ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন, পবিত্র কাবাঘর সরাসরি দেখলে হজ ফরজ হয়ে যায়। আবার অনেকে মনে করেন, হজের মৌসুম তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ মাসে ওমরাহ আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায়। এসব কথা কতটুকু সত্য, ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই।
আবদুল গাফফার, ময়মনসিংহ।
উত্তর: হজ ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত। এটি কেবল সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ হয়। প্রশ্নে উল্লিখিত ধারণাগুলো সঠিক নয়। ইসলামে এসব ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। ওমরাহ করা বা কাবাঘর দেখার সঙ্গে হজ ফরজ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
হজ ফরজ হওয়ার প্রধান শর্ত সামর্থ্য থাকা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যাদের কাছে এই ঘর (পবিত্র কাবা) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে, তাদের ওপর এই ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
আয়াতে সামর্থ্য থাকার অর্থ হলো, আর্থিক ও শারীরিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়াই শারীরিক সক্ষমতা। আর আর্থিক সক্ষমতার অর্থ হলো, হজের মৌসুমে প্রচলিত উপায়ে মক্কায় যাওয়া-থাকা-আসার খরচ জমা থাকতে হবে। এ ছাড়া হজের সফরে থাকার সময় নিজের দায়িত্বাধীন লোকজনের ভরণপোষণ ও অন্যান্য ব্যয়ও জমা থাকতে হবে।
বর্তমানে হজের জন্য সৌদি সরকারের অনুমতি ও বৈধ ভিসা থাকা শর্ত। ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই এই দুটিও হজ ফরজ হওয়ার শর্তের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কেবল হজের মৌসুমে ওমরাহ করতে গেলেই হজ ফরজ হবে না এবং কোনোভাবে সরাসরি কাবাঘর দেখে ফেললে হজ ফরজ হবে না।
আগের যুগে যেহেতু হজের মৌসুমে ওমরাহ করতে গেলে সেখানে হজ পর্যন্ত অবস্থান করা বৈধ ছিল, তাতে কোনো ধরনের আইনি বাধা ছিল না, তাই সেই যুগের আলেমরা বলতেন, সামর্থ্যবান ব্যক্তি হজের মৌসুমে মক্কায় অবস্থান করলে হজ ফরজ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে হজের অনুমোদন ছাড়া হজ করা যায় না। তাই এখন সেই ফতোয়া কার্যকর নয়।
সূত্র: আল-মাসালিক ফিল মানাসিক
১ / ২৫৭; যুবদাতুল মানাসিক পৃ. ২১; ইরশাদুস সারি ইলা মানাসিকি মুল্লা
আলি আল-কারি পৃ. ৪১; ইমদাদুল আহকাম ২ / ১৬৩।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন, পবিত্র কাবাঘর সরাসরি দেখলে হজ ফরজ হয়ে যায়। আবার অনেকে মনে করেন, হজের মৌসুম তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ মাসে ওমরাহ আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায়। এসব কথা কতটুকু সত্য, ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই।
আবদুল গাফফার, ময়মনসিংহ।
উত্তর: হজ ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত। এটি কেবল সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ হয়। প্রশ্নে উল্লিখিত ধারণাগুলো সঠিক নয়। ইসলামে এসব ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। ওমরাহ করা বা কাবাঘর দেখার সঙ্গে হজ ফরজ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
হজ ফরজ হওয়ার প্রধান শর্ত সামর্থ্য থাকা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যাদের কাছে এই ঘর (পবিত্র কাবা) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে, তাদের ওপর এই ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
আয়াতে সামর্থ্য থাকার অর্থ হলো, আর্থিক ও শারীরিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়াই শারীরিক সক্ষমতা। আর আর্থিক সক্ষমতার অর্থ হলো, হজের মৌসুমে প্রচলিত উপায়ে মক্কায় যাওয়া-থাকা-আসার খরচ জমা থাকতে হবে। এ ছাড়া হজের সফরে থাকার সময় নিজের দায়িত্বাধীন লোকজনের ভরণপোষণ ও অন্যান্য ব্যয়ও জমা থাকতে হবে।
বর্তমানে হজের জন্য সৌদি সরকারের অনুমতি ও বৈধ ভিসা থাকা শর্ত। ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই এই দুটিও হজ ফরজ হওয়ার শর্তের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং কেবল হজের মৌসুমে ওমরাহ করতে গেলেই হজ ফরজ হবে না এবং কোনোভাবে সরাসরি কাবাঘর দেখে ফেললে হজ ফরজ হবে না।
আগের যুগে যেহেতু হজের মৌসুমে ওমরাহ করতে গেলে সেখানে হজ পর্যন্ত অবস্থান করা বৈধ ছিল, তাতে কোনো ধরনের আইনি বাধা ছিল না, তাই সেই যুগের আলেমরা বলতেন, সামর্থ্যবান ব্যক্তি হজের মৌসুমে মক্কায় অবস্থান করলে হজ ফরজ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে হজের অনুমোদন ছাড়া হজ করা যায় না। তাই এখন সেই ফতোয়া কার্যকর নয়।
সূত্র: আল-মাসালিক ফিল মানাসিক
১ / ২৫৭; যুবদাতুল মানাসিক পৃ. ২১; ইরশাদুস সারি ইলা মানাসিকি মুল্লা
আলি আল-কারি পৃ. ৪১; ইমদাদুল আহকাম ২ / ১৬৩।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু সওবান, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
২০২৫ সনের হজের আনুষ্ঠানিকতা মাত্রই শেষ হয়েছে। এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আগত হজযাত্রীর তাৎক্ষণিক মন্তব্য মিলেছে। কেউ কেউ পত্রিকায় নিবন্ধও লিখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে অনেকেই হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত...
৭ ঘণ্টা আগেমোমিনের কোনো কিছুই বৃথা যায় না। সে যে অবস্থারই সম্মুখীন হোক—তার দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-মসিবতের বিনিময়ে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। তার গুনাহ মাফ হয়। এ হিসেবে দুঃখ-কষ্ট তার জন্য নেয়ামত ও রহমত। অবশ্য এটা নেয়ামত হবে তখন, যখন বান্দা তাতে সবর করবে। সবর না করলে কষ্টের কষ্টও হলো, আবার লাভও হলো না।
১২ ঘণ্টা আগেযাপিত জীবনে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ—যা মহান আল্লাহ তাআলার অপার নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। আর বন্ধু নির্বাচনে আছে ইসলামের শক্ত নীতিমালা। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকে-তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বরং বন্ধু সে হবে—যে কল্যাণকর কাজের সহযোগী হবে।
১২ ঘণ্টা আগেমানুষের রিজিক নির্ধারিত। সৃষ্টির বহু আগ থেকেই তা লিপিবদ্ধ। কিছু আমলের মাধ্যমে এটি বাড়ানো সম্ভব, আবার কিছু কাজের কারণে তা ক্ষতিগ্রস্তও হয়—কমে যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, নিশ্চয় আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন, আর যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন।
১ দিন আগে