নাসিমা আকতার
ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?
নাসিমা আকতার: আমি সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করি ২০১০ সাল থেকে। নিজের কোম্পানি নিয়ে কাজ করতে করতে ই-ক্যাবের সঙ্গে যুক্ত হই ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক তমাল ভাইয়ের কথায় ২০১৫ সালে। তিনি বলেছিলেন, `ই-কমার্সের প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে সফটওয়্যার। সেটা ছাড়া তো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাবে না। তাই তুমি অবশ্যই ই-ক্যাবের মেম্বার হতে পারবে। তাঁর কথা শুনেই যোগ দিই। তার পর আস্তে আস্তে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ শুরু করি। একটা ভালো লাগা তৈরি হয়ে যায় এই সেক্টরটা নিয়ে। মনে হলো মেয়েদের জন্য এই সেক্টরটা আদর্শ। তখন থেকে ঠিক করলাম আমি ই-কমার্স নিয়েই কাজ করব।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন বলে মনে করছেন আপনি?
নাসিমা আকতার: অনেক সম্ভাবনার একটা জায়গা এটা। নারী–পুরুষ সবাই এখানে কাজ করতে পারে। কোভিড অবস্থা মানুষকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ই-কমার্সের দিকে। বাংলাদেশে ২০২০ সালে লকডাউন দেওয়ার পর (পণ্য বিপণনের সঙ্গে যুক্ত খাতগুলোর মধ্যে) এই খাতকেই একমাত্র জরুরি খাত ঘোষণা করা হয়। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুধু ই-কমার্স খাতই করে গেছে। এটা সামনে আরও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
ই-ক্যাব নিয়ে কিছু বলুন—
নাসিমা আকতার: ই-ক্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের ই-কমার্সের একমাত্র অ্যাসোসিয়েশন। এই খাতকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ই-ক্যাব প্রথম থেকে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ সেই চেষ্টার ফলে এই লকডাউনের সময় ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে মানবসেবা, আম মেলা, কোরবানির ডিজিটাল হাট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ই-ক্যাব টোটাল ইকো সিস্টেমটা নিয়ে কাজ করছে। পলিসি নিয়ে কাজ করছে। তার জন্য ই-ক্যাবকে ধন্যবাদ। এবং কৃতজ্ঞতা অবশ্যই আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
উই নিয়ে কিছু বলুন?
নাসিমা আকতার: উই আমার গর্ব। উই এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আমি নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে দেশীয় পণ্যের প্রচার চালাতে পারছি। যেখানে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে আমি গ্রামীণ নারীদের সংযুক্ত করতে পারছি। তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারছি; নেটওয়ার্কিং, ব্র্যান্ডিং শেখাতে পারছি। সর্বোপরি আমি দেশীয় পণ্যকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আমার স্বপ্ন পৃথিবীর সব বড় বড় দেশে উই–এর শাখা থাকবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
ই-কমার্সের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা মোকাবিলা করছেন আপনারা?
নাসিমা আক্তার: ই-কমার্সের ক্ষেত্রে প্রধান একটি সমস্যা আমি দেখছি—পণ্য ডেলিভারি। প্রথমত দেশের ভেতরে, এবং দ্বিতীয়ত দেশের বাইরে। দেশের ভেতর ইউনিয়ন পর্যায়ে ডেলিভারি সার্ভিস চালু না হওয়া পর্যন্ত এই খাতের তৃণমূলের উদ্যোক্তারা সামনে এগিয়ে আসতে পারছেন না। এটা একটা বিশাল সমস্যা। সঙ্গে আছে ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা। প্রতিটি ঘরে ওয়াইফাই সংযোগ না যাওয়া পর্যন্ত তারা ঠিকভাবে স্কিল ডেভেলপ বা পণ্য বিক্রি—সবকিছুতেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। দেশের বাইরে পণ্য পাঠাতে গেলে পণ্যের মূল্যের চাইতে কুরিয়ার চার্জ অনেক বেশি দিতে হয়। এই কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।
ই-কমার্স ব্যবসা থেকে কী প্রত্যাশা করেন আপনি?
নাসিমা আক্তার: ই-কমার্স থেকে আমার প্রত্যাশা অনেক। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা দেশের পণ্যকে সবার কাছে পরিচিত করতে পারছি। নতুন নতুন ইনোভেশন আনতে পারছি। নতুন নতুন তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। আমি চাই দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স এগিয়ে যাক আমাদের এসব উদ্যোক্তার হাত ধরে। পাশাপাশি দেশে ই-কমার্স খাতের মাধ্যমে যেন আমরা প্রতিটি খাতকে সেবা দিতে পারি।
নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু বলুন—
নাসিমা আক্তার: নতুন উদ্যোক্তা যারা আছেন, তাঁদের জন্য শুধু এটাই বলতে চাই যে, আপনারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন। অল্পতেই হতাশ হয়ে যাবেন না। সাফল্য একদিনে আসে না। তার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, সময় দিতে হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
নাসিমা আক্তার: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?
নাসিমা আকতার: আমি সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করি ২০১০ সাল থেকে। নিজের কোম্পানি নিয়ে কাজ করতে করতে ই-ক্যাবের সঙ্গে যুক্ত হই ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক তমাল ভাইয়ের কথায় ২০১৫ সালে। তিনি বলেছিলেন, `ই-কমার্সের প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে সফটওয়্যার। সেটা ছাড়া তো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাবে না। তাই তুমি অবশ্যই ই-ক্যাবের মেম্বার হতে পারবে। তাঁর কথা শুনেই যোগ দিই। তার পর আস্তে আস্তে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ শুরু করি। একটা ভালো লাগা তৈরি হয়ে যায় এই সেক্টরটা নিয়ে। মনে হলো মেয়েদের জন্য এই সেক্টরটা আদর্শ। তখন থেকে ঠিক করলাম আমি ই-কমার্স নিয়েই কাজ করব।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রটা কেমন বলে মনে করছেন আপনি?
নাসিমা আকতার: অনেক সম্ভাবনার একটা জায়গা এটা। নারী–পুরুষ সবাই এখানে কাজ করতে পারে। কোভিড অবস্থা মানুষকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ই-কমার্সের দিকে। বাংলাদেশে ২০২০ সালে লকডাউন দেওয়ার পর (পণ্য বিপণনের সঙ্গে যুক্ত খাতগুলোর মধ্যে) এই খাতকেই একমাত্র জরুরি খাত ঘোষণা করা হয়। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুধু ই-কমার্স খাতই করে গেছে। এটা সামনে আরও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
ই-ক্যাব নিয়ে কিছু বলুন—
নাসিমা আকতার: ই-ক্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের ই-কমার্সের একমাত্র অ্যাসোসিয়েশন। এই খাতকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ই-ক্যাব প্রথম থেকে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ সেই চেষ্টার ফলে এই লকডাউনের সময় ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে মানবসেবা, আম মেলা, কোরবানির ডিজিটাল হাট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ই-ক্যাব টোটাল ইকো সিস্টেমটা নিয়ে কাজ করছে। পলিসি নিয়ে কাজ করছে। তার জন্য ই-ক্যাবকে ধন্যবাদ। এবং কৃতজ্ঞতা অবশ্যই আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
উই নিয়ে কিছু বলুন?
নাসিমা আকতার: উই আমার গর্ব। উই এমন এক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আমি নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে দেশীয় পণ্যের প্রচার চালাতে পারছি। যেখানে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে আমি গ্রামীণ নারীদের সংযুক্ত করতে পারছি। তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারছি; নেটওয়ার্কিং, ব্র্যান্ডিং শেখাতে পারছি। সর্বোপরি আমি দেশীয় পণ্যকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আমার স্বপ্ন পৃথিবীর সব বড় বড় দেশে উই–এর শাখা থাকবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আমি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
ই-কমার্সের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা মোকাবিলা করছেন আপনারা?
নাসিমা আক্তার: ই-কমার্সের ক্ষেত্রে প্রধান একটি সমস্যা আমি দেখছি—পণ্য ডেলিভারি। প্রথমত দেশের ভেতরে, এবং দ্বিতীয়ত দেশের বাইরে। দেশের ভেতর ইউনিয়ন পর্যায়ে ডেলিভারি সার্ভিস চালু না হওয়া পর্যন্ত এই খাতের তৃণমূলের উদ্যোক্তারা সামনে এগিয়ে আসতে পারছেন না। এটা একটা বিশাল সমস্যা। সঙ্গে আছে ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা। প্রতিটি ঘরে ওয়াইফাই সংযোগ না যাওয়া পর্যন্ত তারা ঠিকভাবে স্কিল ডেভেলপ বা পণ্য বিক্রি—সবকিছুতেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। দেশের বাইরে পণ্য পাঠাতে গেলে পণ্যের মূল্যের চাইতে কুরিয়ার চার্জ অনেক বেশি দিতে হয়। এই কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।
ই-কমার্স ব্যবসা থেকে কী প্রত্যাশা করেন আপনি?
নাসিমা আক্তার: ই-কমার্স থেকে আমার প্রত্যাশা অনেক। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা দেশের পণ্যকে সবার কাছে পরিচিত করতে পারছি। নতুন নতুন ইনোভেশন আনতে পারছি। নতুন নতুন তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। আমি চাই দেশীয় পণ্যের ই-কমার্স এগিয়ে যাক আমাদের এসব উদ্যোক্তার হাত ধরে। পাশাপাশি দেশে ই-কমার্স খাতের মাধ্যমে যেন আমরা প্রতিটি খাতকে সেবা দিতে পারি।
নতুন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু বলুন—
নাসিমা আক্তার: নতুন উদ্যোক্তা যারা আছেন, তাঁদের জন্য শুধু এটাই বলতে চাই যে, আপনারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন। অল্পতেই হতাশ হয়ে যাবেন না। সাফল্য একদিনে আসে না। তার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, সময় দিতে হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
নাসিমা আক্তার: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫