আবরার নাঈম
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের প্রধানতম কাজ। ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগে সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের ফরজ বিধান। সেলাইবিহীন সাদা কাপড়ে লাখো হাজি এই দিনে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হাজিদের উদ্দেশে বিশেষ খুতবা দেন হজের খতিব। এই দিনটি ইসলামে বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ।
এই দিনটি সেই মর্যাদাপূর্ণ ১০ রাতের অন্তর্ভুক্ত, যার কসম খেয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘কসম ফজরের এবং দশ রাতের।’ (সুরা ফাজর: ১-২)। মুফাসসিরগণ বলেন, আরাফাতের দিনও এই পবিত্র ১০ দিনের অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া এই দিনে মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্মের পূর্ণতার ঘোষণা দেওয়া হয়। দশম হিজরির জিলহজের ৯ তারিখ আরাফাতের ময়দানে হাজিদের উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন মহানবী (সা.)। এতে তিনি ইসলামের পূর্ণতাসংবলিত কোরআনের আয়াতটি পাঠ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন রূপে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩)
এসব কারণে আরাফাতের দিনটি আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এই দিনে রোজা রাখা সুন্নত। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আরাফাতের দিনের রোজা সম্পর্কে আশা করি যে তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (তিরমিজি: ৭৪৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজের প্রধানতম কাজ। ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগে সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের ফরজ বিধান। সেলাইবিহীন সাদা কাপড়ে লাখো হাজি এই দিনে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হাজিদের উদ্দেশে বিশেষ খুতবা দেন হজের খতিব। এই দিনটি ইসলামে বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ।
এই দিনটি সেই মর্যাদাপূর্ণ ১০ রাতের অন্তর্ভুক্ত, যার কসম খেয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘কসম ফজরের এবং দশ রাতের।’ (সুরা ফাজর: ১-২)। মুফাসসিরগণ বলেন, আরাফাতের দিনও এই পবিত্র ১০ দিনের অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া এই দিনে মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্মের পূর্ণতার ঘোষণা দেওয়া হয়। দশম হিজরির জিলহজের ৯ তারিখ আরাফাতের ময়দানে হাজিদের উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন মহানবী (সা.)। এতে তিনি ইসলামের পূর্ণতাসংবলিত কোরআনের আয়াতটি পাঠ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন রূপে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩)
এসব কারণে আরাফাতের দিনটি আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এই দিনে রোজা রাখা সুন্নত। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আরাফাতের দিনের রোজা সম্পর্কে আশা করি যে তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (তিরমিজি: ৭৪৯)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
১০ ঘণ্টা আগেহাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
১৩ ঘণ্টা আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
১৫ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১ দিন আগে