়েছে আরও ৩ স্থানে।
বলতে গেলে কোরআনে কারিমের মোট ৩০টি জায়গায় আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কেউ যদি জাকাত অস্বীকার করে, তবে সে আর মুমিন থাকবে না।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
জাকাতের ফরজ। যদি কেউ আদায় না করে, তার ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা সোনা–রুপা সঞ্চিত করে রাখে এবং আল্লাহর পথে তা ব্যয় না করে, আপনি তাদের যাতনাদায়ক শাস্তির সুখবর (দুঃসংবাদ) শুনিয়ে দিন। (শাস্তি হবে সেদিন) যেদিন ওই ধনসম্পদ দোজখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দ্বারা ওদের কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগানো হবে (আর বলা হবে) এ হচ্ছে তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছিলে। এখন তোমরা সঞ্চয় করার শাস্তি আস্বাদন করো।’ (সুরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দান করেছেন, আর সে তার জাকাত আদায় করে না, কেয়ামতের দিন সে সম্পদকে মাথায় টাকপড়া বিষধর সাপের আকৃতি দেওয়া হবে। যার চোখের ওপর দুটি কালো দাগ থাকবে। সেই সাপ কেয়ামতের দিন তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সেটি তার মুখে দংশন করতে থাকবে আর বলবে, আমি তোমার সম্পদ! আমি তোমার সঞ্চয়!’ (সহিহ্ বুখারি)
কোনো মুসলমান, সাবালক ও স্বাধীন মানুষ যখন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তখন তার সে সম্পদের আড়াই শতাংশ জাকাত হিসেবে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত লোকদের প্রদান করতে হবে। জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, সেদিন থেকে হিসেব করে ঠিক এক চান্দ্রবর্ষ অতিক্রান্ত হওয়ার পর জাকাত আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়।
নিসাব হলো, কারও কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা, কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা, কিংবা এই দুটির কোনো একটির সমপরিমাণ মূল্যের নগদ অর্থ কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তখন তিনি নিসাবের মালিক বলে গণ্য হন। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার মূল্য ২ হাজার ১০০ টাকা। ক্রয়মূল্য ধরে সর্বোচ্চটা হিসাব করলে, কারও কাছে যদি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, কিংবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য, কিংবা উপর্যুক্ত চার ক্যাটাগরির সম্পদের সর্বমোট মূল্য ওই টাকার সমপরিমাণ হয় তবুও জাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ওয়াজিব হওয়ার এক চান্দ্রবর্ষ অতিবাহিত হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো, রমজানেই জাকাত আদায় করতে হবে? এর উত্তর হলো, না। রমজানে আদায় করা জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিনই আদায় করতে হবে। তবে বর্ষপূর্তির আগে জাকাত আদায় করায় নিষেধ নেই। পাশাপাশি হিসেবের সুবিধার্থে এবং অধিক সওয়াব লাভের বাসনায় কেউ যদি রমজান থেকে রমজান বছর ধরে জাকাত আদায় করে, তাতেও দোষের কিছু নেই। বরং এতেই খানিকটা সুবিধা বেশি।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
১৩ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
১৩ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
১৩ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজির ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)–এর শাসনামলে কিছু গোত্রের লোকজন জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। হজরত আবু বকর (রা) তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এই ফিতনা চিরকালের জন্য দমিত হয়ে যায়।
১৩ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২০ ঘণ্টা আগে