Ajker Patrika

আগে থেকেই ব্যবস্থা নিলে এত লোকের ক্ষতি হতো না

অর্চি হক
আগে থেকেই ব্যবস্থা নিলে এত লোকের ক্ষতি হতো না

ই-কমার্স খাতে কেন এই অস্থিরতা? এ থেকে মুক্তির উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বেসিসের সাবেক সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক। 

আজকের পত্রিকা: ই-কমার্স খাতে বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে, এর কারণ কী? 
ফাহিম মাশরুর: যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। যেসব ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের অনেক গ্রাহক গত এক বছর ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে অভিযোগ বা মামলা করেছেন। অনেকে লাখ টাকা দেওয়ার পরেও পণ্য ডেলিভারি পাননি। ভোক্তা অধিকার ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু দেখা গেছে, যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও জরিমানা করা হয়নি। কিংবা খুব কম টাকা, হয়তো ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর খুব কম টাকাই অভিযোগকারী পেয়েছেন। একই কোম্পানির বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ এসেছে, কিন্তু সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও আইনগতভাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ক্ষমতা আছে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার। 

আজকের পত্রিকা: শুধু যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই আজকের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? 
ফাহিম মাশরুর: যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এখন বিক্ষোভ হচ্ছে, মামলা হচ্ছে, মালিককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তো নতুন নয়। আগে থেকেই চিহ্নিত ছিল তারা। তাদের এত দিন ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়াটাই বড় ভুল হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা নিয়ে যদি আগে থেকেই সরকার বা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করত, তাহলে এখন এত লোকের ক্ষতি হতো না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রচুর অভিযোগ এসেছিল, কিন্তু তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমরা দেখছি ভোক্তা অধিকার বলছে, তাদের জনবল কম। প্রতিযোগিতা কমিশনও এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করছে। প্রশ্ন হলো, এত দিন তারা করেছেটা কী? সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এখন যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেগুলো আরও আগে নিলে ভালো হতো।

আজকের পত্রিকা: ই-কমার্স সেক্টরে নতুন আইনের দাবি উঠছে। নতুন আইন ই-কমার্স খাতে অস্থিরতা দূর করতে পারবে বলে মনে করেন কী? 
ফাহিম মাশরুর: অনেকেই ই-কমার্সের জন্য নতুন আইনের কথা বলছেন। তবে আমি বলব, নতুন কোনো আইনের দরকার নেই। যে আইনগুলো আছে, সেগুলোই যথাযথভাবে প্রয়োগ করা উচিত। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে প্রতারণা, অস্থিরতা এমনিতেই কেটে যাবে বলে আমি মনে করি। 

আজকের পত্রিকা: ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ উঠছে যে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিগুলো তাদের টাকা আটকে রাখছে। পেমেন্ট গেটওয়ে সমস্যা কীভাবে কাটানো যাবে বলে আপনি মনে করেন? 
ফাহিম মাশরুর: বাংলাদেশ ব্যাংক তো পেমেন্ট গেটওয়ে বিষয়ক নির্দেশিকা করে দিয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে যা করেছে, তা ঠিকই আছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিগুলো ম্যানুয়ালি অনেক কাজ করছে। এটা অটোমেশন করতে হবে। তাহলে গেটওয়ে নিয়ে সমস্যা কেটে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত