ফারুক মেহেদী
আইসিটি খাতের ব্যবসা কেমন চলছে? কতটা এগোল এ খাত? সামনে কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কেমন চলছে আইসিটি খাতে ব্যবসা?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। শুরুতে হয়তো অনেক ভুল ছিল। এখন আবার ভারসাম্য বজায় রেখে করা হচ্ছে। এ কারণে অর্থনীতিতে বড় কোনো ক্ষতির প্রভাব পড়েনি। কিছু প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা গেছে। হয়তো একেক খাতে একেক রকম। আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়তো ঠিক ছিল, অন্য কিছু খাত হয়তো খারাপ ছিল। ছোটখাটো দোকান বা এসএমই উদ্যোক্তা বা উৎপাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাও এখন কাটিয়ে উঠছে। অনলাইন ব্যবসা ভালো ছিল, তবে সব খাত নয়। অনলাইন ডেলিভারি ব্যবসা, খাবার বা গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবসা ভালো ছিল। কিন্তু সাধারণ অনলাইন প্রসাধনী বা কাপড়চোপড় ব্যবসা দুই বছর আগেও যেমন ছিল, তেমনটা ছিল না।
আজকের পত্রিকা: করোনা কী এ ব্যবসার জন্য সমস্যা না সম্ভাবনা?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: মানুষের জীবনাচারে তথ্যপ্রযুক্তি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যারা দুই বছর আগে ভালো করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারত না, তারা এখন পারছে। অনেকে জুমে স্বচ্ছন্দে মিটিং করে। এটা তো বিশাল পরিবর্তন। এটা সরকার ও বেসরকারি খাতেও পরিবর্তন। মফস্বল শহর থেকে বিদেশে মিটিং করছে। ছাত্ররা ঘরে বসে ক্লাস করছে। এটা দুই বছর আগেও ভাবা যেত না। এটা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভালো একটা সমন্বয় করা গেছে।
আজকের পত্রিকা: এখনো কী ডিজিটাল ডিভাইড রয়ে গেছে? কীভাবে দেখছেন বিষয়টি?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: দেশ ২০ বছর আগে যে জায়গায় ছিল, এখন সে জায়গায় নেই। এখন আমরা বহু দূরে এসেছি। আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের একদিকে ইন্টারনেটের খরচ কমেছে, অন্যদিকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। তাই আগের চেয়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস বেড়েছে। গ্রামেও এখন সবাই নেটে ভিডিও দেখছে। তারপরও আমি মনে করি যারা গরিব পরিবারের ছাত্র, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, তাঁকে মাসে ৫০০ টাকার ইন্টারনেট বা ১০ হাজার টাকার একটা স্মার্টফোন দেওয়া যেতে পারে। বিটিআরসিতে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা আছে, এ টাকা থেকেও এ খরচটা বহন করা যায়। এর বাইরেও ডিজিটাল ডিভাইড আছে। সেটাও কমিয়ে আনতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এ খাতের চ্যালেঞ্জ কী?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: চ্যালেঞ্জ থাকবেই। গত ২০-২২ বছরে আইসিটি খাতে উন্নয়ন ব্যাপক। সরকারের বিশেষ একটা পদক্ষেপ ছিল–ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এর ফলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিতর্ক আছে। তারপরও উন্নয়ন
যে হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এখন আমরা বিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করছি।
এটা আরও বাড়বে। এখানে প্রচুর এন্টারপ্রাইজ গড়ে উঠছে। তরুণেরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসছে। এখন শুধু কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে নয়; যেকোনো
বিষয়ে পড়েও তারা এ খাতে অবদান রাখছে। বিদেশি
বিনিয়োগ আসছে। স্থানীয়রাও বিনিয়োগ করছে।
আইসিটি খাতের ব্যবসা কেমন চলছে? কতটা এগোল এ খাত? সামনে কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিসের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কেমন চলছে আইসিটি খাতে ব্যবসা?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। শুরুতে হয়তো অনেক ভুল ছিল। এখন আবার ভারসাম্য বজায় রেখে করা হচ্ছে। এ কারণে অর্থনীতিতে বড় কোনো ক্ষতির প্রভাব পড়েনি। কিছু প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা গেছে। হয়তো একেক খাতে একেক রকম। আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়তো ঠিক ছিল, অন্য কিছু খাত হয়তো খারাপ ছিল। ছোটখাটো দোকান বা এসএমই উদ্যোক্তা বা উৎপাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাও এখন কাটিয়ে উঠছে। অনলাইন ব্যবসা ভালো ছিল, তবে সব খাত নয়। অনলাইন ডেলিভারি ব্যবসা, খাবার বা গৃহস্থালি পণ্যের ব্যবসা ভালো ছিল। কিন্তু সাধারণ অনলাইন প্রসাধনী বা কাপড়চোপড় ব্যবসা দুই বছর আগেও যেমন ছিল, তেমনটা ছিল না।
আজকের পত্রিকা: করোনা কী এ ব্যবসার জন্য সমস্যা না সম্ভাবনা?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: মানুষের জীবনাচারে তথ্যপ্রযুক্তি বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যারা দুই বছর আগে ভালো করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারত না, তারা এখন পারছে। অনেকে জুমে স্বচ্ছন্দে মিটিং করে। এটা তো বিশাল পরিবর্তন। এটা সরকার ও বেসরকারি খাতেও পরিবর্তন। মফস্বল শহর থেকে বিদেশে মিটিং করছে। ছাত্ররা ঘরে বসে ক্লাস করছে। এটা দুই বছর আগেও ভাবা যেত না। এটা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভালো একটা সমন্বয় করা গেছে।
আজকের পত্রিকা: এখনো কী ডিজিটাল ডিভাইড রয়ে গেছে? কীভাবে দেখছেন বিষয়টি?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: দেশ ২০ বছর আগে যে জায়গায় ছিল, এখন সে জায়গায় নেই। এখন আমরা বহু দূরে এসেছি। আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের একদিকে ইন্টারনেটের খরচ কমেছে, অন্যদিকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। তাই আগের চেয়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস বেড়েছে। গ্রামেও এখন সবাই নেটে ভিডিও দেখছে। তারপরও আমি মনে করি যারা গরিব পরিবারের ছাত্র, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, তাঁকে মাসে ৫০০ টাকার ইন্টারনেট বা ১০ হাজার টাকার একটা স্মার্টফোন দেওয়া যেতে পারে। বিটিআরসিতে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা আছে, এ টাকা থেকেও এ খরচটা বহন করা যায়। এর বাইরেও ডিজিটাল ডিভাইড আছে। সেটাও কমিয়ে আনতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এ খাতের চ্যালেঞ্জ কী?
হাবিবুল্লাহ এন করিম: চ্যালেঞ্জ থাকবেই। গত ২০-২২ বছরে আইসিটি খাতে উন্নয়ন ব্যাপক। সরকারের বিশেষ একটা পদক্ষেপ ছিল–ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এর ফলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিতর্ক আছে। তারপরও উন্নয়ন
যে হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এখন আমরা বিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করছি।
এটা আরও বাড়বে। এখানে প্রচুর এন্টারপ্রাইজ গড়ে উঠছে। তরুণেরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসছে। এখন শুধু কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে নয়; যেকোনো
বিষয়ে পড়েও তারা এ খাতে অবদান রাখছে। বিদেশি
বিনিয়োগ আসছে। স্থানীয়রাও বিনিয়োগ করছে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫