ফারুক মেহেদী
দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজারটি কত বড়? এ খাতের প্রবৃদ্ধি কেমন? ভোক্তাকে কম দামে মানসম্পন্ন স্মার্টফোন দেওয়ার সুযোগ কতটুকু? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন টেকনো, আইটেল ও ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ট্রানশান বাংলাদেশের সিইও রেজওয়ানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন খাতের বর্তমান অবস্থা কেমন?
রেজওয়ানুল হক: আমাদের ব্যবসার এখন ভালো অবস্থা। প্রবৃদ্ধি আছে, বিক্রি বাড়ছে। ম্যানুয়াল ফোনের বিক্রি কমলেও স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে। কভিডের পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ব্যবসা ভালোর দিকে যাচ্ছে। দেশের স্মার্টফোনের যে চাহিদা তার অন্তত ৮০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত ফোনের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে। আর যদি মোট ফোনের চাহিদার কথা বলেন, তাহলে বলব, সব ধরনের ফোনের ৬০-৬৫ শতাংশ পূরণ করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোন।
আজকের পত্রিকা: আপনারা কী কী ব্র্যান্ড উৎপাদন করছেন? কেমন সাড়া বাজারে?
রেজওয়ানুল হক: আমাদের কোম্পানি শতভাগ দেশেই উৎপাদন করে। আইটেল, টেকনো ও ইনফিনিক্স নামের তিনটি ব্র্যান্ড। আইটেল ব্র্যান্ডটা আমাদের বার ফোন। বাকি দুটো স্মার্টফোন। ক্রেতারা পণ্যের মান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমরা আসলে ভ্যালু ফর মানি এই হিসাবে কাজ করছি। আমরা বলব না যে খুব বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা মান এবং দামের একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করি।
আজকের পত্রিকা: স্মার্টফোনের বাজার কি বাড়ছে?
রেজওয়ানুল হক: বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটি লোক ফোন ব্যবহার করছেন। সেখানে স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে এক কোটি। এখনো বাজারে প্রায় আড়াই কোটির মতো বার ফোন ব্যবহার হচ্ছে। এই বার ফোনটা বন্ধ হয়েই তো স্মার্টফোনে যাবে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে স্মার্টফোনের অংশীদারত্ব ৪০ শতাংশ। এখনো ৬০ শতাংশ বার ফোনের দখলে। রিপ্লেসমেন্ট বাজারও বড় হয়ে গেছে। কারণ, গত পাঁচ বছর যাঁরা স্মার্টফোন কিনছেন, তাঁরাও তো রিপ্লেসমেন্ট বাজারে আসছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিরাট বাজার।
আজকের পত্রিকা: ভোক্তাকে কম দামে ভালো ফোন দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
রেজওয়ানুল হক: যাঁরা বার ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের বাজেট হলো ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর ভালো একটা স্মার্টফোন কিনতে গেলে ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। সেটাকে ৩-৪ হাজার টাকায় আনা সম্ভব নয়। এখানে কম্পোনেন্ট ও প্রোডাকশনের বিষয় আছে। তবে মাইক্রোফাইন্যান্সিং করে বা সহনীয় কিস্তির মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না, সেটা আমরা চেষ্টা করছি। দাম যতটা কমানো যায়, সেটাও দেখছি।
আজকের পত্রিকা: দেশে কিস্তির মাধ্যমে স্মার্টফোন বিক্রির চর্চা গড়ে উঠছে না কেন?
রেজওয়ানুল হক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল ফোন কিস্তি করে বিক্রি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এর দাম পরিশোধ করা হয়। আমাদের দেশে এ চর্চাটা নেই। এর কারণ হলো, ব্যাংকের গ্রাহক এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী কম। যাঁদের এসবে অ্যাকসেস নেই, তাঁদের কিস্তি পদ্ধতির মধ্যে আনা যাচ্ছে না। এখন আমরা চেষ্টা করছি মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোন বিক্রি করার বিষয়টি। কাজটি শুরু হচ্ছে। সামনে হয়তো এটা বেশ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে ক্রেতা এক বছরে ওই টাকাটা পরিশোধ করবেন।
দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের বাজারটি কত বড়? এ খাতের প্রবৃদ্ধি কেমন? ভোক্তাকে কম দামে মানসম্পন্ন স্মার্টফোন দেওয়ার সুযোগ কতটুকু? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন টেকনো, আইটেল ও ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ট্রানশান বাংলাদেশের সিইও রেজওয়ানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন খাতের বর্তমান অবস্থা কেমন?
রেজওয়ানুল হক: আমাদের ব্যবসার এখন ভালো অবস্থা। প্রবৃদ্ধি আছে, বিক্রি বাড়ছে। ম্যানুয়াল ফোনের বিক্রি কমলেও স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে। কভিডের পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ব্যবসা ভালোর দিকে যাচ্ছে। দেশের স্মার্টফোনের যে চাহিদা তার অন্তত ৮০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত ফোনের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে। আর যদি মোট ফোনের চাহিদার কথা বলেন, তাহলে বলব, সব ধরনের ফোনের ৬০-৬৫ শতাংশ পূরণ করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোন।
আজকের পত্রিকা: আপনারা কী কী ব্র্যান্ড উৎপাদন করছেন? কেমন সাড়া বাজারে?
রেজওয়ানুল হক: আমাদের কোম্পানি শতভাগ দেশেই উৎপাদন করে। আইটেল, টেকনো ও ইনফিনিক্স নামের তিনটি ব্র্যান্ড। আইটেল ব্র্যান্ডটা আমাদের বার ফোন। বাকি দুটো স্মার্টফোন। ক্রেতারা পণ্যের মান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমরা আসলে ভ্যালু ফর মানি এই হিসাবে কাজ করছি। আমরা বলব না যে খুব বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা মান এবং দামের একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করি।
আজকের পত্রিকা: স্মার্টফোনের বাজার কি বাড়ছে?
রেজওয়ানুল হক: বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটি লোক ফোন ব্যবহার করছেন। সেখানে স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে এক কোটি। এখনো বাজারে প্রায় আড়াই কোটির মতো বার ফোন ব্যবহার হচ্ছে। এই বার ফোনটা বন্ধ হয়েই তো স্মার্টফোনে যাবে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে স্মার্টফোনের অংশীদারত্ব ৪০ শতাংশ। এখনো ৬০ শতাংশ বার ফোনের দখলে। রিপ্লেসমেন্ট বাজারও বড় হয়ে গেছে। কারণ, গত পাঁচ বছর যাঁরা স্মার্টফোন কিনছেন, তাঁরাও তো রিপ্লেসমেন্ট বাজারে আসছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিরাট বাজার।
আজকের পত্রিকা: ভোক্তাকে কম দামে ভালো ফোন দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
রেজওয়ানুল হক: যাঁরা বার ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের বাজেট হলো ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর ভালো একটা স্মার্টফোন কিনতে গেলে ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। সেটাকে ৩-৪ হাজার টাকায় আনা সম্ভব নয়। এখানে কম্পোনেন্ট ও প্রোডাকশনের বিষয় আছে। তবে মাইক্রোফাইন্যান্সিং করে বা সহনীয় কিস্তির মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না, সেটা আমরা চেষ্টা করছি। দাম যতটা কমানো যায়, সেটাও দেখছি।
আজকের পত্রিকা: দেশে কিস্তির মাধ্যমে স্মার্টফোন বিক্রির চর্চা গড়ে উঠছে না কেন?
রেজওয়ানুল হক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল ফোন কিস্তি করে বিক্রি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এর দাম পরিশোধ করা হয়। আমাদের দেশে এ চর্চাটা নেই। এর কারণ হলো, ব্যাংকের গ্রাহক এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী কম। যাঁদের এসবে অ্যাকসেস নেই, তাঁদের কিস্তি পদ্ধতির মধ্যে আনা যাচ্ছে না। এখন আমরা চেষ্টা করছি মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোন বিক্রি করার বিষয়টি। কাজটি শুরু হচ্ছে। সামনে হয়তো এটা বেশ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে ক্রেতা এক বছরে ওই টাকাটা পরিশোধ করবেন।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫