মুফতি শাব্বির আহমদ
মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক
মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে