আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ
যুদ্ধ, মহামারি ও দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ একসঙ্গে মারা গেলে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। এ ছাড়া কখনো দেখা যায়, কবর পুরোনো হয়ে গেলে তা খনন করে ওই কবরেই নতুন লাশ দাফন করা হয়। এভাবে একাধিক লাশ এক কবরে দাফন করা এবং পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়া জায়েজ আছে কি?
মোহাম্মদ ইউসুফ, নারায়ণগঞ্জ
ইসলামি আইনের একটি নীতি হলো, প্রতিটি লাশকে ভিন্ন ভিন্নভাবে কবর দেওয়া। প্রয়োজন না হলে এক কবরে অধিক লোক কবর দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু জায়গার সংকট, লাশের সংখ্যা অতিমাত্রায় বেশি বা যুদ্ধ ও মহামারির মতো পরিস্থিতিতে এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করা বৈধ আছে। নবী করিম (সা.) উহুদ যুদ্ধের সময় এক কবরে একাধিক শহীদকে দাফন করেছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ১৩৪৩)।
তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, লাশগুলো পাশাপাশি রেখে প্রতিটি লাশ মাটি দিয়ে অন্যটি থেকে আড়াল করে দেবে। একটি লাশের ওপর আরেকটি লাশ রাখবে না।
পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়ার বিধান হলো, কবরস্থানে নতুন কবরের জন্য খালি জায়গা না থাকলে সবচেয়ে পুরোনো যে কবরে মৃতদেহ মাটি হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা হবে, তাতে কবর দেওয়া যাবে। আর নতুন কবরের চিহ্ন থাকলে এবং লাশ মাটি হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা না হলে সেখানে বিশেষ ওজর ছাড়া নতুন করে কবর দেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া কবরস্থান নতুন মাটি দিয়ে সংস্কার করা হলে এবং নতুন-পুরোনো কবর পৃথক করা না গেলে, সে ক্ষেত্রে যেখানে নতুন কবর না থাকার সম্ভাবনা বেশি, সেখানে কবর খোঁড়া উচিত। কবর খনন করতে গিয়ে আগের মৃতদেহের হাড্ডি ইত্যাদি কিছু পাওয়া গেলে সেগুলো একত্র করে এক পাশে বা ভিন্ন স্থানে দাফন করে দেবে।
তথ্য সূত্র: আততাজনিস ওয়ালমাজিদ ২ / ২৮৫; তাবয়িনুল হাকায়েক ১ / ৫ ৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৬৭; রদ্দুল মুহতার ২ / ২৩৩
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
যুদ্ধ, মহামারি ও দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ একসঙ্গে মারা গেলে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। এ ছাড়া কখনো দেখা যায়, কবর পুরোনো হয়ে গেলে তা খনন করে ওই কবরেই নতুন লাশ দাফন করা হয়। এভাবে একাধিক লাশ এক কবরে দাফন করা এবং পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়া জায়েজ আছে কি?
মোহাম্মদ ইউসুফ, নারায়ণগঞ্জ
ইসলামি আইনের একটি নীতি হলো, প্রতিটি লাশকে ভিন্ন ভিন্নভাবে কবর দেওয়া। প্রয়োজন না হলে এক কবরে অধিক লোক কবর দেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু জায়গার সংকট, লাশের সংখ্যা অতিমাত্রায় বেশি বা যুদ্ধ ও মহামারির মতো পরিস্থিতিতে এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করা বৈধ আছে। নবী করিম (সা.) উহুদ যুদ্ধের সময় এক কবরে একাধিক শহীদকে দাফন করেছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ১৩৪৩)।
তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, লাশগুলো পাশাপাশি রেখে প্রতিটি লাশ মাটি দিয়ে অন্যটি থেকে আড়াল করে দেবে। একটি লাশের ওপর আরেকটি লাশ রাখবে না।
পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়ার বিধান হলো, কবরস্থানে নতুন কবরের জন্য খালি জায়গা না থাকলে সবচেয়ে পুরোনো যে কবরে মৃতদেহ মাটি হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা হবে, তাতে কবর দেওয়া যাবে। আর নতুন কবরের চিহ্ন থাকলে এবং লাশ মাটি হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা না হলে সেখানে বিশেষ ওজর ছাড়া নতুন করে কবর দেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া কবরস্থান নতুন মাটি দিয়ে সংস্কার করা হলে এবং নতুন-পুরোনো কবর পৃথক করা না গেলে, সে ক্ষেত্রে যেখানে নতুন কবর না থাকার সম্ভাবনা বেশি, সেখানে কবর খোঁড়া উচিত। কবর খনন করতে গিয়ে আগের মৃতদেহের হাড্ডি ইত্যাদি কিছু পাওয়া গেলে সেগুলো একত্র করে এক পাশে বা ভিন্ন স্থানে দাফন করে দেবে।
তথ্য সূত্র: আততাজনিস ওয়ালমাজিদ ২ / ২৮৫; তাবয়িনুল হাকায়েক ১ / ৫ ৮৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১ / ১৬৭; রদ্দুল মুহতার ২ / ২৩৩
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৩ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
১ দিন আগেঅজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত।
১ দিন আগে