আবদুল আযীয কাসেমি
রাস্তায় চলাচল করা আমাদের জীবনের অতি জরুরি ও মৌলিক একটি অনুষঙ্গ। সড়ক ও রাস্তার মাধ্যমেই আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। জীবন গতি লাভ করেছে। এটি আল্লাহ তাআলার মহামূল্যবান একটি নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা এ নিয়ামতের কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিজের আনুগত্যের প্রতি আহ্বান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং ভূমিতে সুদৃঢ় পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছি, যেন তা তাদের নিয়ে হেলে না পড়ে। এবং তাতে সৃষ্টি করেছি প্রশস্ত পথসমূহ, যাতে তারা গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারে।’ (সুরা আম্বিয়া: ৩১) আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বানিয়েছেন বিছানাস্বরূপ এবং তাতে তোমাদের জন্য বহু রাস্তা সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা তহা: ৫৩)
প্রতিটি নিয়ামতের শোকর আদায় করা হয় তার হক আদায়ের মাধ্যমে। সড়ক ও রাস্তা আমাদের জন্য নিয়ামত। সুতরাং এর হক আদায়ের মাধ্যমে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। সড়কের যত হক আছে, এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হক হলো সড়ককে পরিচ্ছন্ন, সুগম ও চলাচলের উপযোগী রাখা। যত্রতত্র ময়লা ফেলে সেটাকে নোংরা না করা। কোনো কষ্টদায়ক বস্তু পড়ে থাকতে দেখলে নিজ দায়িত্ব মনে করে সেটা সরিয়ে দেওয়া। এ বিষয়টিকে ইমানের সর্বনিম্ন শাখা বলা হয়েছে।
হাদিস শরিফে নবী (সা.) বলেন, ‘ইমানের ৭০টির অধিক শাখাপ্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোত্তম হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য প্রদান করা। এবং এর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। এবং লজ্জা ইমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।’ (বুখারি: ৯)
সড়ক নোংরা করার মাধ্যমে পথচারীরা কষ্ট পায়। এটা মুসলমানদের কষ্ট দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত। বলাবাহুল্য, যেকোনো মুসলমানকে বিনা কারণে কষ্ট দেওয়া হারাম। অতএব, আমাদের ইমানি দায়িত্ব হলো, সড়ককে পরিচ্ছন্ন, সুগম ও চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করা।
লেখক: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
রাস্তায় চলাচল করা আমাদের জীবনের অতি জরুরি ও মৌলিক একটি অনুষঙ্গ। সড়ক ও রাস্তার মাধ্যমেই আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। জীবন গতি লাভ করেছে। এটি আল্লাহ তাআলার মহামূল্যবান একটি নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা এ নিয়ামতের কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিজের আনুগত্যের প্রতি আহ্বান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং ভূমিতে সুদৃঢ় পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছি, যেন তা তাদের নিয়ে হেলে না পড়ে। এবং তাতে সৃষ্টি করেছি প্রশস্ত পথসমূহ, যাতে তারা গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারে।’ (সুরা আম্বিয়া: ৩১) আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বানিয়েছেন বিছানাস্বরূপ এবং তাতে তোমাদের জন্য বহু রাস্তা সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা তহা: ৫৩)
প্রতিটি নিয়ামতের শোকর আদায় করা হয় তার হক আদায়ের মাধ্যমে। সড়ক ও রাস্তা আমাদের জন্য নিয়ামত। সুতরাং এর হক আদায়ের মাধ্যমে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। সড়কের যত হক আছে, এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হক হলো সড়ককে পরিচ্ছন্ন, সুগম ও চলাচলের উপযোগী রাখা। যত্রতত্র ময়লা ফেলে সেটাকে নোংরা না করা। কোনো কষ্টদায়ক বস্তু পড়ে থাকতে দেখলে নিজ দায়িত্ব মনে করে সেটা সরিয়ে দেওয়া। এ বিষয়টিকে ইমানের সর্বনিম্ন শাখা বলা হয়েছে।
হাদিস শরিফে নবী (সা.) বলেন, ‘ইমানের ৭০টির অধিক শাখাপ্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোত্তম হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য প্রদান করা। এবং এর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। এবং লজ্জা ইমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।’ (বুখারি: ৯)
সড়ক নোংরা করার মাধ্যমে পথচারীরা কষ্ট পায়। এটা মুসলমানদের কষ্ট দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত। বলাবাহুল্য, যেকোনো মুসলমানকে বিনা কারণে কষ্ট দেওয়া হারাম। অতএব, আমাদের ইমানি দায়িত্ব হলো, সড়ককে পরিচ্ছন্ন, সুগম ও চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করা।
লেখক: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
১৩ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১৬ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
১৯ ঘণ্টা আগে