মুনীরুল ইসলাম
মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির পর থেকে মক্কার কুরাইশ কাফেররা তাঁকে এবং তাঁর সাহাবিদের নানা রকম অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। ক্রমেই সাহাবিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচারের মাত্রা ক্রমে বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের বন্দী জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হয়। এরপরও নিস্তার মেলেনি মুসলমানদের। এভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর চরম নির্যাতন সহ্য করে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা আল্লাহর হুকুমে মদিনায় হিজরত করেন।
ষষ্ঠ হিজরিতে মহানবী (সা.) সাহাবিদের নিয়ে হজব্রত পালনের উদ্দেশে মক্কায় গমন করেন। মক্কার কাফেরদের চরম বৈরিতা ও বাধার মুখে হজ না করেই হুদায়বিয়ার সন্ধি করে ফিরে আসতে হয় এবং এ সন্ধির ধারামতেই অষ্টম হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয় করেন। অষ্টম হিজরির রমজান মাসে মহানবী (সা.) ১০ সহস্রাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওনা করেন। মক্কার কিছু দূরের পর্বতে তাঁরা সেনা ছাউনি গড়ে তোলেন। কৌশলগত কারণে রান্নার চুলা বেশি এবং টয়লেট তৈরি করা হয় কম।
কুরাইশদের মনে ভীতির সঞ্চার ঘটে। মহানবী (সা.) ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় নিজ গৃহে বসে থাকবে, যে ব্যক্তি কাবাঘরে আশ্রয় নেবে অথবা যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ। মহানবী (সা.) ২০ রমজান বিশাল বাহিনী নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। প্রথমেই কাবার মূর্তি অপসারণ করেন এই আয়াত তিলাওয়াত করতে করতে—‘সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত। মিথ্যার পরাজয় নিশ্চিত।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৮১)
মক্কায় প্রবেশ করতেই কুরাইশ কাফেরদের আত্মা কেঁপে ওঠে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আজ তোমরা আমার কাছে কেমন ব্যবহার প্রত্যাশা করো?’ বৃদ্ধরা সাহসের সঙ্গে বললেন, ‘আমরা তোমার কাছে স্নেহশীল বাবা, শ্রদ্ধাবান পুত্র, প্রেমময়ী নেতা ও দয়ালু ভাইয়ের আচরণ কামনা করি।’ তিনি বললেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো প্রতিশোধ নেই। চিহ্নিত কয়েকজন ছাড়া সবাইকেই মহানবী (সা.) সাধারণ ক্ষমা করে দিলেন। মুসলমানদের এই আচরণে দলে দলে কুরাইশ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিল। বিনা রক্তপাতেই হয়ে গেল ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়।
মক্কা বিজয়ের এ শিক্ষা আমাদের মধ্যে আজ অনুপস্থিত। পরাজিত ও দুর্বলদের প্রতি বিজয়ীদের খড়গকৃপাণ আমরা দেখে আসছি অহরহ। এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। অথচ মক্কা বিজয়ের শিক্ষা আমাদের মধ্যে থাকলে চিরশত্রুকেও আমরা ক্ষমা করে দিতে পারতাম। বাস করতে পারতাম একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তৈরি হতো ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
মহানবী (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির পর থেকে মক্কার কুরাইশ কাফেররা তাঁকে এবং তাঁর সাহাবিদের নানা রকম অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। ক্রমেই সাহাবিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচারের মাত্রা ক্রমে বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের বন্দী জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হয়। এরপরও নিস্তার মেলেনি মুসলমানদের। এভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর চরম নির্যাতন সহ্য করে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা আল্লাহর হুকুমে মদিনায় হিজরত করেন।
ষষ্ঠ হিজরিতে মহানবী (সা.) সাহাবিদের নিয়ে হজব্রত পালনের উদ্দেশে মক্কায় গমন করেন। মক্কার কাফেরদের চরম বৈরিতা ও বাধার মুখে হজ না করেই হুদায়বিয়ার সন্ধি করে ফিরে আসতে হয় এবং এ সন্ধির ধারামতেই অষ্টম হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয় করেন। অষ্টম হিজরির রমজান মাসে মহানবী (সা.) ১০ সহস্রাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওনা করেন। মক্কার কিছু দূরের পর্বতে তাঁরা সেনা ছাউনি গড়ে তোলেন। কৌশলগত কারণে রান্নার চুলা বেশি এবং টয়লেট তৈরি করা হয় কম।
কুরাইশদের মনে ভীতির সঞ্চার ঘটে। মহানবী (সা.) ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় নিজ গৃহে বসে থাকবে, যে ব্যক্তি কাবাঘরে আশ্রয় নেবে অথবা যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ। মহানবী (সা.) ২০ রমজান বিশাল বাহিনী নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। প্রথমেই কাবার মূর্তি অপসারণ করেন এই আয়াত তিলাওয়াত করতে করতে—‘সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত। মিথ্যার পরাজয় নিশ্চিত।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৮১)
মক্কায় প্রবেশ করতেই কুরাইশ কাফেরদের আত্মা কেঁপে ওঠে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আজ তোমরা আমার কাছে কেমন ব্যবহার প্রত্যাশা করো?’ বৃদ্ধরা সাহসের সঙ্গে বললেন, ‘আমরা তোমার কাছে স্নেহশীল বাবা, শ্রদ্ধাবান পুত্র, প্রেমময়ী নেতা ও দয়ালু ভাইয়ের আচরণ কামনা করি।’ তিনি বললেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো প্রতিশোধ নেই। চিহ্নিত কয়েকজন ছাড়া সবাইকেই মহানবী (সা.) সাধারণ ক্ষমা করে দিলেন। মুসলমানদের এই আচরণে দলে দলে কুরাইশ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিল। বিনা রক্তপাতেই হয়ে গেল ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়।
মক্কা বিজয়ের এ শিক্ষা আমাদের মধ্যে আজ অনুপস্থিত। পরাজিত ও দুর্বলদের প্রতি বিজয়ীদের খড়গকৃপাণ আমরা দেখে আসছি অহরহ। এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। অথচ মক্কা বিজয়ের শিক্ষা আমাদের মধ্যে থাকলে চিরশত্রুকেও আমরা ক্ষমা করে দিতে পারতাম। বাস করতে পারতাম একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তৈরি হতো ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
ইসলামের সুন্দর অর্থব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে, করজে হাসান তথা উত্তম ও পুণ্যময় ঋণ। যে ঋণে কোনোরূপ সুদের সংশ্লিষ্টতা নেই এবং ঋণগ্রহীতার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ছাড়ের মানসিকতা রাখা হয়, ইসলামি পরিভাষায় একে করজে হাসান বলে। পবিত্র কোরআনের ছয়টি আয়াতে আল্লাহ তাআলা...
৪ ঘণ্টা আগেবিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
২ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
২ দিন আগে