পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত পাঁচবার মহা বিলুপ্তির কাল এসেছে। এসব কালে পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার প্রাণী। আশঙ্কা করা হয়, অচিরেই পৃথিবীতে ষষ্ঠ মহা বিলুপ্তির কাল আসবে। তবে বিখ্যাত প্রাইমাটোলজিস্ট এবং সংরক্ষণবাদী জেন গুডঅল সতর্ক করেছেন, সেই মহা বিলুপ্তির কাল ভবিষ্যতে ঘটবে এমন নয়, বরং এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিবিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বয়স ৯০ বছর হয়ে গেলেও পরিবেশ সংরক্ষণে গুডঅল তাঁর ওকালতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশগত সমস্যা এবং সমাধান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তিনি।
জেন গুডঅলের মূল প্রকল্পগুলো মধ্যে একটি হলো উগান্ডায় একটি বৃক্ষ রোপণ এবং বাসস্থান পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে তিনি মূলত দেশটির ৫ হাজারের বেশি শিম্পাঞ্জির আবাসস্থল রক্ষা করতে চান। এই প্রজাতিটি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন এবং এদের সংরক্ষণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জানা গেছে, ইকোসিয়া (Ecosia) নামে একটি অলাভজনক প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্বে গুডঅলের ফাউন্ডেশন গত পাঁচ বছরে প্রায় ২০ লাখ গাছ রোপণ করেছে। পশুদের বাসস্থান পুনরুদ্ধার ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গুডঅল সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সময়ের জানালা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব প্রশমিত করতে বন রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি। বন উজাড়কে তিনি বৃহত্তর জলবায়ু সংকটের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তানজানিয়ায় তিনি দেখেছেন, বৃষ্টিপাতের ধরনগুলোতে এখন ব্যাঘাত ঘটছে। বিষয়টি শিম্পাঞ্জিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
গুডঅল মনে করেন, প্রাকৃতিক বাসস্থানের ধ্বংস রোধ, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মিং অনুশীলনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুডঅলের যুগান্তকারী কাজের প্রতিফলন ঘটেছে তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে। সেখানে তিনিই প্রথম শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে একটি জটিল সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীদের সংশয় থাকার পরও প্রাইমেটদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ওই প্রাণীদের আচরণ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ডেভিড গ্রেইভিয়ার্ড নামে একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তাঁর গভীর আত্মিক সম্পর্ক এখন রীতিমতো গবেষণা বিষয় হয়ে উঠেছে।
৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকৃতি ও সংরক্ষণ নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন গুডঅল। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ রচনা করতে তিনি পরিবেশগত আইনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্যের সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত পাঁচবার মহা বিলুপ্তির কাল এসেছে। এসব কালে পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার প্রাণী। আশঙ্কা করা হয়, অচিরেই পৃথিবীতে ষষ্ঠ মহা বিলুপ্তির কাল আসবে। তবে বিখ্যাত প্রাইমাটোলজিস্ট এবং সংরক্ষণবাদী জেন গুডঅল সতর্ক করেছেন, সেই মহা বিলুপ্তির কাল ভবিষ্যতে ঘটবে এমন নয়, বরং এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বিবিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বয়স ৯০ বছর হয়ে গেলেও পরিবেশ সংরক্ষণে গুডঅল তাঁর ওকালতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশগত সমস্যা এবং সমাধান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তিনি।
জেন গুডঅলের মূল প্রকল্পগুলো মধ্যে একটি হলো উগান্ডায় একটি বৃক্ষ রোপণ এবং বাসস্থান পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে তিনি মূলত দেশটির ৫ হাজারের বেশি শিম্পাঞ্জির আবাসস্থল রক্ষা করতে চান। এই প্রজাতিটি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন এবং এদের সংরক্ষণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জানা গেছে, ইকোসিয়া (Ecosia) নামে একটি অলাভজনক প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্বে গুডঅলের ফাউন্ডেশন গত পাঁচ বছরে প্রায় ২০ লাখ গাছ রোপণ করেছে। পশুদের বাসস্থান পুনরুদ্ধার ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গুডঅল সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সময়ের জানালা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব প্রশমিত করতে বন রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি। বন উজাড়কে তিনি বৃহত্তর জলবায়ু সংকটের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তানজানিয়ায় তিনি দেখেছেন, বৃষ্টিপাতের ধরনগুলোতে এখন ব্যাঘাত ঘটছে। বিষয়টি শিম্পাঞ্জিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
গুডঅল মনে করেন, প্রাকৃতিক বাসস্থানের ধ্বংস রোধ, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মিং অনুশীলনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুডঅলের যুগান্তকারী কাজের প্রতিফলন ঘটেছে তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে। সেখানে তিনিই প্রথম শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে একটি জটিল সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীদের সংশয় থাকার পরও প্রাইমেটদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ওই প্রাণীদের আচরণ সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ডেভিড গ্রেইভিয়ার্ড নামে একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে তাঁর গভীর আত্মিক সম্পর্ক এখন রীতিমতো গবেষণা বিষয় হয়ে উঠেছে।
৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকৃতি ও সংরক্ষণ নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন গুডঅল। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ রচনা করতে তিনি পরিবেশগত আইনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্যের সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতারও আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্প্রতি আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং অপরজন বাংলাদেশ পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেচীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অনুরোধেই এই আলোচনা হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এবং সাবেক বিজেডি সাংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিনাকী মিশ্র জার্মানিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি সহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসিমলা চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে