ফারুক মেহেদী
করোনা উত্তর রাজস্ব আদায় কেমন হবে? আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো উচিত কি না? ভ্যাট আদায় বাড়ানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় কর আইনজীবী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ভ্যাট বারের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট ড. নুরুল আজহার।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনা-উত্তর রাজস্ব আদায় নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
ড. নুরুল আজহার: করোনার সময় সরকার প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। সার্বিকভাবে প্রতিবছরই ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। যদিও ভ্যাট আদায় মোটামুটি ভালো, কিন্তু ঘাটতি থাকে আয়কর ও কাস্টমসে। গত বছরে ভ্যাটের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এবার করা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও গতবার আয়কর অফিসগুলো খোলা রাখা হয়। দেশে লকডাউন বা শাটডাউন ছিল, তারপরও কিন্তু টুকটাক কাজ হয়েছে। কর্মকর্তারা অফিস খোলা রেখে আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এসব কারণে ঘাটতি থাকলেও আদায় হয়েছে। না হলে সরকার তো বেতন দিতে পারত না। সরকারের এখন নির্ভরতা ভ্যাট, ট্যাক্স আর কাস্টমসের ওপর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো ভ্যাট।
আজকের পত্রিকা: চলতি বছরে তো ঘাটতি পড়তে শুরু করেছে। সামনে কী হবে?
ড. নুরুল আজহার: অর্থবছর তো মাত্র শুরু হলো। শুরুতে ঘাটতি পড়লেও পরে গিয়ে ভারসাম্য হয়ে যাবে। ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে করপোরেট কর। করপোরেট খাতেই মোটা অঙ্কের রাজস্ব আসে। জুলাই-আগস্টে যে ঘাটতি হবে এটা বড় বিষয় নয়; পরে গিয়ে এগুলো পূরণ হয়ে যাবে। নভেম্বরে এসে দেখবেন মাসিক লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে আসবে।
আজকের পত্রিকা: অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সবার জন্য সহজ হবে?
ড. নুরুল আজহার: সব রিটার্ন অনলাইনে সম্ভব হবে না। কিছু কিছু দেওয়া যাবে। যেমন স্যালারি সার্কেলে অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। আবার কিছু কিছু সার্কেল আছে, যেখানে অনলাইনে দেওয়ার পরও হার্ড কপিও জমা দিতে হবে। এখনই পুরো অনলাইন করা আমাদের দেশে কঠিন হবে। কারণ, এখনো সব করদাতা এতটা দক্ষ হননি, এ ব্যাপারে তাঁদের ধারণাও স্পষ্ট নয়।
আজকের পত্রিকা: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো উচিত কি না?
ড. নুরুল আজহার: গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা যায়, এবারও বাড়ানো হবে। কারণ, করোনার প্রভাবে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক আয় কমেছে। সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়া বেসরকারি খাত বলা যায় বিপর্যস্ত। অনেকের চাকরি নেই। যাঁদের চাকরি আছে, তাঁদের অনেকের বেতন নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। সে কারণে আমার ধারণা, এবারও করদাতার সুবিধার্থে রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়বে। সময় বাড়ালে সবার জন্যই লাভজনক হবে।
আজকের পত্রিকা: এখনো কেন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভ্যাট আদায় হচ্ছে না?
ড. নুরুল আজহার: ভ্যাটে লুটপাট হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার যদি ঠিকমতো ভ্যাট আদায় করতে পারত তবে তা ১ লাখ ২৭ হাজার নয়, তা ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকায় ছাড়িয়ে যেত। ভোক্তারা ঠিকই ভ্যাট দেন, কিন্তু সরকারের খাতায় তা ঠিকমতো জমা হয় না। এখন যে হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, আর নিয়মিত রিটার্ন দাখিলসহ নানান পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, তাতে ভ্যাট আদায় বাড়ছে। গত বছরেও ঘাটতি ছিল না, আমার ধারণা এ বছরও ঘাটতি হবে না। ভ্যাটে ১৮ কোটি মানুষ সম্পৃক্ত। সবাই আন্তরিক হলে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি আদায়ে কোনো সমস্যা
হবে না।
আজকের পত্রিকা: ইএফডি মেশিনই কী ন্যায্য ভ্যাট আদায়ের জন্য যথেষ্ট?
ড. নুরুল আজহার: ফাঁকি বন্ধে ইএফডি বসানো হয়েছে। তা-ও সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আরও ১০ হাজার মেশিন আসবে শোনা যাচ্ছে, কিন্তু আসছে না। এসব মেশিন সার্ভারে যুক্ত হবে। এখানেও যে ঘাপলা থাকবে না, তা বলা যায় না। কারণ, এগুলোও তো মানুষই নিয়ন্ত্রণ করবে। নীতি-নৈতিকতা থাকলে তো ইএফডির প্রয়োজন নেই। প্রকৃত ভ্যাট আদায় করতে হলে আদায়কারী আর প্রদানকারী উভয়েরই সততা থাকতে হবে। কারণ, ভোক্তাদের থেকে ঠিক ভ্যাট তুলে রাখা হয়। রড, সিমেন্ট, ইট যা-ই বলেন না কেন, এসব মালামাল বের হলেই ভ্যাট দেওয়া হচ্ছে। ভোক্তা ভ্যাটের টাকাসহ পণ্যটি কিনছেন। এখন ভোক্তা কেনার আগেই যা ঘটছে তা হলো আদায়কারী ও জমাকারী নিজেরা যোগসাজশ করে নয়ছয় করছেন।
করোনা উত্তর রাজস্ব আদায় কেমন হবে? আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো উচিত কি না? ভ্যাট আদায় বাড়ানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় কর আইনজীবী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ভ্যাট বারের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট ড. নুরুল আজহার।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনা-উত্তর রাজস্ব আদায় নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
ড. নুরুল আজহার: করোনার সময় সরকার প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। সার্বিকভাবে প্রতিবছরই ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। যদিও ভ্যাট আদায় মোটামুটি ভালো, কিন্তু ঘাটতি থাকে আয়কর ও কাস্টমসে। গত বছরে ভ্যাটের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এবার করা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও গতবার আয়কর অফিসগুলো খোলা রাখা হয়। দেশে লকডাউন বা শাটডাউন ছিল, তারপরও কিন্তু টুকটাক কাজ হয়েছে। কর্মকর্তারা অফিস খোলা রেখে আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এসব কারণে ঘাটতি থাকলেও আদায় হয়েছে। না হলে সরকার তো বেতন দিতে পারত না। সরকারের এখন নির্ভরতা ভ্যাট, ট্যাক্স আর কাস্টমসের ওপর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো ভ্যাট।
আজকের পত্রিকা: চলতি বছরে তো ঘাটতি পড়তে শুরু করেছে। সামনে কী হবে?
ড. নুরুল আজহার: অর্থবছর তো মাত্র শুরু হলো। শুরুতে ঘাটতি পড়লেও পরে গিয়ে ভারসাম্য হয়ে যাবে। ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে করপোরেট কর। করপোরেট খাতেই মোটা অঙ্কের রাজস্ব আসে। জুলাই-আগস্টে যে ঘাটতি হবে এটা বড় বিষয় নয়; পরে গিয়ে এগুলো পূরণ হয়ে যাবে। নভেম্বরে এসে দেখবেন মাসিক লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে আসবে।
আজকের পত্রিকা: অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সবার জন্য সহজ হবে?
ড. নুরুল আজহার: সব রিটার্ন অনলাইনে সম্ভব হবে না। কিছু কিছু দেওয়া যাবে। যেমন স্যালারি সার্কেলে অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। আবার কিছু কিছু সার্কেল আছে, যেখানে অনলাইনে দেওয়ার পরও হার্ড কপিও জমা দিতে হবে। এখনই পুরো অনলাইন করা আমাদের দেশে কঠিন হবে। কারণ, এখনো সব করদাতা এতটা দক্ষ হননি, এ ব্যাপারে তাঁদের ধারণাও স্পষ্ট নয়।
আজকের পত্রিকা: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো উচিত কি না?
ড. নুরুল আজহার: গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা যায়, এবারও বাড়ানো হবে। কারণ, করোনার প্রভাবে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক আয় কমেছে। সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়া বেসরকারি খাত বলা যায় বিপর্যস্ত। অনেকের চাকরি নেই। যাঁদের চাকরি আছে, তাঁদের অনেকের বেতন নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। সে কারণে আমার ধারণা, এবারও করদাতার সুবিধার্থে রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়বে। সময় বাড়ালে সবার জন্যই লাভজনক হবে।
আজকের পত্রিকা: এখনো কেন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভ্যাট আদায় হচ্ছে না?
ড. নুরুল আজহার: ভ্যাটে লুটপাট হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার যদি ঠিকমতো ভ্যাট আদায় করতে পারত তবে তা ১ লাখ ২৭ হাজার নয়, তা ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকায় ছাড়িয়ে যেত। ভোক্তারা ঠিকই ভ্যাট দেন, কিন্তু সরকারের খাতায় তা ঠিকমতো জমা হয় না। এখন যে হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, আর নিয়মিত রিটার্ন দাখিলসহ নানান পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, তাতে ভ্যাট আদায় বাড়ছে। গত বছরেও ঘাটতি ছিল না, আমার ধারণা এ বছরও ঘাটতি হবে না। ভ্যাটে ১৮ কোটি মানুষ সম্পৃক্ত। সবাই আন্তরিক হলে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি আদায়ে কোনো সমস্যা
হবে না।
আজকের পত্রিকা: ইএফডি মেশিনই কী ন্যায্য ভ্যাট আদায়ের জন্য যথেষ্ট?
ড. নুরুল আজহার: ফাঁকি বন্ধে ইএফডি বসানো হয়েছে। তা-ও সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আরও ১০ হাজার মেশিন আসবে শোনা যাচ্ছে, কিন্তু আসছে না। এসব মেশিন সার্ভারে যুক্ত হবে। এখানেও যে ঘাপলা থাকবে না, তা বলা যায় না। কারণ, এগুলোও তো মানুষই নিয়ন্ত্রণ করবে। নীতি-নৈতিকতা থাকলে তো ইএফডির প্রয়োজন নেই। প্রকৃত ভ্যাট আদায় করতে হলে আদায়কারী আর প্রদানকারী উভয়েরই সততা থাকতে হবে। কারণ, ভোক্তাদের থেকে ঠিক ভ্যাট তুলে রাখা হয়। রড, সিমেন্ট, ইট যা-ই বলেন না কেন, এসব মালামাল বের হলেই ভ্যাট দেওয়া হচ্ছে। ভোক্তা ভ্যাটের টাকাসহ পণ্যটি কিনছেন। এখন ভোক্তা কেনার আগেই যা ঘটছে তা হলো আদায়কারী ও জমাকারী নিজেরা যোগসাজশ করে নয়ছয় করছেন।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫