অনলাইন ডেস্ক
১ সেন্টের মার্কিন মুদ্রা পেনির ২৩৩ বছরের পথচলার ইতি টানতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে এক সেন্টের মুদ্রার উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন, যা পেনি নামে পরিচিত। ট্রাম্প বলেন, ‘চলুন, আমাদের জাতির বাজেট থেকে অপচয় বের করি, এমনকি যদি সেটা এক পেনি করে করতে হয়।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র পেনি তৈরি করছে। এটি তৈরিতে ২ সেন্টেরও বেশি খরচ হয়ে থাকে। এটি কতটা অপচয়কর! আমি আমার ট্রেজারি সেক্রেটারিকে নতুন পেনি তৈরি করা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা উৎপাদন ও মুদ্রিত সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠান মিন্টের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে একটি পেনি তৈরি করতে প্রায় ৩ দশমিক ৭ সেন্ট খরচ হয়েছে। গত ১৯টি ধারাবাহিক অর্থবছরে মুদ্রাটির উৎপাদন খরচ বেশ ব্যয়বহুল হয়েছে।
ট্রাম্পকে পেনি উৎপাদন বন্ধের ধারণা দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রে অপচয় কমাতে কাজ করছেন তিনি। গত মাসে এক্সে এক পোস্টে মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) অ্যাকাউন্টে লেখা হয়, ‘পেনি তৈরিতে ৩ সেন্টের বেশি খরচ হয়। মিন্ট ২০২৩ অর্থবছরে ৪৫০ কোটি পেনি উৎপাদন করেছে, যা মোট ১১৪০ বিলিয়ন মুদ্রার প্রায় ৪০ শতাংশ। পেনি (অথবা ৩ সেন্ট!) নিয়ে আপনার চিন্তা কী?’
পেনি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিন্টের প্রথম মুদ্রা। ১৭৯৩ সালে প্রথমবারের মতো পেনি বাজারে আসে। ১৯৬২ সালের আগে পেনিগুলো তামা থেকে তৈরি হতো, তবে বর্তমানে এগুলো মূলত দস্তা দিয়ে তৈরি করে এর ওপর তামার স্তর দেওয়া হয়। ১৯০৯ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের প্রতিকৃতি এই মুদ্রার উল্টো দিকে স্থান পায়।
পেনিকে মার্কিন মুদ্রা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। ২০১৩ সালে অর্থনীতিবিদ হেনরি অ্যারন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন প্রকাশনার জন্য লেখা একটি মন্তব্যে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেছিলেন, ‘পেনি ও নিকেল বাদ দেওয়া উচিত। এই আর্থিক বর্জ্য ছাড়া জীবন সহজ হবে।’
অবশ্য বাজারে পেনি রাখার পক্ষেও আছেন অনেকে। পেনির সমর্থকেরা দাবি করেন, এটি ভোগ্য পণ্যের দামের স্তর নিচে রাখতে সাহায্য করে এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে। যদি পেনি বাতিল করা হয়, তবে সব মূল্যের শেষ ডিজিটটি শূন্য করে দিতে হবে।
তবে অনেক মার্কিনির মতে, পেনি ব্যবহার ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত এর জায়গা হয় ড্রয়ার, অ্যাশট্রে বা পিগি ব্যাংকে।
উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকায় অনেক দেশ মুদ্রার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডা ২০১২ সালে পেনি তৈরি করা বন্ধ করে। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯২ সালে বাজার থেকে ১ ও ২ সেন্টের মুদ্রা তুলে নেয়। কংগ্রেসের অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্রেও ধাতব মুদ্রার ইতিহাসের অবসান হবে।
১ সেন্টের মার্কিন মুদ্রা পেনির ২৩৩ বছরের পথচলার ইতি টানতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে এক সেন্টের মুদ্রার উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন, যা পেনি নামে পরিচিত। ট্রাম্প বলেন, ‘চলুন, আমাদের জাতির বাজেট থেকে অপচয় বের করি, এমনকি যদি সেটা এক পেনি করে করতে হয়।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র পেনি তৈরি করছে। এটি তৈরিতে ২ সেন্টেরও বেশি খরচ হয়ে থাকে। এটি কতটা অপচয়কর! আমি আমার ট্রেজারি সেক্রেটারিকে নতুন পেনি তৈরি করা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা উৎপাদন ও মুদ্রিত সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠান মিন্টের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে একটি পেনি তৈরি করতে প্রায় ৩ দশমিক ৭ সেন্ট খরচ হয়েছে। গত ১৯টি ধারাবাহিক অর্থবছরে মুদ্রাটির উৎপাদন খরচ বেশ ব্যয়বহুল হয়েছে।
ট্রাম্পকে পেনি উৎপাদন বন্ধের ধারণা দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রে অপচয় কমাতে কাজ করছেন তিনি। গত মাসে এক্সে এক পোস্টে মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) অ্যাকাউন্টে লেখা হয়, ‘পেনি তৈরিতে ৩ সেন্টের বেশি খরচ হয়। মিন্ট ২০২৩ অর্থবছরে ৪৫০ কোটি পেনি উৎপাদন করেছে, যা মোট ১১৪০ বিলিয়ন মুদ্রার প্রায় ৪০ শতাংশ। পেনি (অথবা ৩ সেন্ট!) নিয়ে আপনার চিন্তা কী?’
পেনি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিন্টের প্রথম মুদ্রা। ১৭৯৩ সালে প্রথমবারের মতো পেনি বাজারে আসে। ১৯৬২ সালের আগে পেনিগুলো তামা থেকে তৈরি হতো, তবে বর্তমানে এগুলো মূলত দস্তা দিয়ে তৈরি করে এর ওপর তামার স্তর দেওয়া হয়। ১৯০৯ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের প্রতিকৃতি এই মুদ্রার উল্টো দিকে স্থান পায়।
পেনিকে মার্কিন মুদ্রা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। ২০১৩ সালে অর্থনীতিবিদ হেনরি অ্যারন ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন প্রকাশনার জন্য লেখা একটি মন্তব্যে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেছিলেন, ‘পেনি ও নিকেল বাদ দেওয়া উচিত। এই আর্থিক বর্জ্য ছাড়া জীবন সহজ হবে।’
অবশ্য বাজারে পেনি রাখার পক্ষেও আছেন অনেকে। পেনির সমর্থকেরা দাবি করেন, এটি ভোগ্য পণ্যের দামের স্তর নিচে রাখতে সাহায্য করে এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে। যদি পেনি বাতিল করা হয়, তবে সব মূল্যের শেষ ডিজিটটি শূন্য করে দিতে হবে।
তবে অনেক মার্কিনির মতে, পেনি ব্যবহার ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত এর জায়গা হয় ড্রয়ার, অ্যাশট্রে বা পিগি ব্যাংকে।
উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকায় অনেক দেশ মুদ্রার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কানাডা ২০১২ সালে পেনি তৈরি করা বন্ধ করে। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯২ সালে বাজার থেকে ১ ও ২ সেন্টের মুদ্রা তুলে নেয়। কংগ্রেসের অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্রেও ধাতব মুদ্রার ইতিহাসের অবসান হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
৫ মিনিট আগেবর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। বিশ্বের ৬২ শতাংশ মুসলিম এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান এবং তুরস্কে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিপ উৎপাদক কোম্পানি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে টিএসএমসি।
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পরপরই ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলো তাদের দেশে থাকা রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জব্দ করে। এবার সেই অর্থ-সম্পদের মধ্য থেকে প্রায় ২১০ বিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছে ইউরোপ। তাদের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অর্থ...
২ ঘণ্টা আগে