ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: করোনাকালে কেমন ছিল বড় বিনিয়োগের খান কিচেনের অবস্থা?
আফরোজা খান: করোনার কারণে বাধ্য হয়ে আমাদেরও বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারণ, এ সময়ে কোনো অফিসই বাইরের খাবার ঢুকতে দেয়নি। ফলে আমাদের বড় ধরনের লোকসান হয়েছে। করোনার আগে দিনে আমাদের বিপুল সংখ্যক খাবারের চাহিদা ছিল। করোনা আসায় এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দৈনিক প্রায় এক লাখ লোকের খাবার তৈরি ও সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। পুরো সক্ষমতা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। কারণ, ব্যবসাটা গড়ে উঠতে শুরু করেছিল মাত্র। এর মধ্যেই ধাক্কা।
আজকের পত্রিকা: এখন কি আবার চালু করেছেন কার্যক্রম?
আফরোজা খান: যেহেতু সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে, আমরাও চেষ্টা করছি চালু রাখতে। আর খুললেই খাবার সরবরাহ বাড়ে না। কারণ, বন্ধের একটা প্রভাব থেকে যায়। অফিসগুলো এখনো বাইরে থেকে খাবার নিচ্ছে না। আমাদের প্রায় ৩০০ কর্মী ছিল। বেশির ভাগই চলে গেছে। তাদের আমরা ধরে রাখতে পারিনি। চালু হওয়ার পর কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেছে। আগে যেখানে এক হাজার বা দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার লোকের একসঙ্গে অর্ডার হতো। এখন হচ্ছে অনেক কম। বিয়েশাদি, বড় ইভেন্ট বলতে গেলে নেই।
আজকের পত্রিকা: কী পরিমাণ লোকসান হলো করোনার কারণে? কীভাবে পোষাবেন ক্ষতি?
আফরোজা খান: সামনে কী হবে তা-ও বুঝতে পারছি না। যে লোকসান হয়েছে, এটা কীভাবে পূরণ হবে এ নিয়ে আশঙ্কায় আছি। যদি সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিকও হয়, তাতেও অন্তত আড়াই-তিন বছর লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আমার বিপুল অঙ্কের ব্যাংক ঋণ আছে। এখন হয়তো কিস্তি দেওয়া নিয়ে কিছুটা চাপ কম। আমি ব্যাংকে আবেদন করব, যাতে আমাদের ঋণটা আরও নমনীয়ভাবে পরিশোধ করতে পারি। সময়টা যাতে বাড়িয়ে দেয়। সুদের হারও যদি কমায় তাহলেও কিছু রক্ষা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারি প্রণোদনা পাননি?
আফরোজা খান: সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। তবে আমরা সেটা পাইনি। আমাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কি না তা-ও জানি না। বলেছে আছে। প্রথমবার একদলকে দেওয়া হয়েছে। হয়তো দ্বিতীয় দফায় আমাদের দেবে, এমনটাই শুনেছি। আমাদের প্রায় ১৬ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মেগা কিচেনের জায়গার মূল্যসহ প্রায় শত কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। ব্যাংক থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়ে এখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: সামনে এ ব্যবসার মূল চ্যালেঞ্জ কী মনে করছেন?
আফরোজা খান: পরিস্থিতি যদি ভালো হয়, তাহলে চলতে পারব। আর যদি আবারও খারাপ হয়, তাহলে আমাদের যে কত খারাপ হবে এটা ভাবতে পারছি না। আমাদের এখন ফোনকলের মাধ্যমে অর্ডার আসছে। যতটা অর্ডার সে হিসাবে খাবারটা এখন তৈরি করছি। অর্ডার করলে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কেউ অর্ডার করে এখানেও খেতে পারে। পাশেই আমাদের ঠিকানা নামের যে রেস্টুরেন্টটি রয়েছে, সেখানে বসে খেতে পারে।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের যারা সরবরাহকারী তাদের অবস্থা কেমন?
আফরোজা খান: বিনিয়োগ তো করেছি, এটা থেকে পেছনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। অনেক টাকার বিনিয়োগ। এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমার সঙ্গে অনেকগুলো ভেন্ডর বা স্টেকহোল্ডার কাজ করছে। কেউ সবজি সরবরাহ করছে, কেউ হয়তো মাছ দিচ্ছে, কেউ হয়তো অন্য কোনো পণ্য দিচ্ছে। আমার ব্যবসা ভালো হলে, এরা ভালো থাকে। আমার খারাপ হলে তাদেরও খারাপ হয়।
আজকের পত্রিকা: কিচেনের পাশেই ঠিকানা রেস্টুরেন্ট করেছেন। এটা কেমন চলছে?
আফরোজা খান: ওটা আসলে রিসোর্ট নয়, রেস্টুরেন্ট। এখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বসে সময় নিয়ে, বিশ্রাম করে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। খান কিচেন যেমন বাইরে খাবার সরবরাহ করে, আর এটাতে কেউ এসে অর্ডার করলে বসে খেতে পারে। এটাও আমরা খুলে দিয়েছি। এখানের বিশেষত্ব হলো এটি একটি খোলা জায়গায়, যে কেউ এসে সময় নিয়ে আশপাশে ঘুরে দেখতে পারবে আবার খেতেও পারবে।
আজকের পত্রিকা: সব মিলিয়ে এ ব্যবসা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
আফরোজা খান: আশা ছাড়তে চাচ্ছি না। যদি করোনার প্রকোপ কমে যায়, সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে, আমি আশা করি আবারও ঘুরে দাঁড়াব। হয়তো একটু সময় লাগবে। কারণ, মানুষের খাবারের চাহিদা তো আর কমবে না। এমনও হতে পারে, এ ব্যবসাটা আগের চেয়ে আরও ভালো হবে।
আজকের পত্রিকা: করোনাকালে কেমন ছিল বড় বিনিয়োগের খান কিচেনের অবস্থা?
আফরোজা খান: করোনার কারণে বাধ্য হয়ে আমাদেরও বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারণ, এ সময়ে কোনো অফিসই বাইরের খাবার ঢুকতে দেয়নি। ফলে আমাদের বড় ধরনের লোকসান হয়েছে। করোনার আগে দিনে আমাদের বিপুল সংখ্যক খাবারের চাহিদা ছিল। করোনা আসায় এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দৈনিক প্রায় এক লাখ লোকের খাবার তৈরি ও সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। পুরো সক্ষমতা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। কারণ, ব্যবসাটা গড়ে উঠতে শুরু করেছিল মাত্র। এর মধ্যেই ধাক্কা।
আজকের পত্রিকা: এখন কি আবার চালু করেছেন কার্যক্রম?
আফরোজা খান: যেহেতু সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে, আমরাও চেষ্টা করছি চালু রাখতে। আর খুললেই খাবার সরবরাহ বাড়ে না। কারণ, বন্ধের একটা প্রভাব থেকে যায়। অফিসগুলো এখনো বাইরে থেকে খাবার নিচ্ছে না। আমাদের প্রায় ৩০০ কর্মী ছিল। বেশির ভাগই চলে গেছে। তাদের আমরা ধরে রাখতে পারিনি। চালু হওয়ার পর কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেছে। আগে যেখানে এক হাজার বা দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার লোকের একসঙ্গে অর্ডার হতো। এখন হচ্ছে অনেক কম। বিয়েশাদি, বড় ইভেন্ট বলতে গেলে নেই।
আজকের পত্রিকা: কী পরিমাণ লোকসান হলো করোনার কারণে? কীভাবে পোষাবেন ক্ষতি?
আফরোজা খান: সামনে কী হবে তা-ও বুঝতে পারছি না। যে লোকসান হয়েছে, এটা কীভাবে পূরণ হবে এ নিয়ে আশঙ্কায় আছি। যদি সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিকও হয়, তাতেও অন্তত আড়াই-তিন বছর লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আমার বিপুল অঙ্কের ব্যাংক ঋণ আছে। এখন হয়তো কিস্তি দেওয়া নিয়ে কিছুটা চাপ কম। আমি ব্যাংকে আবেদন করব, যাতে আমাদের ঋণটা আরও নমনীয়ভাবে পরিশোধ করতে পারি। সময়টা যাতে বাড়িয়ে দেয়। সুদের হারও যদি কমায় তাহলেও কিছু রক্ষা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারি প্রণোদনা পাননি?
আফরোজা খান: সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। তবে আমরা সেটা পাইনি। আমাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কি না তা-ও জানি না। বলেছে আছে। প্রথমবার একদলকে দেওয়া হয়েছে। হয়তো দ্বিতীয় দফায় আমাদের দেবে, এমনটাই শুনেছি। আমাদের প্রায় ১৬ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মেগা কিচেনের জায়গার মূল্যসহ প্রায় শত কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। ব্যাংক থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়ে এখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: সামনে এ ব্যবসার মূল চ্যালেঞ্জ কী মনে করছেন?
আফরোজা খান: পরিস্থিতি যদি ভালো হয়, তাহলে চলতে পারব। আর যদি আবারও খারাপ হয়, তাহলে আমাদের যে কত খারাপ হবে এটা ভাবতে পারছি না। আমাদের এখন ফোনকলের মাধ্যমে অর্ডার আসছে। যতটা অর্ডার সে হিসাবে খাবারটা এখন তৈরি করছি। অর্ডার করলে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কেউ অর্ডার করে এখানেও খেতে পারে। পাশেই আমাদের ঠিকানা নামের যে রেস্টুরেন্টটি রয়েছে, সেখানে বসে খেতে পারে।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের যারা সরবরাহকারী তাদের অবস্থা কেমন?
আফরোজা খান: বিনিয়োগ তো করেছি, এটা থেকে পেছনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। অনেক টাকার বিনিয়োগ। এখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমার সঙ্গে অনেকগুলো ভেন্ডর বা স্টেকহোল্ডার কাজ করছে। কেউ সবজি সরবরাহ করছে, কেউ হয়তো মাছ দিচ্ছে, কেউ হয়তো অন্য কোনো পণ্য দিচ্ছে। আমার ব্যবসা ভালো হলে, এরা ভালো থাকে। আমার খারাপ হলে তাদেরও খারাপ হয়।
আজকের পত্রিকা: কিচেনের পাশেই ঠিকানা রেস্টুরেন্ট করেছেন। এটা কেমন চলছে?
আফরোজা খান: ওটা আসলে রিসোর্ট নয়, রেস্টুরেন্ট। এখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বসে সময় নিয়ে, বিশ্রাম করে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। খান কিচেন যেমন বাইরে খাবার সরবরাহ করে, আর এটাতে কেউ এসে অর্ডার করলে বসে খেতে পারে। এটাও আমরা খুলে দিয়েছি। এখানের বিশেষত্ব হলো এটি একটি খোলা জায়গায়, যে কেউ এসে সময় নিয়ে আশপাশে ঘুরে দেখতে পারবে আবার খেতেও পারবে।
আজকের পত্রিকা: সব মিলিয়ে এ ব্যবসা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
আফরোজা খান: আশা ছাড়তে চাচ্ছি না। যদি করোনার প্রকোপ কমে যায়, সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে, আমি আশা করি আবারও ঘুরে দাঁড়াব। হয়তো একটু সময় লাগবে। কারণ, মানুষের খাবারের চাহিদা তো আর কমবে না। এমনও হতে পারে, এ ব্যবসাটা আগের চেয়ে আরও ভালো হবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫